ভারত ছাড়াও
চীন, মিসরসহ ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার
(২৪ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূইয়া এ তথ্য জানান।
তিনি জানান,
ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এর বাইরেও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া
হয়েছে।
কামরুল ইসলাম জানান, চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ টন, মিশর থেকে ৩ হাজার ৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ টন, কাতার থেকে ১ হাজার ১০০ টন, তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০ টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়
সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির বিপরীতে
দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।
এর আগে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যটির স্থানীয় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশি করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। গত সোমবার (২১ আগস্ট) পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সাধারণত দেশে
প্রতি বছর আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে পেঁয়াজের আমদানিনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কর ও ৫ শতাংশ
অগ্রিম আয়করসহ মোট ১০ শতাংশ শুল্কারোপ আছে। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি
দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।