আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভার্চুয়াল বইমেলার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ লেখক-প্রকাশকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শপিংমল, সিনেমা হল, বিনোদন কেন্দ্র সব খুলে রেখে সভা সমাবেশ চলছে যখন তখন জাতীয় চেতনার ধারক অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করে ভার্চুয়াল মেলার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন লেখক, প্রকাশক, অ্যাক্টিভিস্টরা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া কোথাও কিছু আটকে নেই, সেখানে বইমেলা নিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। বলছেন, একুশে মেলা কেবল বই কেনা-বেচার জায়গা নয়। ভার্চুয়ালি বই বিক্রির অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সাবধানতার সঙ্গে চলবে বলা হচ্ছে। সেটি নিশ্চিত করলেই এই প্রাণের মেলা বন্ধ করতে হয় না। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে বরং কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন আপাতত স্থগিত রাখার আবেদন করবে বাংলা একাডেমি বলে জানান একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। রবিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে করতে যাওয়া আবেদনে অনলাইনে বইমেলা আয়োজন করা যায় কিনা, সেটাও বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

বইমেলার দৃশ্যমান যে উৎসব মুখর অবয়ব বা উদযাপন,  তার বাইরেও এর অদৃশ্য বিশাল একটা সক্রিয়তা রয়েছে উল্লেখ করে জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সেই সক্রিয়তা মূলত এর সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষের জীবিকা ও অস্তিত্বের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের বাস্তবতায় লেখকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ প্রকাশক থেকে শুরু করে ছাপাখানার কর্মী, মালিক, বাঁধাইখানার শ্রমিক, এমনকি দোকান ভাড়া থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। সারা বছর কী পরিমাণ বই বিক্রি হয়, তা আমরা জানি। আমরা এও জানি, এই সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি মানুষ মূলত অপেক্ষায় থাকেন এই এক মাসের বইমেলার জন্যই। এর ওপরই মূলত এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যুক্ত অসংখ্য মানুষের টিকে থাকা নির্ভর করে। ফলে, বইমেলা না হলে এদের পরিস্থিতিটা কী হবে, সেটি ভেবে দেখাটা জরুরি। যেখানে এই করোনাকালে শপিং মল থেকে শুরু করে সব ধরনের জন-জমায়েতই আমরা দেখছি। নানান সভা-সমাবেশ, ওয়াজ-মাহফিল, মুক্ত গ্যালারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ পর্যন্ত। সেখানে করোনার দোহাই দিয়ে কেন কেবল বইমেলাই স্থগিতের প্রস্তাব উঠছে, বিষয়টি পরিষ্কার নয়। আমার মনে হয় করোনার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে হলেও বইমেলাটা হওয়া উচিত। সেটি মাসখানেক পিছিয়ে হলেও।

ভার্চুয়ালি আবার বইমেলা হয় কী করে? প্রশ্ন করে লেখক ও সাংস্কৃতিক অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ তানজীনা ইমাম বলেন, মহান একুশে গ্রন্থমেলা কি শুধুই বই ব্যবসা? বইমেলা লেখক পাঠক প্রকাশকসহ কত শত মানুষের মিলন মেলা। একুশে গ্রন্থমেলা এ ভূখণ্ডের ঐতিহ্যের অংশ।

তিনি আরও বলেন, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে শপিং সেন্টার কি বন্ধ আছে? শপিং সেন্টারগুলোর সামনে দিয়ে যাওয়া যায় না এমন যানজট। বন্ধু-বান্ধবদের টাইমলাইন ভর্তি বিভিন্ন অবকাশ কেন্দ্র আর রিসোর্টে বেড়ানোর ছবি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিজগিজ করছে মানুষ। কই এসব ক্ষেত্রে তো কোনও নিষেধাজ্ঞা দেখি না।

আমরা ভার্চুয়ালি নয় একচুয়ালি বইমেলা চাই। প্রয়োজনে আরও বড় পরিসরে আরও ছড়িয়ে দূরে দূরে স্টল তৈরি করেন। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা ও দূরত্ব বজায়ের ব্যবস্থা করেন। তবু অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলার সংস্কৃতির এক মাইলফলক এর কোনও ব্যত্যয় ঘটানো চলবে না।

প্রয়োজনে কিছুটা পিছিয়ে হলেও ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ মার্চ শেষ হোক প্রস্তাব দিয়ে লেখক সাখাওয়াত টিপু বলেন, বইমেলা অনলাইনে নেওয়ার বুদ্ধি দিলো কে? দেশে তো সবকিছুই খোলা। সবাই তো স্বার্থমতো সভা সমাবেশ করতে পারে। তাহলে কেন বইমেলা খোলা ময়দানে হবে না? বইমেলা খোলা ময়দানে হোক।

ইউপিএল প্রকাশনীর মাহরুখ মহিউদ্দীন মনে করেন, ভার্চুয়াল পার্ট রাখা যেতে পারে কিন্তু ডিসটেন্স রেখে স্টল করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ রাখা অসম্ভব না। তিনি বলেন, আমাদের তো করোনা পরিস্থিতিতে পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকাল থাকতে হবে বলে সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে। সেখানে মেলা কেন হবে না। আমাদের যে টেকনোলজি আছে, ফ্যাসিলিটি আছে সেসবকে কাজে লাগিয়ে আমরা খোলা জায়গায় নিয়ম মেনেই মেলা করতে সক্ষম। ফলে প্রকাশকদের সঙ্গে বসে মতামত নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা সমীচীন হবে।

নিউজ ট্যাগ: বইমেলা

আরও খবর



পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খুজদার শহরে রোববার রাতে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত দুইজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, খুজদারের ব্যস্ত শপিং এলাকা উমর ফারুক চকে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন। খবর ডনের।

একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, বিস্ফোরণে দুজন নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনী বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছেছে। তারা মৃতদেহ ও আহতদের খুজদার টিচিং হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে৷

হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেছেন, আমরা হাসপাতালে দুটি মরদেহ ও পাঁচজন আহত ব্যক্তি পেয়েছি।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)উমর ফারুক চকে রেখে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলের আইইডিটি রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে বিস্ফোরণ করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।


আরও খবর



গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন: জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ৫৩ বছর আগের এই দিনে মধ্যরাতে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক ফেসবুক পোস্টে এমন কথা বলেন। এ সময় তিনি দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

ওই পোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান জয়। তিনি লিখেন, বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেস বার্তায় বলেছিলেন, এটাই সম্ভবত আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় পোস্টে আরও লিখেন, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন এবং মাত্র ৯ মাসেই বিজয় অর্জন করেছিলেন। আজ স্মরণ করি বঙ্গবন্ধু এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাকে। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

নিউজ ট্যাগ: সজীব ওয়াজেদ জয়

আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




স্বামীর সাথে ঝগড়া করে শ্বশুরবাড়িতে বোমা হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি নিত্যদিনের। দাম্পত্য কলহ এমনই পর্যায়ে পৌঁছয় যে, স্বামী-স্ত্রীর চিৎকারে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীরাও। সেই পারিবারিক অশান্তিতে বোমা হামলার অভিযোগ উঠছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করার জন্য জামাইয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার অভিযোগ উঠছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে চার জন। আহতদের প্রত্যেককে ভর্তি করানো হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে।

স্থানীয় সূত্রে আনন্দবাজার জানায়, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ব্লকের তিন পাকুরিয়া অঞ্চলের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা রেহেনা খাতুন ও মেহেদী হাসানের বিয়ে হয় বছরখানেক আগে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তাদের। মাঝেমধ্যেই সাংসারিক অশান্তি মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। মঙ্গলবার মাঝরাতেই হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়েও পড়েন স্থানীয়েরা। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, রেহানার পরিবারের লোকজনই জামাইয়ের বাড়িতে বোমা হামলা করেছেন। বোমার আঘাতে রেহানার পরিবারের চার সদস্য জখম হন। যাঁদের মধ্যে তিন জনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

মেহেদীর পরিবারের সদস্য দিলরুবা বেওয়ার বলেন, রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমাদের। আমাদের বাড়ির লোকজনকে খুন করার উদ্দেশে বোমা হামলা হয়। বৌয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

এদিকে, সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রেহানার বাপের বাড়ির লোকেরা।


আরও খবর



বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে এখনো আমরা রয়েছি। আমাদের লক্ষ্যে এখনো আমরা পৌঁছাতে পারিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাত থানার কারা-নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে বা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন গত আড়াই মাসে। পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই, কারও পা চলে গেছে, কারও হাত চলে গেছে আর কারও পৃথিবীর আলো চলে গেছেদুই চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে আজকে অনেক নেতাকর্মী অন্ধ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঈর্ষা থেকে হুমকি দিচ্ছেন উল্লেখ করে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন বলছেন, এবার আমরা বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করব। লজ্জা করল না বলতে? পৃথিবী মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকরতম সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন পার্শ্ববর্তী দেশে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা ভারতে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, একমাত্র তারাই আপনাদের সমর্থন জানিয়েছে।

এত বড় সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্যতা মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের বন্ধুত্ব। আপনাদের মন্ত্রী বলেছেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আর আপনারা বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নাকি তাড়াবেন।


আরও খবর



মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থাপনা সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে রমজান মাসে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড হয়েছে। পবিত্র এই মাসের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে দুই কোটিরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, একই সময়ে মসজিদে অবস্থিত আল রওজা আল-শরিফায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারীসহ মোট ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। আল রওজা আল-শরিফা পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের পৌঁছানোর আগে সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বলেছে, মুসল্লিদের স্বস্তিতে ইবাদত নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে সেখানে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

রমজানের শেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক জুমআর নামাজ আদায় করতে গতকাল মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এসপিএ বলছে, মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য আগেই মসজিদে নববীর ছাদ ও চত্বর প্রস্তুত করা হয়েছিল; যাতে মুসল্লিরা শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

সাধারণত রমজান মাসে মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় ওমরাহ পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা ছুটে যান। ওমরাহ পালনের পর অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে যান।

সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মসজিদে নববীতে ২৮ কোটিরও বেশি মুসলমান নামাজ আদায় করেন। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর