আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভারত সরকারিভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করেনি: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারিভাবে ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে বেসরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

তারা রপ্তানি বন্ধ করলেও এতে বাংলাদেশের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারত গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের উৎপাদিত গম তাদেরকে তো বিক্রি করতেই হবে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর গম আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছিল ভারত। তবে শুক্রবার থেকে দেশটি গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এ বিষয়ে রবিবার (১৫ মে) দুপুরে সিলেট সদর উপজেলায় খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।

দেশে খাদ্যসংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সুনামগঞ্জে সম্প্রতি বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। এ থেকে আমাদের ধান-চালের শক্তিশালী একটি মজুত গড়ে উঠবে। এছাড়াও গত আউশ ও আমন ধানেরও আমাদের প্রচুর মজুত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে আগামী আউশ ফসলও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই দেশে কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১ বছর থেকে আমরা বিদেশ থেকে চাল আমদানি করিনি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে। তবে গম আমাদের দেশে হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। কিন্তু এই দুদেশের যুদ্ধের সময়ে আমরা সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। পরবর্তীতে যা দরকার তাও ভারত থেকে আমদানি করা হবে।

সম্প্রতি পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না। সিলেটে ধান চাল সংরক্ষণের জন্য ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সাইলো নির্মানণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এজন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হবে।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখির তাণ্ডব: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট ও সুনামগঞ্জে রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় এ শিলাবৃষ্টি। একেকটি শিলা ছিল বিশাল আকারের। চৈত্রের শেষে এমন শিলাবৃষ্টি বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টির পর থেকে সিলেটের প্রায় সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সিলেটে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান রয়েছে। কারো এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে থাকলে বা ব্যানার ফেস্টুন অথবা গাছের ডাল-পালা বৈদ্যুতিক লাইনে পরে থাকলে তাদের অবগত করতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, রবিবার তারাবীর নামাজের পর সিলেট মহানগরসহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এরপর শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ফলে রাস্তায় থাকা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ঈদের কেনাকাটায় যাওয়া লোকজন বিপাকে পড়েন। শিলায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একেকটি শিলা আকারে অনেক বড় বড় ছিলো।

এর আগে সিলেটে এরকম শিলাবৃষ্টি দেখা যায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন অনেকেই। অনেকেই গাড়ি ভাংচুরের ছবি আপলোড দিয়েছেন। কারও কারও বাসার টিনের চালা ফুটো ও জানালার কাঁচের গ্লাস শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া অনেকের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক ও পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানা গেছে। আহত হয়েছেন খোলা জায়গায় ও রাস্তায় অবস্থান করা কেউ কেউ।

সিলেট মহানগরের টিলাগড় এলাকায় ঝড়ে আটকা পড়া বেসরকারি চাকরিজীবি সিরাজ উ্দ্দিন বলেন, যে বড় আকারের শিলা পড়েছে; তা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। এত বড় আকারের শিলাবৃষ্টিতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের পশ্চিমদর্শা এলাকায় একটি গ্যাসের রাইজারে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া এলাকায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অপরদিকে, সুনামগঞ্জে ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের আগাম জাতের ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন- ঝড়ে পাগলা বাজারের টিনশেডের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সুনামগঞ্জ শহরের ইকবালনগরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানচলাচল বন্ধ ছিল। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাত সোয়া ১১টায় আবারও বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

ঝড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা, কান্দিগাঁও, আসামপুর, বাঘেরকোনাসহ একাধিক গ্রামের অন্তত ২০ টি কাঁচা, আধাপাকা ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাগলাবাজারের। বাজারে সড়কের দুইপাশের অস্থায়ী দোকানপাট ঝড়ের বেগে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

এদিকে, সুনামগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি এলাকায় চলন্ত সিএনজির উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় চালকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বৈষভেড় গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের হাছন তোরণ এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় দুইপাশের পরিবহন আটকে তীব্র জানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টা ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের চেষ্টায় সড়কে জান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নিরুপন রায় চৌধুরী বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৫ জন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে সাদ্দাম নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। রয়েল নামের আরেক যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঝড়ের সঙ্গে মাঝারি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে হাওরের আগাম ধানের জাতের কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমরা সব জায়গায় খবর পাঠিয়েছি। তবে এখন হাওরে ফসলের ক্ষতি তেমন হবে না বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, রাত সোয়া ১০টায় তীব্র বেগে ঝড় আসে। সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝড়ে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর



জনপ্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রুবেল আহম্মেদ নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রুবেল আহম্মেদ পাকুড়িয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে আসা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপর বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

মাধবদী থানা পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পরও গাজায় বিরামহীন বোমা হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নেরও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অর্ধহারে-অনাহারে প্রায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ইউনিসেফের মুখমাত্র জেমস এল্ডার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেও গত দুইদিন ধরে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে চরম হতাশ গাজাবাসী।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আশায় জেগেছিলেন ক্ষুধার্ত গাজাবাসী। কিন্তু ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় সবকিছু নিরাশায় রূপ নিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।


আরও খবর