আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: মিলল কয়েকজন বাংলাদেশির সন্ধান

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত বাংলাদেশির সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা ওড়িশার সরো সরকারি হাসপাতাল এবং বালাসোর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর রাজশাহীর বাসিন্দা মো. রাসেলুজ্জামানকে (২৭) সরো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বালাসোর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন<< রেল দুর্ঘটনাস্থলে আসছেন মোদি

এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন পাবনার বাসিন্দা মো. আসলাম শেখ (৩৩), খুলনার বাসিন্দা রুপা বেগম খান এবং ঢাকার দুই বাসিন্দা খালেদ বিন আওকাত (৫০) ও মোহাম্মদ মোক্তার হোসেনকে (৩৫) । এদিকে, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলীকে। তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন<< ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮

এর আগে, শনিবার সকালে হাবিবুর রহমান নামে এক আহত বাংলাদেশি খবর পাওয়া গেছে। তিনি সরো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ময়মনসিংহের বাসিন্দা মিনাজ উদ্দিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনার পরই।

তিনিই প্রথম জানিয়েছিলেন যে, তার সঙ্গে ১৫ জন বাংলাদেশি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। তারা পাশের বগিতে ছিল। দুমড়ে যাওয়া ঠিক আগের বগিতেই ছিলেন তিনি। তাই তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।


আরও খবর



পাবনার মানুষ অনেক বঞ্চিত : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পাবনার মানুষ অনেক বঞ্চিত হয়েছে। আমি পাবনার মানুষ, পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছি। পাবনার উন্নয়ন বিবেকের তাড়নায় করতে হয় এবং করাটা আমার দায়িত্ব। তাই, আমার যতটুকু করার ততটুকু করছি। গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সম্প্রতি পাস হওয়া পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সবাইকে আমি ডেকে যখন বললাম, তখন সবাই বিস্মিত হলো। সোজা কথা হলো আপনারা যাদের জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন আশা এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তারা এই বিষয়গুলো কোথাও উত্থাপনই করেনি। কারও নলেজেই নেই। তারা বিস্মিত হওয়ার পরে বললাম, রিয়েল ফ্যাক্ট। ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি। 

আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন সচিব ও সবশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলার মাধ্যমে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। একনেকে পাস হওয়ার পর ৩০ জন ভিক্ষুককে খাওয়ানোর জন্য মানত করেছিলাম। যারা এতদিন এই বিষয়টি উত্থাপনই করেনি তাদের কারণে একটা নেগেটিভ পাবলিসিটি হয়েছে। যারা ব্যর্থ তারা তো এটা করবেই।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ঢাকা-পাবনা রুটে ট্রেন চালুর বিষয়টি রেলমন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষরের পর চূড়ান্তভাবে পাস হতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এটি আরেকটু যাচাই করতে বলেছেন। এটি হলে সরকার কতটুকু লাভবান হবে সেটা ভাবছেন। তিনি এটা করতেই পারেন। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন এটি খুব শিগগিরই হবে। এখন কেউ এটা নিয়ে সমালোচনা করতেই পারেন। নাও করতে পারেন। এটা তার হৃদয়ের উদারতা। আমার যতটুকু করার ততটুকু করছি।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এরপর ৪টা ৩০ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।


আরও খবর



সুদের টাকা দিতে না পারায় কৃষককে তুলে নিয়ে শিকলবন্দি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

Image

নাটোরের গুরুদাসপুরে সুদের টাকা দিতে না পারায় আসাদ আলী (৫৫) নামে এক কৃষককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকলবন্দি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মশিন্দা বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুদের কারবারি আব্দুল আজিজ (৩৫) তার বাড়ির বারান্দার খুঁটির সঙ্গে ওই কৃষককে বেঁধে রাখেন। ভুক্তভোগী কৃষক আসাদ আলীর বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে।

জানা গেছে, ২০২০ সালে জমি লিজের শর্তে সুদের কারবারি আজিজের থেকে ৮০ হাজার টাকা নেন কৃষক আসাদ। প্রথম দুই বছর সুদের টাকা ঠিক মতো পরিশোধ করলেও চলতি বছরের টাকা দিতে পারেনি কৃষক আসাদ। অনেক বার তাগাদা দিয়েও টাকা না পেয়ে আজ সকালে কৃষক আসাদের বাড়িতে গিয়ে তার হাত-পা বেঁধে তুলে নিয়ে আসেন আব্দুল আজিজ ও তার লোকজন। পরে আজিজের বাড়ির বারান্দার খুঁটির সঙ্গে মাজায় শিকল পরিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ওই কৃষককে।

শিকলবন্দি কৃষক আসাদ আলী বলেন, তিন বছর আগে আমি জমি লিজের ভিত্তিতে সুদে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম আব্দুল আজিজের কাছ থেকে। গত দুই বছরে ২০ হাজার টাকা সুদ এবং আসল ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি তাকে। বাকি ৫০ হাজার টাকা এ বছর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি দুর্ঘটনায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাই।

তিনি বলেন, সংসারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে আছে। একটি ছেলে ছিলো সে বাড়িতে থাকে না। আমার উপার্জনেই সংসার চলতো। অভাবগ্রস্ত হয়ে যাওয়ায় আজিজের পাওনা টাকাগুলো দিতে বিলম্ব হচ্ছিল। তাই আজ সকালে আজিজ ও তার বাবা আফজাল হোসেন সঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে আমার বাড়িতে আসেন। আমি বাড়িতে শুয়ে ছিলাম। আনুমানিক সকাল ৮টার সময় আমাকে জোড়পূর্বক হাত-পা বেঁধে তারা তুলে নিয়ে আসে। এরপর আব্দুল আজিজের বসতবাড়ির বারান্দায় মাজায় শিকল পরিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। টাকা না দিতে পারলে আমাকে ছেড়ে দেবে না বলে জানায়। আমার এই মুহূর্তে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।

সুদের কারবারি আব্দুল আজিজ বলেন, অনেকদিন পাওনা টাকা ফেরত চেয়েও পাইনি। তাই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে শিকলবন্দি করেছি। যেন পালিয়ে যেতে না পারে। টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, রাতে ঘটনাটি আমার নজরে আসলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে পুলিশ কাউকেই খুঁজে পায়নি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।

নিউজ ট্যাগ: গুরুদাসপুর সুদ

আরও খবর



সংসদ অধিবেশন ঘিরে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোববার থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম (২০২৩ সালের ৪র্থ) অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদেশে এদিন রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনে নিষেধ করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে : ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিমপ্রান্ত হতে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্বপ্রান্ত হতে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিমপ্রান্ত, সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সব রাস্তা ও গলিপথ। অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।


আরও খবর



যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল হরদীপ সিংকে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন অন্তত ছয়জন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল দুটি গাড়ি। হামলাকারীরা হরদীপকে লক্ষ্য করে ৫০টি গুলি চালিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৩৪টি তাঁর শরীরে লেগেছিল। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী ও তদন্তকারীদের বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে হত্যা করা হয় হরদীপকে। স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, হত্যা নিয়ে তদন্তকারীরা তাঁদের খুব কম তথ্যই দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশও গিয়েছিল দেরিতে। আর ওই মন্দিরের কাছের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য শুনতে বা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিতে তাঁদের কাছে যাননি তদন্তকারীরা।

হরদীপ হত্যার পর গত সপ্তাহে কানাডার পার্লামেন্টে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, এই হত্যায় ভারতের হাত আছে, এমন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানকারী নেটওয়ার্ক ফাইভ আইসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযোগ করেন ট্রুডো। ফাইভ আইসের পাঁচ সদস্যদেশের মধ্যে রয়েছে কানাডাও।

যে মন্দিরের বাইরে ৪৫ বছর বয়সী হরদীপকে হত্যা করা হয়, সেটির সভাপতি ছিলেন তিনি। ভারতে শিখদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন হরদীপ। তাঁর হত্যা নিয়ে কানাডার অভিযোগ নাকচ করেছে ভারত। একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। তবে ভারতের তালিকায় আগে থেকেই হরদীপ একজন সন্ত্রাসী

হরদীপ হত্যার ঘটনা ধরা পড়েছে ওই মন্দিরে স্থাপন করা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। ৯০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও তদন্তকারীদেরও দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, হরদীপের একটি ধূসর পিকআপ ভ্যান মন্দিরের কাছে পার্কিং থেকে বের হচ্ছে। এ সময় সাদা একটি গাড়িও কাছাকাছি দেখা যায়। পরে সেটি হরদীপের পিকআপের পাশাপাশি চলতে থাকে।

পিকআপটি পার্কিং থেকে বের হওয়ার সময় সাদা গাড়িটি সেটির সামনে এসে পথরোধ করে দাঁড়ায়। এ সময় কাছের একটি জায়গা থেকে বেরিয়ে দুজন পিকআপটির দিকে যান। তাঁরা মাথা ঢাকা পোশাক পরে ছিলেন। পিকআপের চালকের আসনের দিকে বন্দুক তাক করেন তাঁরা। এরপর পার্কিং থেকে সাদা গাড়িটি বের হয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। বন্দুকধারী দুজনও একই দিকে দৌড়ে যান।

ওই মন্দিরের এক স্বেচ্ছাসেবক ভূপেন্দরজিৎ সিং। হত্যাকাণ্ডের সময় কাছেই একটি পার্কে ফুটবল খেলছিলেন তিনি। গুলির শব্দ শুনে প্রথমে আতশবাজির শব্দ বলে মনে হয়েছিল তাঁর। তিনি বলেন, আমার মাথায় দ্বিতীয় যে চিন্তা এসেছিল, তা হলো গুলি চালানো হয়েছে। আর আমাদের সভাপতি সেখানে রয়েছেন।

হরদীপকে হত্যার পর প্রথম তাঁর পিকআপের কাছে পৌঁছেছিলেন ভূপেন্দরজিৎ। তিনি বলেন, গাড়ির কাছে গিয়েই তিনি চালকের পাশের দরজা খোলেন। সেখানে হরদীপ ছিলেন। তিনি তাঁর কাঁধে হাত দেন। বুঝতে পারেন যে তিনি আর শ্বাস নিচ্ছেন না। শিখ সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যরা বলেছেন, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে হরদীপের ওপর প্রায় ৫০টি গুলি চালানো হয়েছিল। ৩৪টি তাঁর শরীরে লেগেছিল।

ভূপেন্দরজিৎ সিং বলেন, চারপাশে রক্ত ও ভাঙা কাচ পড়ে ছিল। মেঝেতে গুলি ছড়িয়েছিটিয়ে ছিল। এর পরপরই গুরমিত সিং নামে মন্দিরের আরেক নেতা পিকআপ নিয়ে সেখানে আসেন। ভূপেন্দরজিৎ ওই পিকআপে ওঠার পর তাঁরা বন্দুকধারীদের ধরতে বেরিয়ে পড়েন।

মন্দিরের কমিটির আরেক সদস্যের নাম মালকিত সিং। হরদীপকে হত্যার সময় তিনিও ফুটবল খেলছিলেন। মাথা ঢাকা পোশাক পরা দুজনকে কাছের কোউগার ক্রিক পার্কের দিকে দৌড়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি। ওই দুজনকে তাড়া করেছিলেন মালকিত। তবে তাঁদের চিনতে পারেননি।

মালকিত সিং বলেন, দুজনকে দেখে শিখ বলেই মনে হয়েছে তাঁর। একজনের উচ্চতা পাঁচ ফুটের সামান্য বেশি এবং স্থূলকায়। দ্রুত দৌড়াতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। আরেকজন ছিলেন প্রথমজনের চেয়ে প্রায় চার ইঞ্চি লম্বা এবং রোগাপাতলা। দৌড়ে গিয়ে তাঁরা একটি রুপালি গাড়িতে ওঠেন। ওই গাড়িতে আরও তিনজন অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের কারও চেহারা দেখতে পাননি তিনি। এরপর গাড়িটি সেখান থেকে চলে যায়।

হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করছে দ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্ডেড পুলিশ (আরসিএমপি)। তারা জানিয়েছে, ১৮ জুন রাত ৮টা ২৭ মিনিটে প্রথম হরদীপকে হত্যার খবর পায় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি চলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের আসতে ১২ থেকে ২০ মিনিট সময় লেগেছিল। এটি অবাক করার বিষয়। কারণ, এই এলাকায় অনেক পুলিশ সদস্য নিয়মিত টহল দেন।

এদিকে হত্যার এক মাসের বেশি সময় পর ২১ জুলাই দুই বন্দুকধারী ব্যক্তিকে শনাক্তের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চান তদন্তকারীরা। আর ১৬ আগস্ট রুপালি গাড়ি ও সেটির চালককে শনাক্তের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়। এ ছাড়া যে পথ দিয়ে দুই বন্দুকধারী পালিয়েছিলেন, সেখানকার ৩৯টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ি পরিদর্শন করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে সেসব ব্যবসার মালিক ও বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড তদন্তের বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি।

হরদীপের জীবননাশের হুমকি নিয়ে আগে থেকেই শঙ্কিত ছিল স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়। যে মন্দিরের বাইরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সেটির সদস্যদের অনেকেই হরদীপের একাকী গাড়ি চালানো নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। হরদীপের ছেলে বলরাজ সিং নিজ্জর বলেন, তাঁর বাবা বুলেটপ্রুফ গাড়ি চালাতে চাইতেন। তবে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এমন গাড়ি চালানো অবৈধ। তা ছাড়া নিরাপত্তার জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও পরতে চাইতেন তিনি। এমন জ্যাকেট ব্যবহারের জন্য সরকারের অনুমতি লাগে।

সম্প্রতি হরদীপের পিকআপের চাকায় অবস্থান শনাক্তের যন্ত্র (ট্র্যাকার) খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বলে জানান ব্রিটিশ কলাম্বিয়া শিখ গুরুদুয়ারা কাউন্সিলের মুখপাত্র মনিন্দর সিং। তিনি বলেন, হরদীপের মতো তাঁর নামও হত্যাকারীদের তালিকায় আছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো তাঁকে জানিয়েছিল। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁকে জানানো হয়নি। এ তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে কি না, তাও জানেন না তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কানাডার গোয়ান্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের এক মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যপ্রাপ্তি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বিষয়টি সামনে আনায় এখন তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বেশ আশাবাদী মন্দিরের কমিটির সদস্য মালকিত সিং।

মালকিত বলেন, গত সপ্তাহে ট্রুডোর ঘোষণার আগপর্যন্ত হরদীপ হত্যার রহস্যের সমাধান হবে বলে আমার বিশ্বাস ছিল না। এ হত্যা নিয়ে তদন্তকারীরা আমার সঙ্গে মাত্র একবার কথা বলেছেন। আর কয়েক মাসের মধ্যে তাঁরা কিছুই আমাদের জানাননি। তবে গত সপ্তাহে সবকিছু বদলে গেল। ট্রুডো যদি শেষ পর্যন্ত বুঝতেই পারেন যে ভারত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে, তাহলে গোয়েন্দারা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন।

 

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট


আরও খবর



বামনডাঙ্গা স্টেশন আধুনিকায়ন হলেও মান বাড়েনি যাত্রী সেবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধা জেলার ঐতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ফিট দৈর্ঘ্য প্লার্টফর্ম উচুঁ ও বর্ধিত করণ, প্রথম, দ্বিতীয় ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য বিশ্রামগার নির্মাণ করা হয়। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কারণে স্টেশনটি শোভাবর্ধন হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে।

ওই প্রকল্প কাজের নির্মাণ শেষে স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ২০২১ সালের ২২মে উদ্বোধন করেন। নির্মিত বিশ্রামাগারে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আধুনিকায়ন এই স্টেশনটিতে ৫০ ফুট একটি যাত্রী ছাউনি থাকলে তা ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় বৃষ্টির সময় যাত্রীদের পানিতে ভিজতে হয়। অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা সংযুক্ত না করায় স্টেশন মাস্টারের অফিস রুমটির কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন বিল্ডিংয়েই চলছে। রুমটিতে সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। সেখান থেকে টিকিটও বিক্রি করা হয়। অনেক যাত্রী উঁচু প্লাটফর্ম থেকে টিকিট কাটতে বা স্টেশন মাস্টারের রুমে যেতে সিঁড়িতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমেস উদ্দিন বলেন, পার্শবর্তী কয়েক উপজেলার লোক এই স্টেশনে আসায় সব সময় ভীড় লেগেই থাকে। এই রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস, করতোয়া এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন প্রামানিক জানান, প্লাটফর্ম বর্ধিতকরণ করা হলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ প্লাটফর্মের অনেক অংশে না থাকায় সন্ধ্যা হলেই ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে।

বামনডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার হাইউল মিয়া বলেন, যাত্রী ছাউনির ছাদ উঁচু, প্ল্যাটফর্ম উঁচু করণ করায় আমার অফিস রুমটি নিচু হয়েছে। এই পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি ছাদ থেকে চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে। প্লাটফর্মের ৫০ ফিট সেডটি দীর্ঘদিন থেকে জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে আমি প্ল্যাটফর্মের অনুপোযোগী সেডটি (যাত্রী ছাউনি) পরিবর্তন সহ সেডের (যাত্রী ছাউনি) দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে নতুন অফিস কার্যালয় নির্মাণসহ স্টেশনের বিভিন্ন সমস্যা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের মধ্যে বামনডাঙ্গা স্টেশনটি আয়ের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যার ফলে রেল কর্তৃপক্ষ এই রুটে চলাচলকারী প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি দিয়েছেন।


আরও খবর