আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

উত্তরাঞ্চলে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বাড়াবে চার লেনের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদযাত্রায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশে দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। গত মার্চে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও বগুড়া অংশের কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪৫ ভাগ। এ ছাড়া মহাসড়কের মাঝখানে চলছে ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ। ফলে ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানজট ও দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রী ও চালকরা। অন্যদিকে ঈদ ঘনিয়ে আসায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভোর থেকে অতিরিক্ত চাপে মহাসড়কের অন্তত চারটি পয়েন্টে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। রাতের বেলায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বাড়ায় এ চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবে সকাল পর্যন্ত মহাসড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ঈদ সামনে রেখে ভিড় বাড়ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে। কিন্তু এখনো এ রুটে বাড়ানো হয়নি লঞ্চ। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন এ রুটের যাত্রীরা। লঞ্চ-সিট্রাকের অভাবে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাতায়াত করছেন। বিপজ্জনক এ রুটে উত্তাল মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। বর্তমানে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে মহাস্থান এলাকায় খানাখন্দে ভরা। একই অবস্থা মহাসড়কের বগুড়া অংশের প্রায় ৪৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

ঢাকায় বঙ্গবন্ধু কৃষি ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী আবু রাসেল বলেন, আমি গাজীপুর থেকে দুপুর ১২টায় রওনা দিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় বগুড়ায় এলাম। ঢাকা থেকে বগুড়ায় আসার এতটা জ্যাম ছিল না। কিন্তু বগুড়া থেকে ঢাকা যাওয়ার রাস্তাটা পুরোটাই ব্লক ছিল। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর ইসলাম বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, আটোটেম্পো, নসিমন, করিমন মহাসড়কে চলাচল করলে এগুলো দুর্ঘটনা এবং যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মুনশী শাহাবুদ্দীন বলেন, ঈদযাত্রায় আমাদের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। রাস্তায় নির্মাণ কাজ চলছে। তাই হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সরু রাস্তা, সরু সেতুতে আমরা স্পেশাল টেক-কেয়ার করব। ধারণা করা হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবার গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। ৬০ থেকে ৭০ হাজার গাড়ি প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে আসতে পারে। ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানজটসহ জনদুর্ভোগ কমাতে রাস্তায় কোনো গাড়ি নষ্ট হলে তা অপসারণ করার জন্য আমরা পর্যাপ্ত মেকার, রেকার ও চেনপুলির ব্যবস্থা করেছি।

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরের ১৬ ও দক্ষিণের ৬ জেলায় চলাচলকারী যানবাহনের সেতু গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। প্রতিবছরই ঈদ মৌসুমে এ মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হওয়ায় যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজারে। মহাসড়কে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে প্রায় ৪৫০ জন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫০ জন করে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে ভোলা হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম নৌপথ। তাই ওই সব অঞ্চলের যাত্রীদের ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুট ব্যবহার করতে হয়। এ রুটটি ডেঞ্জার জোনের আওতায় থাকায় শুধু সিট্রাক ও সিসার্ভে সনদধারী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়লেও এ রুটে এখনো বাড়ানো হয়নি কোনো লঞ্চ। বর্তমানে এ রুটে দুটি সিট্রাক ও একটি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদের সময় যাত্রী চাপ সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই বাধ্য হয়েই ছোট ছোট ট্রলারে নদী পারাপার হবেন যাত্রীরা।

অবৈধ ট্রলারে যাত্রী পারপার বন্ধে অভিযান চলছে জানিয়েছেন ইলিশা নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, লঞ্চ সংকট থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ট্রলারে পারাপার হন। আমরা নিয়মিত অভিযান করছি।

ভোলা নৌবন্দরের বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে খুব শিগগিরই আরও তিনটি লঞ্চ দেওয়া হবে। তখন আর মানুষের এমন ভোগান্তি থাকবে না।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল নিয়ন্ত্রণে আনা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়। এজন্য সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য স্ট্রিমলাইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক- টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

গুজব নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ পেয়েছেন অথবা আপনারা তাদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব নিয়ে তারা খুব চিন্তার মধ্যে আছেন। অনলাইনে কতগুলো আনরেজিস্ট্রার্ড পোর্টাল আছে, যে পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়। আমরা সেগুলোকে স্ট্রিমলাইন করাচ্ছি।

আমাদের পরিকল্পনা যারা পেশাদার এবং রেজিস্ট্রার্ড, আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি থাকে এবং একটা শৃঙ্খলা থাকে।

ডিসিরা এতে কী ভূমিকা রাখতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা তো তৃণমূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের তথ্য পাঠাতে পারেন। প্রান্তিক পর্যায়ে কী ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো নিয়ে তারা অ্যাকশনে যেতে পারেন এবং আরও কিছু বিষয় আছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে।

এ ছাড়াও ক্যাবল অপারেটর যারা তারা অনেক কিছু তাদের মতো কনটেন্ট দিয়ে দেয়, অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছায়। এখানে সেই কন্টেন্টগুলো আসলে সঠিক কি না, ক্লিন ফিল্টের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, এ বিষয়গুলো আমরা তারদের বলেছি।


আরও খবর



কুবিতে ১০ টাকায় মিলছে ইফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছোলা, ২ টি পেয়াজু, ১টি বেগুনি, ১টি আলুর চপ, ১টি জিলাপি, ১টি কলা, খেজুর ও মুড়িসহ প্রায় ৫০ টাকার ৮ ধরনের ইফতার ১০ টাকায় বিক্রি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী মিরাজ।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকাল ৫টা ১৫ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেইটের কাছে তিনি ৮০ প্যাকেট ইফতার বিক্রি করেন।

১০ টাকায় ইফতার বিক্রির কারণ জানতে চাইলে কাজী মিরাজ বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি আমাদের সাধারণত ১০ টাকার ছোলা আর দুইটা খেজুর হলে ইফতার হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যে সকল দোকান আছে সেগুলোতে যারা সামর্থ্যবান আছে তারা ৫০ থেকে ১০০টাকায় ইফতার কিনে সেখানে আমার মতো যারা আছে তারা ১০ টাকার ছোলা কিনতে যায় না বা লজ্জাবোধ করে। সবাই যাতে ১০ টাকায়  সবকিছু পায় সেইজন্য আমার এই উদ্যোগ। আর আজকে ইফতার আনার ৭ মিনিটের মধ্য আমার ইফতার বিক্রি হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমি টিউশন ও কোচিং করিয়ে যে টাকা পেয়েছি তা থেকে আজকে এই ইফতারের আয়োজন করেছি। আমার কাছে যা টাকা আছে তা দিয়ে আরো ৬ থেকে ৭ দিন আমি এভাবে ইফতার করাতে পারবো এবং এর পরে যদি কেউ অনুদান দেয় তাহলে রমজানে যতদিন ক্যাম্পাস খোলা থাকবে ততদিন এই আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।


আরও খবর



দুই দশক পর র‍্যাবের খাঁচায় কক্সবাজারের ‘আজরাইল’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

আজরাইল মহেশখালীর আলোচিত জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখার (রিক্রুটমেন্ট উইং) প্রধান হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৪ হত্যা মামলা ও ৪ হত্যাচেষ্টাসহ কমপক্ষে ১০ মামলার রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ঘের দখল-পালটা দখলের অন্ধকার জগতে লোকমান ওরফে আজরাইল এক সুপরিচিত নাম। সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও লক্ষ্যবস্তুর প্রতি নৃশংসতার ভয়াবহতায় ধীরে ধীরে মহেশখালীর মূর্তিমান আতঙ্কের নামান্তর হয়ে উঠলেও নানান কৌশলে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে সদর্প পদচারণার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন লোকমান। তাকে মহেশখালী থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে র‍্যাব সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহিদ শরীফ চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে এবং কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। এছাড়া ২০১১ সালের ২১ মে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কুরআনের হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখণ্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেন তারা।

লোকমান ও তার সহযোগিদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই বছরের ১১ জুন কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লোকমান উপজেলার সক্রিয় প্রধান ডাকাত গ্রুপ জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার) হিসেবে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়াটে খুনি হিসেবেও তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ঘের দখলকারী হিসেবে তার এবং তার দলের পরিচিতি স্থানীয়ভাবে সর্বজনবিদিত।

গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন নিবিড় অনুসরণের পর আমরা আসামি লোকমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কক্সবাজারে সক্রিয় বিভিন্ন নামে বাহিনীগুলোর সশস্ত্র ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



সড়ক পরিবহন আইনে সাজা কমছে, বাড়ছে জামিনের আওতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে আইনের দশটি ধারায় দণ্ড কমানো ও দুটি অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করার কথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ বুধবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

ব্যাপক ছাত্রবিক্ষোভের পর সরকার ২০১৯ সালে আইনটি করা হয়েছিল। এ আইনটি করার পর চালক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা এটি সংশোধন করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল।

আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধনের বিষয়ে সচিব বলেন, আইনের ৬৯ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত ভুল তথ্য দিলে আগে ২ বছর কারাদণ্ড আর ৫ লাখ জরিমানা ছিল, এখন ২ বছর কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইনের ১২ ধারায় লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও গাড়ি চালালে ৩ মাস কারাদণ্ড ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ছিল আগে। এখন ৩ মাস কারাদণ্ড ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে।

লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ড্রাইভার এবং সুপারভাইজারের জন্য এক মাস কারাদণ্ড আর ৫ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে ৮৪, ৯৮, ১০৫ ধারা ছিল জামিন অযোগ্য ছিল। এখন ১০৫ নম্বর ধারা ব্যতীত সব ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মোটরযানের কারিগরি নির্দেশ ভঙ্গ করলে আগে অজামিনযোগ্য ছিল এখন জামিনযোগ্য করা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদে ট্রেন যাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনের ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টায় অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ৬ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।

আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে।

আজ সকাল ৮টা থেকে বিক্রি হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে বিক্রি হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বর্হিগামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আরও জানা যায়, আগের ঈদগুলোতে পাঁচ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে রোববার (২৪ মার্চ)। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

ট্রেনের ঈদযাত্রার ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।

এ ছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর