ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচড়া ও সোনাখোলা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
কয়েক ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে প্রায় ৩০ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচটি বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটতরাজ করা হয়। দুইটি পাটকাঠির মাচায় আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন-রুবেল, জালাল, সালেহা বেগম, খোকন মুন্সি, রাজ্জাক শেখ, ওমর আলী মোল্লা, ইমরান মাতুব্বর, এনামুল শেখ, লালন হরকরা, রমজান শেখ, হিট মাতুব্বর, মিজানুর মুন্সি, বোরহান শেখ, জাকির ও বিল্লাল। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা গেছে, আলগী ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান কাউসার ভূঁইয়ার একটি জমির ওপর বালিয়াচড়া গ্রামের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করত। সেখানে সোনাখোলা গ্রামের কিছু লোকজন খেলাধুলায় বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে সোনাখোলা গ্রামের কয়েকজন যুবক বালিয়াপাড়া গ্রামের মিরাজ, আলামিন, সাঈদ ও নাঈমকে মারধর করে। সেসময় স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি নিয়ে সোনাখোলা ও বালিয়া চড়া গ্রামের মাতব্বর সালিশ বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে সোনাখোলা গ্রাম ও বালিয়াচড়া গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বালিয়াঢড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার মোল্লা, হান্নান মিয়া, গফফার ও হাবলু মাতুব্বরের বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুরসহ ঘরের ভেতর থাকা দামি মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ রিপোর্ট লেখা সময় পর্যন্ত এলাকার পরিবেশ থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দু’টি গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে থানার পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।