আরও উন্নতি হয়েছে
ভারতের করোনা পরিস্থিতির। দীর্ঘ ৮৮ দিনের মাথায় দেশটিতে সর্বনিম্ন করোনা রোগী শনাক্ত
হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে মৃত্যু। এ অবস্থায় করোনার টিকাদান নীতিতেও পরিবর্তন এনেছে নরেন্দ্র
মোদির সরকার। আজ থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে সেখানে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৫৬ জন।
যা গত তিনমাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ নিয়ে সেখানে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬১ জনের করোনা
শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪২২ জনের। যা রোববারের তুলনায় বেশকিছুটা
কম। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন অনেক বেশি রোগী। একদিনে করোনা জয় করেছেন ৭৮ হাজার ১৯০ জন। ফলে
ভারতে সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ জনে।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো
জানিয়েছে, ভারতজুড়ে কড়া বিধিনিষেধের কারণে কমছে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
সোমবার ভারতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২ হাজার ৮৮৭ জনে।
করোনার দ্বিতীয়
ঢেউ সামাল দিতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। কোথাও লকডাউন
তো কোথাও আবার রাত্রীকালীন কারফিউ জারি হয়েছিল। সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হতেই সেই
কড়াকড়ি কিছুটা হলেও কমানো হচ্ছে। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুতে আজ থেকেই শুরু হয়েছে মেট্রো
পরিষেবা। উত্তরপ্রদেশে খুলেছে বার-রেস্তরাঁ।
তবে এর মধ্যেই
তৃতীয় ঢেউ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র সরকার। করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ
দেয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বাড়ানো হচ্ছে টিকাকরণের হার। সরকারি রিপোর্ট বলছে,
ইতোমধ্যে দেশটিতে ২৮ কোটি ৩৬ হাজার ৮৯৮ জনের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল
রোববারই অন্ধ্রপ্রদেশে একদিনে ১৩ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত
ভারতে রেকর্ড।