আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: খোঁজ নেই ৪ বাংলাদেশির

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

'ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং' পরিবর্তনের কারণেই ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনা ঘটে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানাতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে সেফটি কমিশনার বিষয়টি তদন্ত করেছে, রিপোর্ট সামনে আসতে দিন। কিন্তু আমরা দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে পেরেছি। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং পরিবর্তনের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য পুনরুদ্ধার শুরু করা।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'মেরামতের কাজ পর্যালোচনা করে বুধবারের মধ্যে ট্র্যাক পুনরুদ্ধার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।' এমন কি এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের সুপারিশ করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী।

আরও পড়ুন<< বাজেট ইতিবাচক হলেও চ্যালেঞ্জিং: সুপ্রিম পার্টি

রবিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে কাজ তদারকি করেন রেলমন্ত্রী। পরে আহতদের দেখতে, তাদের সাথে কথা বলতে, চিকিৎসা ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বালাসোর  ফকির মোহন মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী।

এদিকে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৫, এরমধ্যে ৮৮ টি লাশকে সনাক্ত করা গেছে। আহত প্রায় এক হাজার। নিহতদের মধ্যে ৬১ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আহত প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক। ১৮২ টি লাশ এখনও সনাক্ত করা হয় নি।

এদিকে দুর্ঘটনায় নিহত লাশের সংখ্যা নিয়ে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ২৮৮ জনের নিহতের খবর, কোন কোন গণমাধ্যমে সংখ্যা ৩০০ পার করে দেওয়া হয়। এর পরই বিষয়টি  নিয়ে ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা সংবাদ সংস্থাকে জানায়  'নিহতের সংখ্যা ২৮৮ নয়, ২৭৫। জেলাশাসক দ্বারা ডেটা পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং দেখা গেছে যে কিছু লাশ দুই বার গণনা করা হয়েছিল। তাই লাশের সংখ্যা সংশোধনের পর ২৭৫ করা হয়েছে। ২৭৫ টি লাশের মধ্যে ৮৮টি শনাক্তকরণ করা হয়েছে। মুখ্যসচিব এও জানান 'দুর্ঘটনায় আহত ১ হাজার ১৭৫ জনের মধ্যে ৭৯৩ জনকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন<< ইসরায়েলের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ব্রাজিলের

এদিকে সময় গড়িয়ে গেলেও নিখোঁজ চার বাংলাদেশীর এখনো কোনো সন্ধান নেই। দুর্ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মারেফত তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল বালেশ্বরে পৌঁছায়। ইতিমধ্যেই ট্রেন দুর্ঘটনায় অল্প বিস্তর আহত এমন ৩ বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। তবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল ও দুই অস্থায়ী মর্গ ঘুরে নিখোঁজ ৪ বাংলাদেশি নাগরিকের কোন সন্ধান তারা পাননি। তারা আদৌ বেঁচে আছেন কিনা তাও নিশ্চিত নয়। আর যদি দুর্ঘটনায় মারাই যান, সেক্ষেত্রেও তাদের লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছাবে কিনা তাও অনিশ্চিত।

কারণ ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ কুমার জেনা রবিবার গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেন, শনাক্তকরণ হয়নি, এমন ১৬০টি লাশ ভুবনেশ্বর এইমস'এর মর্গে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আগামী ৪২ ঘণ্টা সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে নিহতদের পরিজনরা এই হাসপাতালে তাদের প্রিয়জনের লাশ সনাক্ত করতে পারবেন। যেগুলি শনাক্ত করা যাবে না সেগুলি মেডিকেল গাইড অনুযায়ী সৎকার করে ফেলবে উড়িশা সরকার।

আরও পড়ুন<< ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি

ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ করমন্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর-হামসাফর এক্সপ্রেসের ভ্রমণকারী যাত্রীদের একটি লম্বা তালিকা প্রকাশ করেছে রেলদপ্তর। যে তালিকায় শুধুমাত্র যাত্রীদের নাম, পিএনআর কোড, সিট নম্বর ও ভারতীয় ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা দেখে আলাদা করে ওই যাত্রীর নাগরিকত্ব জানা সম্ভব নয়।

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, ওই ট্রেন গুলিতে টিকিট বুকিং করার সময় ভ্রমণকারী বাংলাদেশী নাগরিকদের নাগরিকত্বের পরিচয় সম্পর্কিত নথি দেখে তাদের আলাদা করে সেই তথ্য উপদূতাবাসকে জানানোর জন্য। যদিও রেলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি। 


আরও খবর



আমতলীতে ডলার-রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনা আমতলীতে ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

রবিবার (৫ মে) রাতে আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা এলাকার সানু ফকির, তৈয়ব হাওলাদার, মিজানুর রহমান মিজান, একই ইউনিয়নের ঘটখালী এলাকার আল ইমরান ও কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকার শাহিন বয়াতী।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলম বলেন, বরগুনায় দীর্ঘদিন ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল দেখিয়ে বিক্রি করার কথা বলে একটি চক্র সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ আমতলীর গাজীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অল্প কিছু ডলার ও সৌদি রিয়ালসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত গামছায় মোড়ানো টাকার বান্ডিলসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তাররা একাধিক প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। চক্রের সাথে আরও যারা জড়িত তাদের ধরতে এবং গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



গরমে ক্লান্তি দূর করবে চিয়া সিড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে লেবুর ঠান্ডা পানি মন জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু অনেকেই গলা ভেজান কোল্ড ড্রিংসে। এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কোল্ড ড্রিংস ছাড়ুন। এই গরমের ফল আর সুপারফুড চিয়া সিড দিয়ে শরবত বানিয়ে খান। এতে ক্লান্তি দূর হবে।

এই বীজে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। চিয়া সিডের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মুক্তি দেয়। রক্তে সুগার লেভেল ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চিয়া সিডের মধ্যে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

চিয়া সিডের শরবত বানাতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখলেই কাজ শেষ। তবে, এই চিয়া সিড পানিকে আরও মজাদার বানাতে পারেন।

লেবু ও চিয়া সিডের পানি : পাতিলেবুর রস দিয়ে লেবুর পানি বানিয়ে নিন। চিনির বদলে এই পানিতে মধু মেশান। কয়েকটা পুদিনা পাতা পানিতে মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে এই লেবুর পানিতে চুমুক দিন। এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

তরমুজ ও চিয়া সিডের পানীয় : তরমুজের শরবত শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের শরবতের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে দিলে এর স্বাস্থ্য গুণ বেড়ে যায়। ব্লেন্ডারে তরমুজ ব্লেন্ড করে নিন। এবারে এতে পুদিনা পাতা ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এই পানীয় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর খান। শরীরে সতেজতা এনে দেবে এই পানীয়।

নিউজ ট্যাগ: চিয়া সিড

আরও খবর



রাজধানীর শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে জেটিতে থাকা একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এমভি বাঙালি নামে লঞ্চটির তিনতলায় এ আগুন লাগে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুনের ফোন পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনে ২টি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ জানা যায়নি।


আরও খবর



ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, একদিনে ৩ প্রাণহানি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন।

বুধবার (১৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। এ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৬৪ ডেঙ্গুরোগী।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (১৫ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২১ জনের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১১ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশালে, পাঁচজন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই হাজার ৫৪৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৫১ জন। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে জানা যায়, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে সব রেকর্ড এক হাজার ৭০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর