দেশের উত্তরাঞ্চলে
ভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে। এছাড়া ছয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া। তাই
ওই সব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার (৬ জুন)
এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ একেএম
নাজমুল হক জানিয়েছেন- লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত
রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল
থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার
(৭ জুন) সকাল পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম
বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের
উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের
তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব
দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি.মি., যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায়
৩০-৪০ কি.মি. পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে। বুধবার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে
বলা হয়েছে- রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে
পশ্চিম/উত্তর- পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে
দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর নৌ হুশিয়ারি
সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টা
থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ১১৩ মিলিমিটার।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত
হয়নি, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।