কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রামে জন জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। আকাশে ঘন মেঘে সুর্য ঢেকে থাকায় দিনের বেশীরভাগ সময় প্রাকৃতিক উষ্ণতাও পাচ্ছে না মানুষজন।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র জানায়, সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা দিনে দিনে আরও কমতে পারে। আকাশে ঘন মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নীচে নেমে আসতে পারে বলে জানায়, আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র।
প্রচন্ড ঠাণ্ডায় গরু ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশুরাও পড়েছে কষ্টে। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে জেলার হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষসহ সকল অসহায় মানুষের। খরকুটো জলিয়ে ঠাণ্ডা নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার নামদেল মিয়া জানান, এই ঠাণ্ডায় ছোট ছোট দুইটা বাচ্চাকে নিয়ে খুবই সমস্যা পরেছি। শীতকালে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় সংসার চালানোয় মুসকিল হয়েছে। অভাবের সংসার ছেলেদের গরমের কাপড় কিনবো তাও পারছি না। আজ পর্যন্ত একটা কম্বলও কেউ দেয় নাই।
জেলা প্রশাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সরকারীভাবে ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার ৫শ কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে ভূক্তভোগীরা জানান।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভাবে ২ হাজার ৮শ ১৫টি কম্বল পেয়েছি তা বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল কেনার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা পেয়েছি সেটাও বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ রয়েছে। আগামী ১-২দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।