আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণের কারণ অতিরিক্ত গতি : তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

প্রথমত অ্যাম্বুলেন্সটি অতিরিক্ত গতিতে ছুটে চলছিল "একপ্রেসওয়ের" উপর। দ্রুত ওই গতির কারণেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ উঠে এসেছে তদন্ত টিমের ভাষ্যতে । তদন্ত টিমের সমন্বিত মতামত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক পথের জন্য স্পিড ক্যামেরা বসানো জরুরী। গতকাল সোমবার ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো.কামরুল আহসান তালুকদার তদন্ত টিমের প্রতিবেদন ও সুপারিশ সম্পর্কিত উল্লেখিত এসব তথ্য সাংবাদিকদের প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের অতিরিক্ত গতির কারণে চালকসহ তাজা ৮টি প্রাণ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি চিহ্নিত করার পাশাপাশি ওই সড়কজুড়ে স্পিড ক্যামেরা বসানোরও সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটি।

আরও পড়ুন: ঈদের শেষ মুহূর্তে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির অভিমত অতিরিক্ত গতির কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং চাকা ফেটে যাওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ের পাশের রেলিংয়ের সাথে টক্কর লাগলে আগুন ধরে যায়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরের থাকা ৮জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: অটোরিকশা-ভটভটি সংঘর্ষ, দুই বোনসহ নিহত ৩

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের ভাঙ্গার মালিগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের উপর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের শিশু কিশোর ও বৃদ্ধসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। একই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যায় অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃদুল মালো। এছাড়াও নিহতরা হলেন বোয়ালমারীর ফেলাননগর গ্রামের আজিজুর শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০), তার মেয়ে কমলা (৩০) ও আলফাডাঙ্গার বিউটি (২৬)। নিহত কমলার ছেলে আরিফ (১২), একবছর বয়সী আফসা, হাসিব (১০) এবং নিহত বিউটির ছেলে মেহেদী হাসান (১০)। নিহত ৮ জনের সকলে ফরিদপুর জেলা সদর ও বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা।

ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসক ফরিদপুরের পক্ষ থেকে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এছাড়া নিহতের দাফনের জন্য পরিবার প্রতি ২০ হাজার টাঁকা দাফন ও সৎকারের জন্য তুলে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: ঈদে ৬ দিন বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দর

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দাসকে। অন্যান্যে সদস্যরা হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ওরফে শাকিল, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হাসান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. এমরান খান, ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক মো.আসাদুজ্জামান ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান। কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলে সোমবার বিকেলে তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসকের হাতে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তুলে দেন।


আরও খবর



নারীবাদ নিয়ে নোরা ফাতেহির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ড্যান্সার ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস সিনেমায় নজর কাড়েন তিনি। এবার এক সাক্ষাৎকারে নারীবাদ নিয়ে এমন এক কথা বলে বসলেন তিনি, যাতে তার ওপর রেগে আগুন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টের সাক্ষাৎকারে নোরা বলেছেন, নারীবাদ আসলে সমাজটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি বলছি না যে মেয়েরা পড়াশোনা করবে না বা চাকরি করবে না; অবশ্যই করবে। তবে, এর একটা মেয়াদ বা সময়কাল আছে। পুরুষ চাকরি করবে, টাকা উপার্জন করবে, খাবার আনবে ও পরিবারকে রক্ষা করবে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে নারী মা হবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, রান্না করবে, ঘরের কাজ করবে। নারীপুরুষের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। এতে খারাপ কী! আমি এভাবেই চিন্তা করি। শুনলে মনে হবে, আমি হয়তো এখনো আদ্যিকালেই পড়ে আছি বা ওল্ড স্কুল। তবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

নোরার কথা শুনে কার্যত অবাক সবাই। তিনি নিজে দাপিয়ে কাজ করছেন বহির্বিশ্বে, অথচ তিনি মেয়েদের বাড়ির কাজে বাঁধতে চাইছেন। নোরার কথা বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি লেখেন, উনি কেন এখনো বিয়ে করে বাচ্চা লালনপালন না করে বেপর্দা হয়ে নাচানাচি করে বেড়াচ্ছেন? সিনেমায় যতই নায়িকা হন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আপনি আসলে একটা খলচরিত্র।

অন্য আরেক ব্যক্তি লেখেন, এত ফালতু কথা আমি জীবনে শুনিনি। বুঝেছি, উনি কাদের খুশি করতে এসব কথা বলছেন! ওনার ভক্তরা তো সাধারণত পুরুষ। উনি আসলে ওনার পুরুষ ভক্তদের খুশি করতে চান।


আরও খবর



রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




রমজানের পর শসার কেজি আড়াই টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরে শসার দামে ধস নেমেছে। দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন তারা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না।

এ ছাড়াও কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। খানসামা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে আড়াই টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারেনি। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়নগড় গ্রামে কথা হয় শসা চাষি মো. রশিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচই উঠছে না।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আ. সুবহান বলেন, দাম এখন হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় অনেক দাম কম। সবজির দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ: শসা

আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তি পেতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৮ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন মামুনুল হক।


আরও খবর