আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করুন: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

নওফেল হাসান মায়াব্বিজ, চাঁদপুর (মতলব):

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন,"উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করুন। শেখ হাসিনার মতো জনবান্ধব নেতা বঙ্গবন্ধুর পর আর পাইনি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য সকল নাগরিকসেবা চালু করেন।"

তিনি আরও বলেন "মতলবে সন্ত্রাসী হিসেবে যারা চিহ্নিত তাদেরকে যেন মনোনয়ন না দেয়া হয় সেটিই কামনা করছি। ঐক্যের মধ্য দিয়ে সকলে মিলে আধুনিক মতলব গড়ে তুলতে চাই। "

১৫ মে (সোমবার) সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন<< কবে হচ্ছে এসএসসির স্থগিত পরীক্ষা?

অনুষ্ঠানে ১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ- সভাপতি ও সাবেক মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু।

আরও বক্তব্য রাখেন, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান, মতলব উত্তর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ- সভাপতি ও গজরা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদউল্লাহ মাস্টার, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন মাস্টার, মতলব উত্তর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব এড. আক্তারুজ্জামান, যুবলীগ সভাপতি নুরে আলম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন।

আরও পড়ুন<< চাঁদপুর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ১৩ নং ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সরকার মুকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মিয়া মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছেসেবকলীগ যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার জামাল নাহিদ, মতলব দক্ষিণ পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড কমিশনার পারভেজ মিয়াজী, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি দুলু সরকার, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসানাতসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



মাধ্যমিক শিক্ষায় ফিরছে বিভাগ বিভাজন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনায় আবারও চালু হচ্ছে বিভাগ বিভাজন (মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান)। আগামী বছর (২০২৫ সালে) যারা নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ রেখে পাঠ্যসূচি করা হবে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রমের ২০১২ সালের প্রচলিত রীতি ফিরে আসছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্রে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রাখা হবে। অন্যদের আগের ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠাপুস্তকগুলো একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, যে সব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) দেওয়া হবে। এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে।

পাঠ্যপুস্তক ও মূল্যায়ন পদ্ধতি

জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ ও নতুন পুস্তক মুদ্রণ এবং চলমান মূল্যায়ন পদ্ধতি সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা বিষয়ক এ পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানাবিধ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় ওই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান। এই পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে ইতোমধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।

ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সালব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোয় পাঠনো হবে।

শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত হবে ২০২৫ সালে

শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শিশু একাডেমির মহাপরিচালকের পদত্যাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) আনজির লিটন। বৈষম্যবিরোধী কবি লেখক শিল্পী ডায়াসের আন্দোলনের মুখে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পদত্যাগ করেন তিনি। শিশু একাডেমির পার্সোনাল অফিসার শাহ আকবর জিয়াদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর দেওয়া ওই চিঠিতে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছেন বলে জানান তিনি। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর এ পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

এর আগে পদত্যাগের জন্য আনজির লিটনকে গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে এ সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পদযাত্রা ও শিশু একাডেমি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী কবি লেখক শিল্পী ডায়াস।


আরও খবর



যুদ্ধের আড়ালে যেভাবে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে ফিলিস্তিনের বাত্তির একটি। সেখানকার জলপাই বাগান ও আঙুরক্ষেতের জন্য পরিচিত এই গ্রাম। এখানে প্রাকৃতিক ঝর্ণার পানি ব্যবহার করা হয় সেচের কাজে। কয়েক শতাব্দী ধরে এইভাবেই জীবন বয়ে চলেছে সেখানে। প্রকৃতির কোলঘেঁষা এই গ্রামই অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক বা পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনের সর্বশেষ ফ্ল্যাশপয়েন্টে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েল এখানে একটা নতুন ইহুদি বসতি স্থাপন বা সেটলমেন্ট-এর অনুমোদন দিয়েছে। এই নতুন বসতির জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে বহু মানুষের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি। শুধু তাই নয়, অনুমোদন ছাড়াই নতুন ইসরায়েলি ফাঁড়িও স্থাপন করা হয়েছে।

যাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি এই নতুন বসতি স্থাপনের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের তালিকায় রয়েছে ঘাসান ওলিয়ান। তিনি বলেন, নিজেদের স্বপ্ন গড়তে আমাদের জমি চুরি করছে ওরা।

ইউনেস্কো জানিয়েছে বাত্তিরকে ঘিরে বসতি স্থাপনকারীদের পরিকল্পনা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তবে এই গ্রাম কিন্তু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ জাতীয় সেটলমেন্টকে অবৈধ হিসেবে দেখা হয়। যদিও এই বিষয়ে ইসরায়েল সহমত পোষণ করে না।

ওরা আন্তর্জাতিক আইন, স্থানীয় আইন, এমন কী ঈশ্বরের আইনকেও তোয়াক্কা করে না, আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন ওলিয়ান।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা প্রধান রোনেন বার মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে এক চিঠি লিখে তাদের সতর্ক করেছিলেন। সেই চিঠিতে রোনেন বার উল্লেখ করেছিলেন পশ্চিম তীরের ইহুদি চরমপন্থীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজ চালাচ্ছে এবং দেশের অবর্ণনীয় ক্ষতি করছে।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই কিন্তু অধিকৃত পশ্চিম তীরে দ্রুত বসতি স্থাপন হচ্ছে। ইসরায়েল সরকারের থাকা চরমপন্থীরা অবশ্য গর্ব করে বলেন এই পরিবর্তন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে বাধা দেবে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিজেদের লক্ষ্য পূরণের জন্য গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছে এই চরমপন্থীরা। বসতি স্থাপনের বিষয়ে পর্যবেক্ষণকারী ইসরায়েলি সংস্থা পিস নাও-এর ইয়োনাতান মিজরাহি বলেছেন, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের চরমপন্থী ইহুদিরা ইতিমধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান ঘটানোর বিষয়টাকেও কঠিন করেছে।

তার মতে ৭ অক্টোবরের হামলা পর ইসরায়েলি সমাজে ক্রোধ ও ভয়ের মিশ্রণ রয়েছে। ওই হামলার পর থেকে জমি দখল করে বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে গতি এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার কারণ যারা জমি দখল করছেন, তাদের প্রশ্ন করার কেউ নেই।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের জুন মাসের একটা সমীক্ষা বলছে ৪০% ইসরায়েলের মানুষ বিশ্বাস করেন যে এই বসতি স্থাপন তাদের দেশকে নিরাপদ করেছে। ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৭%।

অন্যদিকে জুন মাসের ওই জরিপে অংশ নেওয়া ৩৫ শতাংশ মানুষ আবার মনে করেন, বসতি স্থাপনের কারণে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের জরিপে ওই পরিসংখ্যান ছিল ৪২%।

মিজরাহি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরের ইহুদি চরমপন্থীরা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান ঘটানোর বিষয়টাকেও আগের চেয়ে কঠিন করে তুলছে।

আমি মনে করি এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ঘৃণা বাড়ছে, বলেছেন তিনি।

এই জাতীয় ঘটনায় বৃদ্ধি আগেই দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত ১০ মাসে এমন ১২৭০টা হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮৫৬।

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বেটসেলেমের তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের কারণে অন্তত পশ্চিম তীরের ১৮টা গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েল ও জর্ডনের মধ্যবর্তী এই ফিলিস্তিনি অঞ্চল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সময় দখল করেছিল ইসরায়েল। তখন থেকে এই অংশ তাদের দখলেই রয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ৫৮৯ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েলির বাহিনীর হাতে এবং অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বসতি স্থাপনকারীদের হাতে।

জাতিসংঘের মতে, এদের মধ্যে কেউ কেউ হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গিয়েছে, আবার এই তালিকায় নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনও রয়েছে।

আবার অন্যদিকে, ওই একই সময়ে ফিলিস্তিনিরা পাঁচজন সেটলার বা বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর নয়জন সদস্যকে হত্যা করেছে।

চলতি সপ্তাহে বেথেলহেমের কাছে ওয়াদি আল-রাহেলে বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনারা প্রবেশ করে। সেখানে ৪০ বছরের এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এর আগেও কাছাকাছি থাকা একটা ইসরায়েলি গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল।

গত মাসে জিট গ্রামে জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়া কয়েক ডজন লোক তাণ্ডব চালালে ২২ বছরের এক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরে নিন্দা করা হয়।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছ। তাদের পক্ষ থেকে একে মারাত্মক সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

কিন্তু এই পদক্ষেপ দায়মুক্ত করার জন্য বলেই মনে করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইসরায়েলি নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী 'ইয়েশ দিন' এর তথ্য বলছে ২০০৫ থেকে ২০২৩ সালে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের পর মাত্র ৩% দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া রোনেন বারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল লঘু আইনি পদক্ষেপই চরমপন্থী দখলদারদের উৎসাহ দিয়েছিল।

পশ্চিম তীরের কিছু অংশে একচেটিয়াভাবে প্রতিষ্ঠিত ইহুদি সম্প্রদায়ের মাঝেই বাস করছে এই নতুন বসতি স্থাপনকারীরা। এর মধ্যে অনেক বসতিতেই ইসরায়েলি সরকারের আইনি সমর্থন রয়েছে। অন্য বসতি যা আউট পোস্ট বা ফাঁড়ি হিসেবে পরিচিত সেগুলো বেশিরভাগই কাফেলা এবং লোহার তৈরী ছাউনির মতো সাধারণ।

এগুলো কিন্তু ইসরায়েলের আইনের চোখেও অবৈধ। কিন্তু চরমপন্থীরা আরও বেশি জমি দখলের করার উদ্দেশ নিয়ে এগুলো তৈরি করে।

জুলাই মাসে, যখন জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত প্রথমবার জানতে পারে পূর্ব জেরুজালেম-সহ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখল অবৈধ, তখন ওই দেশকে বসতি স্থাপন সংক্রান্ত সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ এবং যত দ্রুত সম্ভব সেনা প্রত্যাহার করতে কথা বলা হয়।

ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা কিন্তু বারবার এই বসতি স্থাপনকে শান্তি আনার পথে অন্তরায় বলে আখ্যা দিয়ে এসেছে। ইসরায়েল অবশ্য এই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেয় ইহুদিরা তাদের নিজেদের জমিতে কোনও ভাবেই দখলদার নয়।

এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের এই পদক্ষেপকে যাতে কোনও ভাবেই বন্ধ না করা যায়, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে চরমপন্থীরা।

ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থী সরকারের সমর্থন পেয়ে ওই অঞ্চলে দ্রুত তাদের নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করেছে। পশ্চিম তীরে সংযুক্তির পরিকল্পনাকে আরও মজবুত করছে এই চরমপন্থীরা। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে গাজায় বসতি স্থাপনের জন্য প্রকাশ্যে আহ্বানও জানাচ্ছে।

নতুন বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই এখন ইসরায়েল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত।

এক দিকে পশ্চিম তীরে এই বসতি স্থাপনের বিরোধিতাকারী বিশ্বনেতারা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য নতুন করে উৎসাহ দিচ্ছেন, শান্তি আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা বলছেন।

আর অন্য দিকে ইসরায়েলের জাতীয়তাবাদীরা যারা বিশ্বাস করে এই পুরো জমি তাদের (ইসরায়েলের) মালিকানাধীন, তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নকে অসম্ভব করে তুলতে সচেষ্ট।

বিশ্লেষকরা মনে করেন এই কারণেই কিছু রাজনীতিবিদ যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানতে নারাজ।

টাইমস অফ ইসরায়েলের রাজনৈতিক সংবাদদাতা টাল স্নাইডার বলেন, তারা সংঘাতের অবসান ঘটাতে চায় না বা জিম্মি চুক্তিতে যেতে চায় না কারণ তারা বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলের লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত যতক্ষণ না তারা গাজার ভিতরে থাকতে পারে।

তারা দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা পোষণ করেন এবং মনে করে তাদের মতাদর্শ বেশি ন্যায়সঙ্গত। এটা অবশ্য তাদের নিজস্ব যুক্তি।

ইতিমধ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পাঁচটা নতুন বসতির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বাত্তিরের বসতি এবং রাষ্ট্রের জন্য কমপক্ষে ২৩ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্র।

এর অর্থ হলো ইসরায়েল এই জমিকে তাদের নিজেদের বলে মনে করে, তা সে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলেই হোক বা ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হোক কিংবা দুটোই।

স্থলভাগে তথ্য পরিবর্তন করে এই দখলদাররা বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলিদের ওই জমিতে স্থানান্তরিত করতে চায় যাতে তাদের উপস্থিতির জানান দেওয়া যেতে পারে। এবং দীর্ঘমেয়াদে এই ভূখণ্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দখল করবে।

এদিকে, রাষ্ট্র অনুমোদিত ভূমি দখলের বাইরে চরমপন্থীরাও কিন্তু ওই অঞ্চলে দ্রুত বসতি স্থাপন করেছে।

হেবরনের উত্তরে আল-কানুবের একটা স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে নতুন কাফেলা এবং রাস্তা নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে ওই অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে জর্ডনের কাছ থেকে পশ্চিম তীর দখল করার পরপরই সেখানে বসতি স্থাপন শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে ক্ষমতায় আসা প্রতিটা সরকারই সেখানে ক্রমবর্ধমান বসতি সম্প্রসারণের অনুমতি দিয়েছে।

বর্তমানে সেখানে (ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম বাদে) আনুমানিক ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি ৫ লাখ ইহুদি ইসরায়েলির সঙ্গে ১৩০টারও বেশি বসতিতে থাকে। তবে ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়া একজন সুপরিচিত উগ্র ডানপন্থী সরকারি নেতা এই সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

উগ্র ডানপন্থী নেতা বেজালেল স্মোট্রিচ বিশ্বাস করেন যে এই জমিগুলোতে ইহুদিদের ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার রয়েছে। তিনি দুটো উগ্র ডানপন্থী বসতি স্থাপনকারী দলের মধ্যে একটার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০২২ সালের নির্বাচনের পরে তাকে ক্ষমতায় আনেন।

স্মোট্রিচ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও তিনি একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদাধিকারী, যা তাকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার সুযোগ করে দিয়েছে।

নতুন রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো-সহ এই বসতিগুলোতে রাষ্ট্রের অর্থ থেকে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন তিনি। দ্রুত বসতি নির্মাণের জন্য নতুন আমলাতন্ত্রও তৈরী করেছেন। গোপনে রেকর্ড করা কথোপকথনে তাকে সমর্থকদের কাছে গর্ব করে বলতে শোনা গিয়েছে যে তিনি সিস্টেমের ডিএনএ পরিবর্তন করেছেন এবং পশ্চিম তীরে সংযুক্তির জন্য তার যে পদক্ষেপ তা আন্তর্জাতিক এবং আইনি প্রেক্ষাপটে নিরিখে কার্যকর।


আরও খবর
উত্তরপ্রদেশে ভবন ধসে নিহত ৮, আহত ২৮

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এবার গোলাপশাহ মাজার ভাঙার হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটছে। মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ঘিরে মানুষজন আহতও হয়েছে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভেন্ট খুলেও মাজার ভাঙার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এর মাঝে নতুন করে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত গোলাপশাহ মাজার ভাঙ্গতে গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজার ভাঙা কর্মসূচি শীর্ষক একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছে, যাতে প্রায় ২২ হাজার মানুষ সাড়া দিয়েছে।

সাধারণত সুফি বা ধর্মীয় প্রচারকদের কবর কেন্দ্রিক মাজার গড়ে ওঠে। যেখানে অনেকে মনোকামনা পূরণের উদ্দেশ্যে মানত করে থাকেন। যদিও ইসলামিক রীতিতে মাজার ব্যবস্থা কতটা ধর্মসম্মত, তা নিয়ে স্কলারদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোয় অনেক সময় মাজার কেন্দ্রিক ব্যবসা, প্রতারণা, মাদক ব্যবহার বা অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগ, সিরাজগঞ্জের একাধিক, ঠাকুরগাঁওয়ের বিবি সখিনার মাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছুসংখ্যক মাজার তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


আরও খবর
রাজধানীতে গরম-যানজটে দুর্বিষহ জনজীবন

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত- এই ১৪ কিলোমিটার যানজট দেখা যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টায় দেখা যায়, যানজটের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। তাদের ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লেগে যাচ্ছে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। এরমধ্যে গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট হচ্ছে।

আল আমিন নামের এক যাত্রী বলেন, জরুরি কাজের জন্য কুমিল্লা যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিমরাইলে বের হয়েছিলাম। এখন দেখি মহাসড়কে তীব্র যানজট। যানবাহন সামনে এগোনোর কোনো খবর নেই। তাই বাসায় ফেরত চলে যাচ্ছি।

আশরাফুল আলম নামের বাসচালক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আজ ছুটির দিনেও একই অবস্থা। সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল আসতে ৬-৭ মিনিট লাগে। সেখানে আজ যানজটের কারণে প্রায় ৫০ মিনিট লেগেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, সকাল ৭টার দিকে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় মহাসড়কে একটি যান বিকল হয়ে যায়। পাশাপাশি ত্রাণের গাড়ি থেকে শুরু করে যানবাহনের চাপ বেশি।

যানজট নিরসনের হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর