আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিএসএফ বলেছে, ভারতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আরও শত শত বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে অপেক্ষা করছেন। অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

বিএসএফের উপ-মহাপরিদর্শক অমিত কুমার ত্যাগী এএফপিকে বলেছেন, এখনও সীমান্ত পার হওয়ার জন্য কয়েকশ বাংলাদেশি নাগরিক নো-ম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষা করছেন।

এদিকে, সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত ব্শ্বিশর্মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে চার বাংলাদেশি নাগরিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের করিমগঞ্জ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশ কার্যকরভাবে জিরো পয়েন্টে হস্তক্ষেপ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভারতে তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দিয়েছে।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে; যার বেশিরভাগ অংশই অরক্ষিত। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হিন্দুরা সংখ্যায় বৃহৎ। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় তারা অনেকেই পার্শবর্তী ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীও ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাবনায় এগারো বছরেও মেলেনি নৈশ প্রহরীর সন্ধান

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

পাবনা'য় নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণে করে নিয়ে যাওয়ার ১১ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক (৪০)'র। রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ এগারো বছরে নেওয়া হয়নি কোন মামলা। এমনকি ভুক্তভোগীর পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে করা হয়েছে অসহনীয় নির্যাতন, দেওয়া হয়েছে হত্যার হুমকি।

ঘটনাগুলো ঘটেছে আতংকের জনপদ খ্যাত পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চর-বলরামপুর এলাকায়। দীর্ঘ এগারো বছর পরে আশার আলো দেখতে পেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। অপহরণ হওয়া খবির প্রামাণিককে ফিরে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিবারের সদস্যরা।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চর-বলরামপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ হন পাবনা জেলার সদর উপজেলাধীন ভাঁড়ারা ইউনিয়নের অন্তর্গত  চর-বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের স্ত্রী চাম্পা খাতুন (৩৫) বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে মনছের প্রামাণিকের ছেলে রিপন (৩২) ও উম্বার প্রামাণিকের ছেলে ইকবাল (৩০) আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর ফিরে আসে নি। ওরা আমার স্বামীকে খুন করেছে নাকি গুম করেছে তা জানি না। ঐদিনের পর আমার স্বামী ফেরত না আসলে ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে আমাদের মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। বিগত সরকারের আমলে আমরা কথা বলতে পারি নি। এখন যেহেতু দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন দেশে  আমরা আমার স্বামীকে ফেরত চাই, আর যদি আমার স্বামীকে ওরা মেরে ফেলে তাহলে আমি ওদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।

অপহরণের কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান চর- বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদের নিয়োগ নিয়ে একই গ্রামের মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহাম্মদ (৫০)'র সাথে ঝামেলা ছাড়াও ইবাদুল ও মাবুদ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করায় আমার স্বামী কে অপহরন করা হয়।

পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য খবির প্রামাণিককে রিপন ও ইকবাল বাড়ি থেকে নিয়ে গেলেও এই অপহরণ ও গুমের সাথে মৃত রজব আলীর ছেলে আহসান (৪০), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহম্মদ (৫০),মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে আজাহার মন্ডল (৬০), মৃত রিকাত প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাকু (৪৮), নাদের প্রামাণিকের ছেলে কুদ্দুস (৪৫), নাদের প্রামাণিকের ছেলে শফিকুর (৩৬), ময়ছের প্রামাণিকের ছেলে শাহিন (৩৭),মৃত কাশেম প্রামাণিকের ছেলে নাহের প্রামাণিক (৪৫), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোতাহের মালিথা, আক্কাস মালিথার ছেলে শামছুর (৩৬), রজব খাঁ'র ছেলে রানু খান (৪৫), লুকাই খাঁ'র ছেলে বক্কার (৫৫), আকবার প্রামাণিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত কফিলউদ্দিন খন্দকারের ছেলে আতাউর রহমান (৫৫) সরাসরি জড়িত। অনতিবিলম্বে এই সকল অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি অপহরণ ও গুমের রহস্য উদঘাটন করে খবির প্রামাণিককে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়েছে : নানক

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশি-বিদেশি সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।

এক বিবৃতিতে তিনি সারা দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নানক বলেন, গত ৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে হটানো হয়েছে। এরপর সমগ্র বাংলাদেশে নিবির্চারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ভয় ও ত্রাসের রাজস্ব সৃষ্টি করা হয়। স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে কুক্ষিণত করে নৈরাজ্যবাদীরা। সারা দেশে পুলিশের থানাগুলোতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশবাহিনীর সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়।

বিবৃতিতে নানক বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে এনে ইতিহাসের ভয়াবহতম সন্ত্রাসের বিস্তার ঘাটানো হয় এবং সেটাকে নৈতিক বৈধতা দেয় সন্ত্রাসভিত্তিক রাজনৈতিক অপশক্তি। তাদের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের শিকার হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সনাতনী ধর্মবিলম্বী জনগোষ্ঠীসহ দেশের সাধারণ মানুষ। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারায়, অগণিত মানুষ আহত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হয়।

সহিংসতায় জড়িতদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের ঘটনার পরে একে একে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম স্মৃতি মেহেরপুরের আম্রকানন মুজিব নগর যাদুঘর, জাতির পিতার ভাস্কর্য, প্রতিমূর্তি, জয়নুল আবেদীনের ভাস্কর্য ভাঙ্গার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ধরনের হীন অপচেষ্টা বাঙালির ঐতিহ্য ও চেতনার মূলে আঘাত। যা বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ব্যথিত ও মর্মাহিত করেছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কমকাচের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


আরও খবর



মেহেরপুর সদরে কৃষি প্রদর্শনী প্লটের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

সারাদেশে কৃষি ও কৃষকের মান উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হলেও সেই প্লটের বরাদ্ধকৃত বাজেটের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান ও গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। কৃষকদের দাবি নামমাত্র কৃষি উৎপাদন সামগ্রী দিয়ে তুলে নেয়া হয় তাদের প্লট বরাদ্ধের বাজেটের টাকা। বাজেটের তথ্য চাইলে বদলির হুমকি ও বদলি করা হয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের। আর এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।

কৃষি ও কৃষকের মান উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হলেও সেই প্লটের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে। এর মাধমে আধুনিক চাষাবাদ সম্প্রসারণে প্রদর্শনী খামারে বরাদ্ধ রাজস্ব খাতের হাজার হাজার টাকা লোপাট করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তায় কৃষি গবেষণাগারে উচ্চ ফলনশীল জাতের খাদ্য শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এসব উচ্চ ফলনশীল জাত চাষাবাদে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রশিক্ষণ লুদ্ধ জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগের জন্য কৃষকদের সংশ্লিষ্ট ফসলের প্রদর্শনী খামার স্থপানে আর্থিক সহায়তা করা হয়। ফসল ভেদে প্রদর্শনী খামার ৫০ শতক বা ৩৩ শতক বা ২.৪৭ শতক হয়ে থাকে। প্রদর্শনী খামারে বীজ, বিভিন্ন প্রকার সার, পরিচর্যা, পরিবহন, বীজ সংরক্ষণসহ নগদে আনুসঙ্গিক খরচ প্রদান করে থাকে। তবে ফসল ভেদে এই খরচের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। মেহেরপুরে সদরে দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের প্রদর্শনী স্থাপনের জন্য প্রদত্ত সরকারি অর্থ বিভিন্ন অপকৌশলে লোপাট করছে।

আর কৃষকরা বলছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা নামমাত্র কিছু সহযোগিতা দিয়ে তুলে নেয়া হয় প্রদর্শনী প্লটের অর্থ। তবে কখনো দেখানো হয়নি বরাদ্দের পরিমাণ বলে দাবি কৃষকের।

ট্রাইকো কম্পোস্টসার চাষি বলেন, আমাকে টাইকো কম্পোস্টের প্রদর্শনী দিয়েছিলো। প্রদর্শনীতে উপকরণ হিসাবে আমাকে ১০টা রিং, ১০টা ১৫মিলির টিনও ৬ খুটি এই গুলো ছিলো খুবিই নিন্মমানের যা আমাদের কোনো কাজে আসবেনা। আমরা শুনেছিলা যে ২০ হাজার টাকা বাজেট আছে আমাদের এসব উপকরণের জন্য। রিং গুলো উঠালে ভেঙ্গে যাচ্ছে আর টিনগুলো খুবই নিম্নমানের দিয়েছে যা আমাদের কোনো কাজে আসবেনা একই কথা যানান ট্রাইকো কম্পোস্ট প্রদর্শনী পাওয়া খামারীরা ।

ড্রাগনচাষী চাষীরা জানান,  আমার বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষ আছে।  তিন বিঘা ড্রাগনচাষে প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ। একদিন উপসহকারী কৃষি অফিসার আসে দেখ  আমাকে প্রদর্শনী প্লট দেওয়ার কথা বলে  যাতে আমাকে কিছু সার বিষ দেওয়ার কথা বলেন। আমাকে দেড় হাজার টাকার মতো সার দিয়েছে আর বাকিটা দেব দেব করে দিবে কিনা জানিনা। তবে যারা আওয়ামী লীগ করে তারা ছাড়া কেউ কৃষি অফিস থেকে সুবিধা পাইনি। এমনকি যাদের আবাদ নেই তারা বেশি পেয়েছে । যারা সাধারণ চাষী তারা কেউ  পাইনি বলেই চলে। কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়নি।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কখনো দেখানো হয় না বরাদ্দের চিঠি, শুধুমাত্র আমরা সিলেক্ট করে দেই কৃষক তালিকা। বরাদ্দের তথ্য চাওয়া হলে  বদলি ও দেওয়া হয় বদলির হুমকি বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি প্রদর্শনী প্লট ও এর বরাদ্দের তথ্য ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, বরাদ্দের বিষয়ে কোন কিছু জানানেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: মেহেরপুর

আরও খবর



দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান ফখরুলের

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্রুত নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় পার্টির কাজী জাফরের স্মরণ সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও সক্রিয় জানিয়ে ষড়যন্ত্র রুখতে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিবিপ্লব যাতে না ঘটে, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ছাত্র নেতৃত্বদের সজাগ থাকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাই।

সেইসঙ্গে শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, নতুন ভবিষ্যৎ জাতির সামনে, অতীতের সকল জঞ্জাল সরিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। মানুষের অধিকার রক্ষা হয়এমন দেশ গড়তে ১৫ বছর ধরে বিএনপি লড়াই করছে, প্রাণ দিয়েছেন অনেকে।

ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদের নায়ক শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তার দোসররা কিছু পালিয়েছেন, বাকিরা লুকিয়ে আছেন। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সে সংস্কার হতে হবে। শেখ হাসিনার দোসরদের অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশে দেখতে চান না জনগণ।

এ সময় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর



শাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন সৈয়দ ছালিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছালিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির। তিনি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) উপ-রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ১৩ আগস্টে দাখিলকৃত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রাহমানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এতে পরবর্তী সময়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছালিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

নতুন দায়িত্ব নিয়ে সৈয়দ ছালিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

আরও খবর