আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

ভাঙ্গনের মুখে বেতাগী শহরের বেড়ি বাঁধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার বেতাগীতে বর্ষার আগেই বিষখালী নদীর ভাঙনের মুখে পড়ায় আতঙ্কিত ও ভাঙনরোধে কাজ শুরু না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় কাটাচ্ছে বাসিন্দারা।

কাজ শুরুর আগেই ফের শহর রক্ষা বাঁধের একাধিক স্থান ও সড়কে ফাটল ধরায় কাঠ বাজার ও লঞ্চঘাট এলাকা রক্ষায়ই এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে ভাবে ধেয়ে আসছে তাতে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করা না হলে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে চরম সমস্যায় পড়তে হবে এবং ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করতে পারে।

ইতোপূর্বে বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে লঞ্চঘাট, বন্দর, ছোট ছোট কলকারখানা, শত শত দোকান পাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে ভেড়িবাঁধ, ধানের খেত, মসজিদ ও মাদ্রাসা। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এখন ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নব নির্মিত মডেল মসজিদ, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, যাত্রী ছাউনি, ভেড়িবাঁধ, বদনীখালী ও শহরের বাকী এলাকা।

শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দা মো: শাহ আলম রুবেল বলেন, ভাঙনের কবলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি, বাপ-দাদার বসতভিটাও চলে যাচ্ছে। এখনো ভাঙনরোধে প্রকল্পের কাজ শুরু না করে এভাবে চলতে থাকলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? নদীর পাড়ের বাসিন্দা শ্রমজীবী আব্দুর রব বলেন, বর্ষা চলে এসেছে, জানি না এবার আমাদের কপালে কী আছে। বিষখালী এখনই যেভাবে ভাঙছে, বর্ষা এলে কী অবস্থা হবে ভেবেই বুক কাঁপছে।

জানা গেছে, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছরের ২২ ফ্রেরুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১১তম সভায় বরগুনা জেলাধীন পোল্ডার নং ৪১/৭ এ বেতাগী শহর রক্ষা সহ বিষখালী নদীর অন্যান্য ঝুকিপূর্ণ অংশের প্রতিরক্ষা কল্পে ৪০৪ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন ও বরাদ্ধ দেওয়া হয়।

কিন্ত ভাঙন তীব্রতর হলেও অদ্যাবধি ভাঙন প্রতিরোধে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তাও কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। বর্ষা মৌসুমের আগে কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

কাঠ বাজার এলাকার ঝালকাঠী ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকশর্পের মালিক মো: সোহেল হাওলাদার বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে তাঁর দোকান এলাকায় ভাঙন বেড়েছে। বর্তমানে পাকা সড়কে ফাটলে তার প্রতিষ্ঠানের খুব কাছে নদীর ভাঙন চলে এসেছে। ঐ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হতে আর সময়ের ব্যাপার মাত্র। সামনের বর্ষায় ভাঙন আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে। এভাবে অব্যাহত থাকলে ভাঙনের কারণে স্থানীয়দের অনেক পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হবে। বহুদিন ধরে শুধূই শুনে আসছি কাজ শুরু হচ্ছে, কাজ শুরু হবে। কিন্ত কোন অগ্রগতি দেখছিনা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি ঐ এলাকায় সরজমিনে গিয়ে রক্ষা বাঁধের ভাঙনের অবস্থা পর্যক্ষেন ও পরিদর্শন করে এসেছেন। যেহেতু প্রকল্পটি বাস্তায়ন প্রক্রিয়া চলমান। সেহেতু সেখানে সংস্কার কাজ করার সুযোগ কম। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে তবুও বাঁধের উপর নির্মিত সড়কটি সংস্কারের জন্য স্যারের সাথে কথা বলে প্রস্তাব পাঠানো যায় কিনা তা বিবেচনায় রয়েছে।

বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বিষখালী নদীর ভাঙন রোধে শহর রক্ষাবাঁধ প্রকল্পটির টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম পান্নার সাথে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বেতাগী পৌর সভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির জানান, ইতোমধ্যে দরপত্র দাখিল করা হয়েছে। ঠিকাদার চূড়ান্ত করার পর আশা করি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন পূর্বক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং যথা শীঘ্র সম্ভব টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত শেষে কাজ শুরু করা হবে।


আরও খবর



শচীনকে টপকে রেকর্ড গড়লেন কোহলি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সুপার ফোরের রিজার্ভ ডে-তে পাকিস্তানের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়েছেন বিরাট কোহলি। ৯৪ বলে খেলেছেন অপরাজিত ১২২ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর তাতে স্বদেশী শচীন টেন্ডুলকারকে টপকে ওয়ানডেতে দ্রুততম ১৩ হাজার রান করার রেকর্ড গড়েছেন কোহলি।

দ্রুততম ১৩ হাজার রানের ক্লাবে ঢুকতে শচীনের ইনিংস খেলতে হয়েছিল ৩২১টি। আর কোহলি তা করেছেন ২৬৭ ইনিংসে। এছাড়া শচীনের ওয়ানডে শতক ৪৯টি। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে কলম্বোতে সোমবার কোহলি হাঁকিয়েছেন নিজের ৪৭ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। মাত্র ২৬৭ ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছান কোহলি। রঙিন পোশাকে শচীনকে স্পর্শ করাটা এখন কোহলির কাছে শুধুই যেন সময়ের অপেক্ষা।

৪৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করতে শচীনকে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো ৪৩৫ ইনিংস পর্যন্ত।  শচীনের চেয়ে ১৬৮ ইনিংস কম খেলে দ্রুততম ৪৭টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডও এখন কোহলির দখলে। বর্তমানে কোহলির মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭৭টি। শচীনের একশ সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করতে হলে, আরও ২৩টি সেঞ্চুরি করতে হবে কোহলিকে।

ওয়ানডেতে ১৩ হাজারি ক্লাবের ক্রিকেটার:

বিরাট কোহলি, শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং (৩৪২ ইনিংস), কুমার সাঙ্গাকারা (৩৬৩ ইনিংস) ও সনাৎ জয়সুরিয়া (৪১৬ ইনিংস)।


আরও খবর



কমেই চলেছে পাটের দাম, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে হাট

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বেড়া-সাথিঁয়া (পাবনা) প্রতিনিধি:

বিশ্বে পাট থেকে উৎপাদিত সোনালী আঁশের দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। দেশ-বিদেশে পাটের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। সরকার পাট রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করলেও কোনো কিছুই প্রান্তিক পাটচাষিদের মুখে হাসি ফোটাতে পারছে না।

পাটের বাজার সিন্ডিকেট দখল করায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাবনার প্রান্তিক কৃষকরা। এখন হতাশাগ্রস্ত কৃষকরা পাট আবাদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

পাবনার কাশিনাথপুর হাটে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভোরের আলো না ফুটতেই কৃষকরা আবাদি সোনালী আঁশ পাট নিয়ে হাঁটে আসছেন। ঘোড়ার গাড়ি, মহিষের গাড়ি, কেউবা করিমন, নসিমন ও ভ্যানে করে ছড়ানো আঁশ পাট নিয়ে অপেক্ষা করছেন। ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়াতে পাট পলিথিন দিয়ে ডেকে রেখেছেন কৃষকরা। বেশি দামের আশায় বাজারে পাট নিয়ে এলেও হঠাৎ দরপতনে হতাশ তারা। গত হাটে পাটের সর্বোচ্চ দাম ২৬৫০ টাকা থাকলেও মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে বর্তমান ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে নেমে এসেছে।

কৃষকরা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা পাটের দাম কমানোর জন্য অজুহাত খোঁজে। সামান্য বৃষ্টি বা হাঁটে পাটের আমদানি বেশি হলে সিন্ডিকেট করে পাট ক্রয় করে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী দাম দিয়ে পাট ক্রয় করা হচ্ছে। বেশি দাম দিয়ে কিনলে বড় বড় আড়তদাররা বেশি দাম দিতে চায় না। বাধ্য হয়ে এমন দামে কিনতে হয় তাদের।

কাশিনাথপুর হাটে আসা বরাট গ্রামের কৃষক মুন্নাফ শেখ জানান তিনি বলেন, এ বছর ৫/৭ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। ফলন মোটামুটি হয়েছে। বাজারে বিক্রি করতে এসে দেখি ১৭০০ টাকা করে ব্যবসাযীরা দাম বলছে। ১৮০০ টাকা হলে বেপারী কিনে নিচ্ছে। গত হাটেও পাট বিক্রি করেছি ২৬০০ টাকা করে। সামান্য বৃষ্টি বা অন্য অজুহাতে সিন্ডিকেট তৈরি করে ব্যবসায়ীরা পাট কম দামে কিনতেছে। চিন্তা করতেছি আর পাট আবাদ করব না। পাট বিক্রি করে খরচই উঠছে না। এ দামে পাট বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরিও হয় না।

পাট বিক্রি করতে চিনাখড়া হাটে আসা কিরন মন্ডল বলেন, রাত ৪টার চিনাখড়া হাটে পাট নিয়ে আসছি। ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে যে পাটের দাম রাতে ২২০০ টাকা ছিল সেটি সকালে বৃষ্টি হওয়াতে কমিয়ে ১৮০০ টাকায় নামিয়েছে। পুরো দেশ এখন সিন্ডিকেটের দখলে। তাদের জন্য আমরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। মরে শেষ হয়ে যাচ্ছি। পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই। একেক হাঁটে যদি একেক দাম হয় তাহলে কীভাবে চলবে? সরকার যদি পাটের দাম নির্ধারণ করে দিতো তাহলে আমরা সঠিক দাম পেতাম। এখন লাভের গুঁড় পিঁপড়ায় খায়।

পাবনার কাশিনাথপুর পাটের পাইকারি ব্যবসায়ী মোসলম বলেন, গত বছরে এই সময়ে প্রতি মণ পাট ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এবছর সবচেয়ে ভাল পাট আমরা ২৩শ থেকে ২৬শ টাকা করে কিনতেছি। আসলে দেশে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সিন্ডিকেটের জন্য দাম উঠানামা করে। সরকারের বিদেশ থেকে পাট আমদানি না করে রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশের সঙ্গে শক্ত করে পাট রপ্তানির চুক্তি যদি সরকার করে তাহলে প্রান্তিক চাষিরাও লাভবান হবে আমরাও ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।

ব্যবসায়ী শরৎ চন্দ্র বলেন, আমরা পাবনার বিভিন্ন হাট থেকে পাট কিনে খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বগুড়াসহ বড় বড় আড়তদারদের কাছে পাইকারি বিক্রি করি। বড় বড় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করলে এসব ছোট ছোট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ হবে না। অনেক সময় বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষকরা দাম কম পাচ্ছে সেটা ঠিক আছে তবে সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক বাজার দর ঠিক করা দরকার।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, এ বছর পাট আবাদের শুরুতেই বৃষ্টি হওয়াতে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরপর পাট কাটার শুরুতে পানি না থাকায় কৃষকরা বিড়ম্বনার শিকার হলেও পরে বৃষ্টি হলে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছে। যার জন্য এবার সব দিক থেকেই কৃষকরা সুবিধা পেয়েছে। শুরুতে পাটের বাজার দর ২৬০০ টাকায় কৃষকরা খুশি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ১৮০০-২০০০ হাজারে দাম নামল কি জন্য সেটা বুঝে আসছে না। বাজারকে সঠিক রাখার দায়িত্ব কৃষি বিপণন কেন্দ্রের। দামের বিষয়ে প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করলে ভালো হয়। তারপরও বাজারে যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

পাবনা জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন (বাজার) কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, গতবার অনেক ব্যবসায়ী ৩ হাজার টাকা করে পাট কিনে পরে ২ হাজার টাকা করে বিক্রি করাতে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে এবার পাট কেনার আগ্রহ কম। বৈশ্বিক বাজারের উপর নির্ভর করে তারা পাট কিনে থাকে। এরপরও এবার ২৩০০ টাকা করে পাট বিক্রি হচ্ছিল।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলায় ৪৫ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। গত বছরে আবাদ হয়েছিল ৪০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এখান থেকে ১ লাখ ৩০ টনের বেশি পাট উৎপাদন হওয়ার কথা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সিন্ডিকেট পাট

আরও খবর



বিএসএমএমইউ’তে বিশ্ব ফুসফুস দিবস-২০২৩ পালিত

রোগ প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষায় ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে হবে: শারফুদ্দিন আহমেদ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নানা আয়োজনে বিশ্ব ফুসফুস দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে বার্ণঢ্য শোভাযাত্রা ও সেমিনারের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ। সকাল ৯টায় বি ব্লকের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ডি-ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। পরে ডি ব্লকের ১৬ তলায় রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হয়। ধূমপান বন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও জোরদার করতে হবে। সুস্থ ফুসফুসের জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ অক্সিজেন। তাই পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিশ্চিত করতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। ফুসফুসের রোগ বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষায় ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর ৪৫ কোটি লোক ফুসফুসের রোগে ভোগে। ৪ কোটি লোক মারা যায়। ফুসফুসের রোগ এখন মৃত্যুর তৃতীয় কারণ। বিশ্ব ফুসফুস দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল ফুসফুস কে ভালো রাখা। ফুসফুস আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই ফুসফুসকে ভালো রাখার জন্য জনসচেতনতা তৈরী এই বিশেষ দিবসের মূল উদ্দেশ্য। পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে আমাদের স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। যেমন কোভিড-১৯ এর একটি অন্যতম উদাহরণ। এছাড়া আবহাওয়া গত কারণে হাঁপানী, সিওপিডি এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশগত দূষণ, ধুমপান এই হার আরও বৃদ্ধি করছে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিকার গুরুত্বপূর্ণ তাই জনসচেতনতার কোন বিকল্প নাই। বর্তমানে যক্ষ্মা, সিওপিডি, হাঁপানী, ডিপিএলডি রোগের রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা হাসপাতালের সক্ষমতার উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই দিন উৎযাপনের মাধ্যমে আমরা জনসচেনতা সৃষ্টি করতে চাই। যাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বাস্থ্য সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। যেমন কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় আমরা সকলের জন্য অক্সিজেন, ঔষধ এবং আইসিইউ নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এভাবেই বিশ্ব ফুসফুস দিবস সমাজের সর্বস্তরে মানুষের মাঝে আমরা প্রচার করতে চাই যে সকলের জন্য বক্ষব্যাধি সমূহের স্বাস্থ্য সেবা, বাদ যাবে না একজনও

বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বক্ষব্যধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. ছন্দা সুলতানা ডোরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর পরিচালক (মার্কেটিং অপারেশন্স) মোঃ মুহসিন মিয়া। এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রা ও সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখসহ রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



যে কারণে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন তৈমূর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সাবেক নেতা প্রয়াত নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিল আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। আমি তো দল ছাড়িনি। একজন বহিষ্কৃত লোক কত বছর একটা পতাকা টেনে নিতে পারে? এখন আমার পরিচয় কী? মারা গেলে আমার পরিচয় কী হবে? কোন ব্যানারে আমি বক্তব্য দেব। আমার জন্ম তো রাজপথে। আমি মানুষের জন্য কথা বলতে চাই। সারাজীবন বলে আসছি।এই অভ্যাস আমি কীভাবে পরিবর্তন করব?

তিনি বলেন, আমার বয়স এখন ৭২ চলছে। এত বছর পুলিশের মার খেয়ে, জেল খেটে, গুলি খেয়ে, অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করেও যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারিনি এখন সেটা কীভাবে পরিবর্তন করব? যেহেতু বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে, সেহেতু আমাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। আমি সেখানেই যাচ্ছি। আশা করি শীর্ষ পদেই থাকব।

জানা গেছে, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত কাউন্সিলে বিএনপির সাবেক, বহিষ্কৃত ও নিষ্ক্রিয় একঝাঁক নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নামের সঙ্গে মিল থাকা তৃণমূল বিএনপিতে নতুন চমক থাকছে। দলটির শীর্ষ দুই পদে আসতে যাচ্ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) তৈমূর আলম খন্দকার। শুধু তারা নয়, পর্যায়ক্রমে বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং নিজ থেকে ছেড়ে দেওয়া নেতারাও যোগ দেবেন। এ তালিকায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ-সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারও আছেন।

তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এ তালিকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও আছেন। সবাই ভালো পদে থাকবেন বলে আশা করি।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায় তৃণমূল বিএনপি। দলটির নির্বাচনী প্রতীক সোনালি আঁশ। নাজমুল হুদার মৃত্যুর পর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তার মেয়ে অন্তরা হুদা।

নিউজ ট্যাগ: তৃণমূল বিএনপি

আরও খবর



স্বর্ণ চুরির মামলায় কাস্টমসের আট কর্মকর্তার নাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলার বিবরণে কাস্টমসের আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সোনা চুরির ঘটনার সময় বিমানবন্দরের ওই গোডাউনে দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার পর কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আট সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গুদাম থেকে স্বর্ণ গায়েব: যে ধারণা করছে কাস্টমস

মামলার এজাহারে যে আট কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন শিফট কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সাইদুল ইসলাম শাহেদ, সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আকরাম শেখ, রেজাউল করিম, মো. মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার।

এজাহারে বলা হয়, ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই আট কর্মকর্তাকে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার, কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তাঁরা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, শাহজালালের কাস্টমসের গুদামের গুদাম কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঢাকার যুগ্ম কমিশনারকে ফোন দিয়ে জানান, বিমানবন্দরের লস্ট ও ফাউন্ডের সংলগ্ন কাস্টমস ট্রানজিট এলাকার গুদামে প্রবেশ করে দেখতে পান, গুদামের ভেতরের একটি স্টিলের আলমারির লকার ভাঙা এবং এসির ওপরের একটি টিনের অংশ কাটা রয়েছে। কাস্টমসের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৫৫.৫১ কেজি স্বর্ণ লকারে পাওয়া যায়নি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: স্বর্ণ গায়েব: কাস্টমসের চার সিপাহি পুলিশ হেফাজতে

বিমানবন্দরের ভেতরে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। কাস্টমস হাউসের গুদামটিতে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত ঢাকা কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলোর জব্দকৃত মালামালগুলো এখানে রাখা হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানা যায়, কাস্টম হাউস থেকে স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনায় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ছাড়া থানা-পুলিশ, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তদন্ত শুরু করেছেন।

পুলিশের দাবি, এটি কোনো সাধারণ ভল্ট না। সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা চোরের চুরি করা সম্ভব না। এ ছাড়া ওই জায়গাটি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা। এ ছাড়া পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত। 

এদিকে গতকাল রাতে এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর বিমানবন্দর থানা-পুলিশ চারজন সিপাহিকে তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনায় মামলা

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, আমরা মামলা হওয়ার পর চারজনকে এনেছি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু এ ঘটনায় কাউকে আটক করিনি। এমনকি কাউকে আমরা গ্রেপ্তারও করিনি। তবে তদন্তের জন্য যাঁকে প্রয়োজন হবে, তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করব।


আরও খবর