প্রথমত অ্যাম্বুলেন্সটি অতিরিক্ত গতিতে
ছুটে চলছিল "একপ্রেসওয়ের" উপর। দ্রুত ওই গতির কারণেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রধান
কারণ উঠে এসেছে তদন্ত টিমের ভাষ্যতে । তদন্ত টিমের সমন্বিত মতামত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ
ওই সড়ক পথের জন্য স্পিড ক্যামেরা বসানো জরুরী। গতকাল সোমবার ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক
মো.কামরুল আহসান তালুকদার তদন্ত টিমের প্রতিবেদন ও সুপারিশ সম্পর্কিত উল্লেখিত এসব
তথ্য সাংবাদিকদের প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের
অতিরিক্ত গতির কারণে চালকসহ তাজা ৮টি প্রাণ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি চিহ্নিত
করার পাশাপাশি ওই সড়কজুড়ে স্পিড ক্যামেরা বসানোরও সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: ঈদের শেষ মুহূর্তে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে
৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির অভিমত অতিরিক্ত গতির কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি
দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং চাকা ফেটে যাওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ের পাশের রেলিংয়ের সাথে টক্কর
লাগলে আগুন ধরে যায়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরের থাকা ৮জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু
হয়।
আরও পড়ুন: অটোরিকশা-ভটভটি সংঘর্ষ, দুই বোনসহ নিহত ৩
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের ভাঙ্গার মালিগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের উপর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা
ফরিদপুরগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের শিশু কিশোর ও বৃদ্ধসহ
৭ জনের মৃত্যু হয়। একই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বিভাগে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় বিকেলে মারা যায় অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃদুল মালো। এছাড়াও নিহতরা হলেন বোয়ালমারীর
ফেলাননগর গ্রামের আজিজুর শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০), তার মেয়ে কমলা (৩০) ও আলফাডাঙ্গার
বিউটি (২৬)। নিহত কমলার ছেলে আরিফ (১২), একবছর বয়সী আফসা, হাসিব (১০) এবং নিহত বিউটির
ছেলে মেহেদী হাসান (১০)। নিহত ৮ জনের সকলে ফরিদপুর জেলা সদর ও বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা
উপজেলার বাসিন্দা।
ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসক ফরিদপুরের
পক্ষ থেকে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এছাড়া নিহতের দাফনের জন্য পরিবার
প্রতি ২০ হাজার টাঁকা দাফন ও সৎকারের জন্য তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদে ৬ দিন বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দর
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দাসকে। অন্যান্যে সদস্যরা হলেন, সহকারী পুলিশ
সুপার মো. আসাদুজ্জামান ওরফে শাকিল, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হাসান,
বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. এমরান খান, ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক মো.আসাদুজ্জামান
ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান। কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন
দিতে বলা হলে সোমবার বিকেলে তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসকের
হাতে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তুলে দেন।