আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

উপদেষ্টারা আর যেন রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন: আন্দালিব রহমান পার্থ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, এ ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হয়েছে পরে তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমি রিকোয়েস্ট করেছি, উপদেষ্টারা যারা আছেন উনারা যেন রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন। হঠাৎ করেই দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক বক্তব্য। এতে করে মানুষের মধ্যে একটা রিঅ্যাকশন আসতে পারে বা অন্য কোনো মেসেজ যেতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে উনারা যেন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

উপদেষ্টার বক্তব্য ঘিরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে- এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, এই প্রথম স্টেপে আমার কাছে মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং মনে হচ্ছে। যেটা ট্রিগার হয়েছে তা এই রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের যাওয়া হয়েছে একটা রেভ্যুলিউশনের মাধ্যমে। এটা কুল ডাউন করতে দিতে হবে জাতিকে, আমাদেরকে। আমরা সবাই এফেক্টেড। হাজার মানুষের বেশি মারা গেছেন। ১৭ বছরের শাসন তাদের। আমার মনে হয়, উপদেষ্টারা যদি রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাহলে এই কনফিউশনটা ক্রিয়েট হবে না। কিংবা তাদের একজন স্পোকসম্যান থাকতে পারে।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, না না এইগুলো এখন টু... আর্লি টু সে। কাউকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপার জনগণ ঠিক করবে, জনগণ এই রেভ্যুলিউশন করেছে, আগামীতে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত কী হবে।

তিনি আরও বলেন, সামনে গণহত্যার বিচার হবে। আরও অনেক ইনভেস্টিগেশন আছে, কোথা থেকে কী বের হবে, কী হচ্ছে না হচ্ছে। সব কিছুর পর মানুষ ঠিক করবে। রাজনৈতিক দল তো আসলে কাগজে কলমে হয় না। এটার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ কলমের খোঁচায়ও হয় না। জনগণই দাঁড় করায় আবার জনগণই ছিটকে ফেলে দেয়। সময়ই বলে দেবে কী হবে।

এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লোক জড়ো করুক, আর যাই করুক, আমি আপনাদের একটা অনুরোধ করি, এমন কিছু করবেন না যে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) জীবন বিপন্ন হয়। এ দেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি, আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজ (পুনর্গঠন) করুন।

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অনেক অবদান আছে উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। দলকে পুনর্গঠন করুন, রাজনৈতিক দলের মতো যেভাবে থাকে, নির্বাচন এলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন।

নতুন নেতৃত্বে দল গোছানোর পরামর্শ দিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আপনারা দল গুছিয়ে নিন, আপনাদের দলকে তো কেউ নিষিদ্ধ করেনি। যেকোনো দল নিষিদ্ধ করা বাজে সংস্কৃতি।

আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনি আসবেন, আপনার দেশ। আপনি আসেন না কেন? নাগরিকত্ব তো যায়নি। ২১ বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছেন। আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, কেউ তো যেতে বলেননি। স্বেচ্ছায় আসেন, ভালো থাকবেন, আবার আসবেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গন্ডগোল পাকিয়ে কোনো লাভ হবে না। বরং লোকজন আবার খেপে উঠবে।

এ সময় জাতীয় পার্টির উদাহরণ তুলে ধরেন এম সাখাওয়াত হোসেন। এইচ এম এরশাদ কারাগারে যাওয়ায় দলটি বেঁচে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন সংঘাত বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের এলাকা ঠিক করুন। যদি সংসদীয় এলাকা অনুযায়ী হিসাব নিতে থাকি, আপনারা আমাকে ভালো করে জানেন। আমি নতুন লোক নই। আমি নিশ্চিত করব, (সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়) নির্বাচন যাতে হয়। তিনি আরও বলেন, দয়া করে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেবেন না। ইনক্লুডিং সদ্য যে পার্টি (আওয়ামী লীগ), আপনারা দল গোছান, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনাদের সাহায্য করব। আপনারা গোছান নতুন মুখ (নতুন নেতৃত্ব), নতুন অঙ্গীকার নিয়ে। আশা করি, রাজনৈতিক দল আইন অনুযায়ী হবে।

একইদিন বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা উপদেষ্টাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন, আপনারা বক্তব্য দেওয়ার আগে ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন। খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিতে চাই, আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি, ঠিক একইভাবে স্বৈরাচার পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা আজকে আপনাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে এসেছি। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার তাড়ানোর পরদিন থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র-জনতা তা দমন করি, এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনও একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র-জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেবো না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশীদ ফেসবুকে লিখেছেন, গণ-বিমুখী আলাপ দিলে হাসিনার মতো আপনাকেও ছুড়ে ফেলা হবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শেষ হয় নাই, আমরা রাজপথ দখলে রাখতেছি। ভুলে যাইয়েন না...


আরও খবর



শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আজ বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট রংপুরের আবু সাঈদের বাড়িতে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তারও আগে গত ৮ আগস্ট ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে এয়ারপোর্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।


আরও খবর



বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের প্রধান তিনটি কারণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে লোডশেডিং বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ সংকট দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে। বেশি লোডশেডিং দেখা দিয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন কমেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। একইসঙ্গে জ্বালানির আমদানি নির্ভর এ খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে সরকারের বকেয়াও বাড়ছে। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না।

দেশে বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম।

শেখ হাসিনা সরকার গত পনের বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকার অর্থনৈতিক যে বিপর্যয় রেখে গেছে তারই ফলশ্রুতিতে এই পুরো খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া সম্ভব না হলেও যতটুকু টাকা দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় ততটুকু দিতে হবে।

এদিকে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, সাময়িক সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডলার পেমেন্ট করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের মূল সমস্যা ডলার সংকট। একে কেন্দ্র করেই অন্য সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে এই মুহূর্তে। একইসঙ্গে বিগত সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।

ডলার সংকট

দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে প্রায় বারো হাজার মেগাওয়াট। আগে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। অথচ এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ খাত দিনে ১২০ থেকে ১৩০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে। এখন ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিডিবি।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দিনে গ্যাস আসে একশ দশ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল গত ২৭শে মে থেকে বন্ধ। ফলে এখন সরবরাহ হচ্ছে ৬০ কোটি ঘনফুট। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট। ফলে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিন হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং ছিল।

ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দিনে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল। কিন্তু বকেয়া পরিশোধ না করায় এখন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তারা। শেখ হাসিনার সরকার ব্যাংক থেকে বন্ড ছেড়ে বেসরকারি খাতের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কমাতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের এখনও অনেক বকেয়া রয়েছে।

গ্যাস বিল, সরকারিবেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল, ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল সব কিছু মিলিয়ে পিডিবির বকেয়া টাকার পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বকেয়া অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, এখন অন্যতম প্রধান সমস্যাই অর্থ সংকট। তাই অন্য খাতে কমিয়ে এখানে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে। তেল-চালিত কেন্দ্রগুলো বেশি চালাতে হবে। ডলার জোগাড় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। ১৫ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গ্যাস রেশনিং করতে হবে। তবেই লোডশেডিং এর সংকট সমাধান হতে পারে।

জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে পলিসিগত যে ভুল সবচেয়ে ভয়াবহ হয়েছে সেটা হলো পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা শক্তিশালী অর্থনীতির বিবেচনায় আমদানি নির্ভর করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতির একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাসের পাশাপাশি তেল ও কয়লার ব্যবহার বেড়েছে।

এই জ্বালানির বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর আগে সরকার কখনো নিজেরা প্রাথমিক জ্বালানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অথবা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে গুরুত্ব দেয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানির এই আমদানি নির্ভরতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। যা সরাসরি ডলারের ওপর চাপ তৈরি করেছে। আমদানি নির্ভরতার সংকটের দৃষ্টান্ত হিসেবে ২০২২-২৩ সালকে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। জ্বালানি আমদানির জন্য অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় ওই বছর।

এ খাতের সংকট নিরসনে সরকারকে অগ্রাধিকার-ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যতটুকু অর্থ দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় তা দিতে হবে। 

অপরিকল্পিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও সরবরাহ লাইন না থাকা

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এ খাতকে চরম অব্যবস্থাপনার খাত হিসেবে অভিহিত করেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের হিড়িক পড়ে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন পাস করে এগুলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। এ আইনের অধীনে দরপত্র ছাড়াই একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ব্যবসায়ীরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতারাও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা নেন।

অনেক পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করা হলেও সেগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অর্থের অভাবে গ্যাস ও তেল কেনা যাচ্ছে না। এরকম বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তি স্থগিত বা রিনিউ করা হয়নি।

দেশের দক্ষিণে চারটি বড় বড় কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হলো পায়রা, রামপাল, এস আলম এবং মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এগুলোর মোট উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ লাইন না থাকার কারণে এগুলো থেকে বিদ্যুৎ ঢাকার দিকে আনা যাচ্ছে না। অথচ তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়।

তারা বলছেন, এখন ক্যাপাসিটির অসুবিধা নেই। কিন্তু সরবরাহ লাইনের সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ৬০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করার কারণে এই সেক্টর বেশি প্রভাবিত বলে জানান জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



মাদারীপুরে গুলিসহ পিস্তল ও শর্টগান উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় সড়ক থেকে গুলিসহ পিস্তল, শর্টগান উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে পৌর শহরের শহীদ মহসিন সড়কের আবুল খায়ের হাওলাদারের বাড়ির সামনে থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এর মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শহীদ মহসিন সড়কে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পায় স্থানীয়রা। বিষয়টি সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি খুলে ১৮ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগজিনসহ একটি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড কাতুর্জসহ একটি শর্টগান উদ্ধার করে। সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করে অস্ত্র ও গুলি আদালতে পাঠায় পুলিশ।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হলেও এর মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এগুলো কিভাবে সড়কে আসলো সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। আর আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বিএসএফের গুলিতে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে ভারতের মেঘালয় সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

ইসহাক আলী খান পান্নার ভাগনে কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া পার সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু দাবি করেন, আমার মামা পান্না শনিবার সকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে একটি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তবে তিনি কবে, কখন, কীভাবে শিলং গিয়েছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তালুকদার মিন্টু।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি অনেকেই শেয়ার দিয়ে সেটি ইসহাক আলী পান্নার বলে দাবি করছেন। ওই ছবিতে পান্নাকে কালো টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তার পায়ে গুলি লেগে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তার পিঠের কাছে রক্তের ছোপও দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইসহাক আলী খান পান্না। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর ইসহাক আলী খান পান্না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হন।


আরও খবর



৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে জ্বালানি তেল

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিশ্ব বাজারে সবশেষ ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে জ্বালানি তেলের দাম। মূলত, লিবিয়ার পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা ও বৈশ্বিক চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় তেলের বাজারে এই দরপতন চোখে পড়ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দেখা যায়, বিশ্ব বাজারে নভেম্বরের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭৩ দশমিক ৩৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সেশনে দাম কমেছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

তাছাড়া অক্টোবরের জন্য ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৬৯ দশমিক ৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের দিন এ বেঞ্চমার্কের তেলের দাম কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

ফলে উভয় বেঞ্চমার্কের দামই গত ডিসেম্বরের পর কমে সর্বনিম্ন হয়েছে। মূলত লিবিয়ায় রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হচ্ছে এমন প্রত্যাশায় তেলের এই দরপতন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দেশটিতে রাজিনৈতিক অস্থিরতার কারণে উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের কারণেও জ্বালানি তেলের চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বৈশ্বিক বাজারে।


আরও খবর