১৭ মাস ধরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা কক্ষের ভাড়া দিচ্ছেন না নুর। তাকে কক্ষ ছাড়তে নোটিস দেয়া হলেও তিনি সেটি দখল করে নেয়াসহ নানা হুমকি দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুরানা পল্টন এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভবন মালিক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমতে পারে তাপমাত্রা
শুক্রবার (২১
জুলাই) রাতে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
সালাউদ্দিন মিয়া। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার ওই কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হাঙ্গামার
কয়েক ঘণ্টার পর গভীর রাতে পল্টন থানায় মামলাটি হয়। মামলায় নুরের নেতৃত্বাধীন অংশের
সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৭৫ থেকে
৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নুর তার রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এই ভবন মালিক মিয়া মশিউজ্জামানকেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেন। ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক আর বিদেশ থেকে তোলা টাকার হিসাব না দেয়ার অভিযোগ তুলে দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া সম্প্রতি নুরের বিরাগভাজন হলে মশিউজ্জামান এই পদক্ষেপ নিলেন।
আরও পড়ুন: এবার পোল্যান্ডকে পুতিনের হুমকি!
মশিউজ্জামানের
করা মামলায়, নুর ও রাশেদ খাঁন ছাড়াও আসামি হিসেবে শহীদুল ইসলাম ফাহিম, বিপ্লব কুমার
পোদ্দার, ম হাসান, মনজুর মোরশেদ, বিনা ইয়ামিন মোল্লা, রবিউল ইসলাম, শাকিল উজ্জামান,
সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ফাতেমা তাসনীম, হেলেনা আক্তার, সাব্বির হোসেন, অর্ণব হোসেন,
ইমরান হোসেন ও আবির ইসলাম সবুজের নাম রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে ২০২২ সালের ১ মার্চ থেকে মিয়া মশিউজ্জামানের প্রীতম জামান টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় ২৬০০ বর্গফুটের কক্ষটিকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার চুক্তি করেন নুরুল হক নুর। কিন্তু ভাড়া পরিশোধ না করে শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোববার ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী