আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার কমেছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত কয়েক মাসে ভারতে ভয়াবহভাবে নিষ্পেষিত করেছে এই মহামারী। একটা সময় প্রায় প্রতিদিনই শনাক্ত গুনেছে ৩ লক্ষাধিক। মৃত্যু ৩ বা ৪ হাজারের অধিক।  তবে এবার সেই ধারায় শিথিলতা এসেছে।  কমে এসেছে করোনার দাপট।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এর তথ্য অনুযায়ী, টানা কয়েকদিন ধরে ভারতে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার কমেছে।  গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ছিলো ৬২ হাজার ২২৬ জন এবং মৃত্যু ১ হাজার ৪৭০ জন।

দুইদিন আগে গত ১৪ জুন এই সংখ্যা ছিলো ৬২ হাজার ৫৯৭ জন (শনাক্ত) এবং মৃত্যু ১ হাজার ৪৫২ জন। তার আগের দিন ১৩ জুন ছিলো ৬৮ হাজার ৪০০ জন (শনাক্ত) এবং মৃত্যু ১ হাজার ৬৭১ জন। আর ১২ জুন শনাক্ত ছিলো ৮১ হাজার ৫ জন এবং মৃত্যু ১ হাজার ৮৩০ জন।

তুলনামূলক কিছুটা বেশি ছিল ১১ ও ১০  জুন। ১১ তারিখে শনাক্ত ছিলো ৮৪ হাজার ৬৯৫ জন এবং মৃত্যু ১ হাজার ৯২৯ জন। আর ১০ জুন শনাক্ত ৯১ হাজার ২৬৬ জন এবং মৃত্যু ২ হাজার ১৮ জন।

আজ পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ২৬১ জন।  মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার  ৬০১ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৪ জন।

গত একদিনে সারাবিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৩ জন এবং মারা গেছে ৯ হাজার ১৪৯ জন।

এই দিন সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে।  শনাক্ত ৮৮ হাজার ৯৯২ জন এবং মৃত্যু ২ হাজার ৭৬০ জন।

সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ৬১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৫ জন।  এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৮ জন মানুষ।


আরও খবর



লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে খুলছে ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেইসঙ্গে খুলবে অফিস-আদালতও।

এদিন থেকে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে। ব্যাংক সকাল ১০টায় খুলবে, লেনদেন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং। অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

গত বৃহস্পতিবার দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদ উপলক্ষে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আর রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি। এভাবে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। তবে অনলাইনে ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, সিআরএমে টাকা জমা ইত্যাদি সেবা অব্যাহত ছিল।

ছুটি শেষে আজ চাকরিতে যোগ দেবেন কর্মজীবী মানুষ। অনেকেই ঈদের আগে সোমবার ও মঙ্গলবার বাড়তি ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। কারণ, এর আগে রবিবার শবে কদরের এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান বৃষ্টির পরও সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়ে গেছে। আজ রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে ঢাকার বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১০১, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

তবে সকাল ৯টার দিকে একিউআই ৮৬ নিয়ে ঢাকার বাতাস দীর্ঘদিন পর গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে।

ঢাকার বায়ুমান দিনের পর দিন বিশ্বের দূষিততম শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করছে। এটা নাগরিকের নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।  রবিবার সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের করাচি ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ১৮৫, ১৭৭ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে। একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ২১তম। ঢাকার অবস্থান সাধারণত ১ থেকে ৫-এর মধ্যে থাকে।

একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তাকে মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।

এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



কমানোর একদিন পরই বাড়ল সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোনার দাম সামান্য কমানোর একদিন পর আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



সুন্দরবনে হরিণ ও শূকরের ৪০ কেজি মাংসসহ শিকারী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবন থেকে ইয়াসিন হাওলাদার নামে এক হরিণ শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ নাইলনের দড়ির ফাঁদ ও হরিণ শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক এই চোরা শিকারীরর বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার চরদোয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে। আটক শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরর পর বুধবার সকালে বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, পাথরঘাটার চরদুয়ানি এলাকার একটি চোরা শিকারী দল চরখালীর গহীন বনে হরিণ শিকারে লিপ্ত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরখালী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে চরদুয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে ইয়াসিনকে আটক করেন।

এসিএফ আরও জানান, বনরক্ষীদের টের পেয়ে শিকারী দলের আরো চার সদস্য পালিয়ে যায়। তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। আটক শিকারীর নৌকা তল্লাশি করে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস এবং এক বস্তা ফাঁদ পাওয়া। শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক শিকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। চোরা শিকারীরা শূকরের মাংস হরিণের মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভাড়া গুনবেন যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাড়ির টানে ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এই ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৯৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে এসব যাত্রীদের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তাদের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা গত ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী সেবার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু অসাধু বাস মালিক-চালকেরা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। সড়ক ও নৌ-পথের বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিল্যান্স টিমের অস্থায়ী অফিসে সদস্যরা বসে থাকলেও তারা এসব দেখার বা প্রতিকার করার প্রয়োজন মনে করছে না।

ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনও যাত্রী অভিযোগ দিলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সামনে ভাড়া নৈরাজ্য চললেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। তাদের জানিয়ে আর কী লাভ হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌ-পথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

রাজধানীতে চলাচলকাররী সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারি ২৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় প্রায় ৭০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ১৪০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

ইজিবাইক, মোটররিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারি প্রায় ১০ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশায় ১৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ২৮০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার লেগুনায় কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত পরিবহন প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের প্রায় ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হচ্ছে। এসব যানবাহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিজেদের পরিবহন ব্যবহার করলেও ১৫ লাখ যাত্রীকে ভাড়ায়চালিত যানবাহনে ঈদে বাড়ি যেতে ট্রিপ প্রতি গড়ে ৩৫০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ১১২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে ঢাকা থেকে বাসে দূরপাল্লার রুটে ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে বাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি সার্ভিস বাসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোনও গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৪ হাজার সিটি বাসে ৪৮ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।

গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ১২ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছেন। অন্যরা রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীপ্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া দিচ্ছেন। এতে ৮ লাখ ৪০ হাজার মোটরসাইকেল যাত্রীদের ২৫ কোটি ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে অতিরিক্ত কোচ, ঈদ স্পেশাল হিসেবে অতিরিক্ত রেল রেক যুক্ত করার পরে ঢাকা ৭ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। দৈনিক ৪০ হাজার যাত্রী নিয়মিত টিকিটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটসহ ৪৬ হাজার টিকিটধারী যাত্রী হিসেবে ১ সপ্তাহে ৩ লাখ ২২ যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। এর বাইরে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরও প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী। এত বড় সংখ্যক যাত্রী বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণে কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের রাজস্ব হারালেও চলমান ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি স্টুয়ার্ড, বেসরকারি কেন্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।


আরও খবর