আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভান্ডারিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
Image

ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

পিরোজপুরে ভান্ডারিয়ায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা (১৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মুক্তা ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মুনিম জোমাদ্দারের স্ত্রী।

ভান্ডারিয়া থানাপুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, কাঠালিয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে সাদিয়া আক্তার মুক্তা (১৮) এর সঙ্গে এক বছর পূর্বে ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মামুন জোমাদ্দারের ছেলে মুনিম জোমাদ্দার এর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে এ নব-দম্পতি।

শুক্রবার সকালে মুক্তা বাবার বাড়িতে বসে স্বামীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় মুক্তা তার মাকে মারধরের ঘটনা জানালে তার মা জামাতাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর মারেন। পরে জামাতা মুনিম শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে কৌশলে মুক্তাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নিয়ে আসে। বিকেলে মুনিম তার শাশুড়িকে ফোন করে জানায় তার মেয়েকে সে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় চৌকিদার নুর মিয়া মুক্তার মাকে ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।

থানাপুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুনিম জানান, মুক্তাকে নিয়ে চেচঁরী রামপুর ব্রিজের কাছে যায় সে। সেখানে আগে থেকেই মুনিমের বেশ কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত ছিল। তাদের সহযোগীতায় হিজাব পেঁচিয়ে মুক্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বেড়িবাঁধের পাশে লাশ ফেলে রাখে। পরে নিজ বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার মা ছবি আক্তারকে জানায় মুনিম। এরপর তার মা-ছেলে মিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ভান্ডারিয়ার ছোট কানুয়া গ্রামের কাটাখালী সেতু সংলগ্ন খালে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

এদিকে ভান্ডারিয়া থানাপুলিশ সংবাদ পেয়ে রাত পৌনে ৪টায় সেখানে যায় এবং শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। এ ঘটনায় থানাপুলিশ মুক্তার স্বামী মুনিম, শাশুড়ি ছবি আক্তার এবং মুনিমের বন্ধু শাকিব খন্দকার, মারুফ ও সিয়াম খান সজিবকে আটক করে।

ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসিকুজ্জামান জানান, রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ফোনে হত্যার ঘটনা জানতে পারি এবং সাথেসাথে আমিসহ থানাপুলিশের একটি দল ও ফায়ার সার্ভিসের লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। শনিবার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেকে ১০ নং ব্রিজের কাছে গোসল করতে নেমে দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে টঙ্গি ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মিরপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির মোট পাঁচজন সহপাঠী এই লেকে গোসল করতে এসেছিল। তাদের মধ্যে দুজন বেশি দূরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ তুরাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তুরাগ থানার ওসি শেখ সাদী জানান, দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম, আরেকজনের নাম এখনো জানতে পারিনি। নিহত আশরাফুল বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১১ নং সেক্টরে থাকতো।

ঘটনার প্রাথমিক বিবরণ দিয়ে ওসি বলেন, ওরা পাঁচ সহপাঠী লেকে গোসল করতে এসেছিল। গোসল করতে করতে দুজন বেশি দূরে চলে যায়। এক নারী সেটি দেখে চিৎকার শুরু করেন। বাকি তিনজন ডুবতে থাকা দুজনকে উদ্ধারে চেষ্টা করেও পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া নিহত অপরজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

নিউজ ট্যাগ: মরদেহ উদ্ধার

আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

টেইলর সুইফট মানেই যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার এক কারিগর! নিজের নতুন অ্যালবাম দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট দিয়েও নতুন করে এক রেকর্ড গড়লেন সময়ের অন্যতম সেরা এই পপতারকা। বিশ্বের জায়ান্ট সব মিউজিক প্লাটফরমে মুক্তির প্রথম দিন সর্বাধিকবার শোনার রেকর্ড গড়েছে অ্যালবামটি।

গত কয়েক বছর ধরেই ক্যারিয়ারের সোনালি সময় পার করছেন মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট। একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন গায়িকা।

সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রি থেকে শুরু করে তার কনসার্টের সর্বোচ্চ আয় কিংবা নিজের মিউজিক্যাল কনসার্টের ফিল্ম প্রকাশ, যা বক্স অফিসে চালিয়েছে তাণ্ডব। কি নেই তার নামের পাশে! এবার নিজের সর্বশেষ অ্যালবাম দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট দিয়ে নিজের আগের রেকর্ড নিজেই ছাড়িয়ে গেলেন টেইলর সুইফট। গায়িকার ১১ তম স্টুডিও অ্যালবাম দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক সংখ্যক স্ট্রিম অর্জন করে সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গেছে। অ্যালবামটি প্রকাশের দিন প্রায় ৫৫২.২ মিলিয়নের বেশি স্ট্রিমিং অর্জন করেছে।

টেইলর সুইফটের এই অ্যালবামটি অ্যাপল মিউজিকের প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি স্ট্রিম করা পপ অ্যালবাম হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। অ্যামাজন মিউজিকে মুক্তির প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি স্ট্রিমিং অর্জন করেছে অ্যালবামটি। স্পটিফাইয়েও ইতিহাস তৈরি করেছে অ্যালবামটি। মিউজিক প্লাটফর্মটিতে দিনে সবচেয়ে বেশি শোনা অ্যালবাম এখন দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট

১৯ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট অ্যালবামটি। এতে রয়েছে ফোর্টনাইট, টিটিটিপিডি, ডাউন ব্যাড, সো লং, লন্ডন, মাই বয় অনলি ব্রেকস হিজ ফেভারেট টয়, বাট ড্যাডি আই লাভ হিম, ফ্লোরিডা, আই ক্যান ডু ইট উইথ অ্যা ব্রোকেন হার্ট, হু ইজ অ্যাফ্রেড অব লিটল ওল্ড মি?, ফ্রেশ আউট দ্য স্লামার, গিলটি অ্যাজ সিন?, আই ক্যান ফিক্স হিম (নো রিয়েলি আই ক্যান), দ্য অ্যালকেমির সহ মোট ৩১টি গান। অ্যালবামের প্রথম ১৬টি গান উন্মুক্ত করা হয় যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে। ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই আসে বাকি ১৫টি গান।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পাশে আইজিপি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। কিন্তু প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও নগরবাসীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। তাদের পেশাদারিত্ব ও মনোবল অটুট রাখতে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তারই নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রচণ্ড দাবদাহে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একটু বাড়তি স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের প্রত্যেক সদস্যের জন্য সুপেয় পানির বোতল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে ছাতা সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রাফিক-বক্সে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও তাপপ্রবাহের মধ্যেও সুস্থ থাকতে প্রত্যেক ফোর্সকে করণীয়/বর্জনীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রোদে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোর্সের মনোবল যেমন চাঙ্গা হচ্ছে, অপরদিকে তাপদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মানিত নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।

মানবিকতার এসব উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন প্রসূতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।

এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।

জন্ম প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি, তাই বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।


আরও খবর