অধিকৃত পশ্চিম
তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর এক বড় আকারের সামরিক অভিযান অব্যাহত
রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা ৫০-এরও বেশি। আজ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার
লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ড্রোন হামলার পাশাপাশি কয়েকশ ইসরায়েলি সেনা সাঁজোয়া যান ও
বুলডোজার নিয়ে পশ্চিম তীরে অভিযান চালায়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ অভিযানকে ‘সন্ত্রাস দমনের প্রচেষ্টা’ বলে দাবি করেছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী সরকারের অধীনে কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
আরও পড়ুন: মস্কোর কাছে দু’টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া
বিবিসি বলছে,
প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনির বাসস্থান এই জেনিন ক্যাম্পটির ওপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে
ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে এর ফলে এখন রাস্তায় রাস্তায় বন্দুকযুদ্ধ
হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি
প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শেতায়েহ বলেছেন, ইসরায়েল ক্যাম্পটি ধ্বংস করে এখানকার বাসিন্দাদের
বাস্তুচ্যুত করার চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আহত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। জেনিনের বৃহৎ শরণার্থী শিবিরটির কেন্দ্রস্থলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ওপর ড্রোন হামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীদের বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ করল তালেবান
সেখান থেকে
বিবিসির ইয়োলান্দে নেল জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সবচেয়ে
বড় আক্রমণগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
তিনি জানান,
নিয়মিত বিরতিতে জোরালো বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আরও শোনা যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সের
সাইরেন ও উড়ন্ত ড্রোনের আওয়াজ।
প্রায় ৪০ হাজার লোকের শহর জেনিনে আগেই একটি হরতাল ডাকা হয়েছিল, সেকারণে রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। ক্যাম্প এলাকার আকাশে বড় বড় ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৬ মাসে কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত ৩৮৯ শ্রমিক
একজন অ্যাম্বুলেন্স
চালক আল আহমদ রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, পরিস্থিতি এখন আসল যুদ্ধক্ষেত্রের মত
মনে হচ্ছে, এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত লোকে ভর্তি হয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছে।