আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

উড়াল সড়কে পাল্টে যাবে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নের চিত্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল বাজারের প্রধান সড়কের ওপর দিয়ে রেল ওভারপাসের দৃশ্যমান নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এতে রেল বাজারের প্রধান সড়কের যানজটের দুর্ভোগ থাকবে না। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই দুর্ভোগ নিরোসন হচ্ছে। এই উড়াল সড়কে পাল্টে যাবে চুয়াডাঙ্গার চিত্র।

গত বুধবার বিকাল ৫টা বাজে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি চলন্ত ট্রেন চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল বাজারের প্রধান সড়কের রেললাইনের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে। এই ভাবে প্রতিদিন অন্তত ২০ জোড়া ট্রেন যাতায়াতের কারণে রেলগেইটটি অন্তত ৪০বার বন্ধ হওয়ায় ছোটবড় হাজারো যানবাহন আটকা পড়ে থাকে। এতে রেললাইনের দুপাশে দাড়িয়ে থাকে হাজারো গাড়ি আর বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির মানুষ। এরা সকলেই দুপাশের রেলগেটে আটকে থাকে। এতে প্রধান সড়কের দুপাড়ে সৃষ্টি হয় মহাযানজট। এই রকম চিত্র শুধু আজ কালের না। এই চিত্র দশকের পর দশক ধরে হয়ে আসছে। দীর্ঘ যানজটের কারণে শহর স্থবির হয়ে পড়ে প্রতিনিয়ত। এমন যানজট নিরসনের জন্য। এখানে একটি ওভারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাই গত ১২ই আগস্ট শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন উপস্থিত থেকে এ কাজের দুপাশের ফলক উদ্বোধন করেন। এই রেল ওভার পাস নির্মাণের কাজে ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৭ হাজার টাকা ব্যয় ধরে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মানের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এই ধারাবাহিকায় এখন চুয়াডাঙ্গার মানুষের হাজার বার চাওয়া স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখন রেল ওভারপাস নির্মাণের কাজের এক মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নে এ ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৪১৯ মিটার ও প্রস্থ ১০.২৫ মিটার। এই ওভারপাসের স্পেন বসবে ১৩ টি। ওভারপাসটি নির্মাণকাল সময় আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত। তারপরও এই উড়াল সড়ক দিয়ে শুরু হবে যাতায়াত।

রেলরাইনের এই ওভারপাসটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেপুরের যোগাযোগের ব্যাবস্থা সম্প্রসারণ আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে পাল্টে যাবে চুয়াডাঙ্গার সড়ক পথে ব্যবসা বাণিজ্যের চিত্র। যাতায়েত থেকে শুরু করে সবধরনের পরিবহনের চলাচলের সুবিধা পাবে দ্বিগুন। তবে একদিকে এই ওভারপাস নির্মাণ হচ্ছে। এই ওভারপাস নির্মাণের কাজ শেষ হলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নের রোল মডেলে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। এতে চুয়াডাঙ্গার রেল বাজারের প্রধান সড়ক থেকে দেখা যাবে স্বপ্নের উড়াল সড়ক।

চুয়াডাঙ্গা এক এনজিও কর্মী কানিজ সুলতানা অফিস শেষে বাড়ি ফিরতে যেয়ে আটকে আছে রেল গেইটে। এসময় কথা হয় প্রতিবেদকের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস যাওয়ার সমশ ও ফেরার সময় পড়তে যানজটের কবলে। এতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক রেল গেইট পড়াতে সবকিছুর সমস্যায় সম্মুক্ষিণ হতে হয়। তবে এই দুর্ভোগ কাটাতে সরকার ভালো উদ্দ্যোগ নিচ্ছে। এতে আমরা সবাই যাতায়েত থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা পাব। এতে আমাদের চুয়াডাঙ্গা হবে উন্নয়নের রোল মডেল।

অপর একজন শরিফ উদ্দিন হাসু বলেন, এই রেল ওভারপাস নির্মাণে চুয়াডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যাবস্থা আরো বৃদ্ধি পাবে। যাতায়েত সুবিধা পাব সবাই। আর যানজটে পড়ে থাকতে হবে না। এবার আমরা উড়াল সড়ক দিয়ে চলাচল করবো। এই দুর্ভোগ নিরোসনের জন্য যে ভালো কাজটি তা প্রশংসনীয়। এই জনগণের ভালো জন্য কাজ। রেল ওভারপাস নির্মাণ কাজের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের সাধুবাধ জানায়। এতে বোঝা যাচ্চে আগামী চুয়াডাঙ্গা হবে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘ চাওয়া একটি রেল ওভারপাস নির্মাণ। তাই এখন এই রেল ওভারপাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এতে রেল লাইনের ওপর দিয়ে উড়াল সড়ক হবে। এই নির্মাণ কাজটি শেষ হলে যাতায়াতসহ সব ধরনের সুবিধা ভোগ করবে জেলাবাসী। এতে আর যানজট থাকবে না। এতে আগামী চুয়াডাঙ্গা হবে উন্নয়নের এক রোল মডেলের সড়ক। এই কাজের নির্মাণ শেষ হলে এ জেলার অর্থনেতিক অবস্থা আরো উন্নত হবে। এতে চুয়াডাঙ্গার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। এতে করে আর যানজটের দুর্ভোগ আর থাকবে না। এতে মানুষ খুব সহজে সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।


আরও খবর



ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আদালতের রায় মানতে হবে: বুয়েট উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আদালতের রায় মানতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, আদালত যা বলবেন, তা আমাদের মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। না হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।

২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র বৈধতা নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম আজ রিট আবেদনটি করেন। ইমতিয়াজ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ সোমবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা রয়েছে ও দাপ্তরিক কাজগুলো চলছে।

এদিন একেবারেই ফাঁকা ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা প্রহরী জানান, আজ সকাল থেকে ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী যাননি। ক্যাম্পাস একেবারেই ফাঁকা। গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা।

গত ২৮ মার্চ রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের প্রবেশকে ঘিরে পরদিন ২৯ মার্চ দুপুর থেকে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গত শনিবার থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ভারতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ছত্তিশগড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছন। আহত হয়েছেন আর ১৪ জন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রাজ্যের দুর্গ জেলার কুমহারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্গের কালেক্টর রিচা প্রকাশ চৌধুরী বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, কর্মীদের বহনকারী বাসটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমহারির কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৪ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে এইমসে (রায়পুর) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি দুজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল।

সরকারি এ কর্মকর্তা জানান, বাসের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কুমহারির কাছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি দুঃখিত। আমি বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শক্তি দেওয়ার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি। আহত কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।


আরও খবর



গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজার ধ্বংসস্তূপ অপসারণে লাগবে অন্তত ১৪ বছর বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার একথা জানান। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।

হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

ধ্বংসস্তূপে দাড়িয়ে গাজার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ এখন গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত। সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



ঢাবির কোয়ার্টার থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানার ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ভোরে ফুলার রোডের আবাসিক কোয়ার্টারের ওই বাসায় গিয়ে দেখি বিছানায় শায়িত অবস্থায় রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তখন তার পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষের চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম থানার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।


আরও খবর