আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামাতে তৎপর রাষ্ট্রবিরোধী চক্রটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অনবদ্য ভূমিকা রাখছে বৃহত্তর শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। তিন দশকের বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় নানা খাতে বিস্তৃত হয়েছে ব্যবসা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ। সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০ হাজার মানুষের। যখন বিদেশে অর্থপাচারের মহোৎসব, তখনও দেশের টাকা দেশে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শিল্পগ্রুপটি। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করতে যখন দুর্বার দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে, ঠিক তখনই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপকে ধ্বংসের পাঁয়তারা শুরু হয়। এই শিল্প গ্রুপকে আক্রমণ দেশের অগ্রযাত্রায় টুঁটিচেপে ধরার শামিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুসন্ধানী তথ্য বলছে, গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা শিল্প পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ যে মামলা দায়ের হয়েছে, এর পেছনে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিয়েছে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে নেতৃত্বদাতা চিহ্নিত চক্রের সদস্যরা। এই চক্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার একাধিক মামলাও রয়েছে। গত এক যুগ ধরে বিদেশে বসে রাষ্ট্র, সরকার, বঙ্গবন্ধু পরিবারসহ দেশের খ্যাতনামা ও প্রতিথযশা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে সংঘবদ্ধ চক্রটি।

জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে পুঁজি করে ফের বসুন্ধরা গ্রুপ তথা রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে মেতে উঠেছে চক্রটি। দেশে-বিদেশে নানা প্রান্তে অবস্থানরত চক্রের সদস্যরা প্রত্যেকের জায়গা থেকে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে। আর, এই চক্রটিকে উসকে দিয়ে অর্থের জোগান দিচ্ছেন ভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ওরফে বিচ্ছু সামশু এবং তার ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

তথ্য মতে, এই চক্রটির ইন্ধনে বসুন্ধরা শিল্প পরিবারের চার সদস্যসহ আটজনকে আসামি করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কথিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। মামলায় বসুন্ধরার চেয়ারম্যান, এমডিসহ কয়েকজন স্বনামধন্য ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যাঁদের সঙ্গে ওই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় দূরতম সম্পর্ক নেই।

এর আগে একই ঘটনাকে পুঁজি করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের উদ্দেশ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেছিলেন নুসরাত। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১৮ আগস্ট আদালত ওই মামলা থেকে বসুন্ধরার এমডির নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাপক অবদান সর্বমহলে প্রশংসিত। ১৯৮৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ শিল্পায়ন, আবাসনসহ নানা ধরনের ব্যবসায় জড়িত। বর্তমানে এই গ্রুপের ব্যবসা সম্প্রসারণ হয়েছে সিমেন্ট, বিটুমিনসহ বহু খাতে। বর্তমানে দেশজুড়ে নানা খাতে ৪৫টির বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই গ্রুপের। সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের। আর, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্প গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল দেশের অন্তত এক কোটি মানুষ। আবাসন খাতের প্রবৃদ্ধিতে শুধু বসুন্ধরা গ্রুপের অবদান প্রায় ২১ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য শিল্প গ্রুপের চেয়ে সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নেও সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে এই শিল্প গ্রুপ। প্রান্তিক পর্যায়ে ২০ হাজার ৭৮০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনাসুদে ঋণ প্রদান করেছে।

তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিল তিল করে বিস্তৃতি পাওয়া এই শিল্প গ্রুপের কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবহান দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। ব্যবসায়িক দুরদর্শীতার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি হতাশাগ্রস্ত লাখ লাখ বেকার তরুণ-যুবকের ঘুরে দাঁড়ানোর প্লাটফর্ম গড়ে তোলেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই শিল্প গ্রুপকে আধুনিক, যুযোপযোগী এবং দেশকে আরো সমৃদ্ধশালী করে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সায়েম সোবহান আনভীর। তাঁদের মতো সম্মানিত ও অনুকরণীয় ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টায় বিস্ময় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার অন্যতম কুশীলব কে এই সারোয়ার : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। এই সারোয়ারের বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের একাধিক মামলা। নুসরাতের মামলায় অন্যতম কুশীলব হিসেবে সক্রিয় বিতর্কিত এই ব্যক্তি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যারিস্টার সারোয়ারের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী। তার বাবা আব্দুল হাকিম হাওলাদার ছিলেন মুসলিম লীগের সদস্য এবং চিহ্নিত রাজাকার। উত্তরাধিকার সূত্রে পরিবারের সকল সদস্যই বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। একসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ২০০৪ সালের দিকে সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালে পরিচয় হয় তারেক রহমানের সঙ্গে। এরপর তারা একসঙ্গে বসে করেন ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার নীলনকশা। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার তথ্য পেয়ে ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে।

অনুসন্ধানী তথ্য বলছে, সারোয়ার তার স্ত্রী শেখ সোনিয়াকে নিয়ে অসংখ্যবার পাকিস্তান ভ্রমণে যান। ইসলামাবাদে অবস্থিত পাঁচতারকা হোটেল সেরেনায় বসে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাথে একাধিকবার বৈঠকও করেন তারা। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা। এমনকি আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগসাজশ করে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার ছকও আঁকেন বেশ কয়েকবার।

বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০১৩ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জ্বালাওপোড়া, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের নেতৃত্বেও ছিলেন সারোয়ার। এ সংক্রান্ত মামলায় পাঁচ মাস জেলও খাটেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর থেকে বিএনপির টিকিটে নির্বাচনের জন্য সারোয়ারকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিলেন তারেক রহমান। এখনও দেশের বাইরে বসে গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়া সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম হোতা এই সারোয়ার। অনলাইনে আইপি টিভি এবং ফেসবুকে নামে বেনামে পেইজ খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন ভয়াবহ অপপ্রচার। দেশের সাধারণ মানুষের আবেগ ও সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন সার্বক্ষণিক। মুনিয়া ইস্যুকে পুঁজি করে শুরু থেকেই সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করে আসছিল চক্রটি। বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধারসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর অপচেষ্টা চক্রটির রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ সংযোজন।

অর্থের জোগানদাতা বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেট : অন্যদিকে, বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারি করোনা ভ্যাকসিন চুরি, ইয়াবা ব্যবসার গোমর ফাঁস, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, ব্যাংকার মোর্শেদ হত্যাসহ একাধিক অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছিল বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর জের ধরে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এমডির বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা করেছেন হুইপ সামশুল। মুনিয়া ইস্যুতে নুসরাতকে দাবার গুটি বানিয়ে ফের অপতৎপরতা শুরু করেছেন।

অনুসন্ধান বলছে, মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। শারুনের বিরুদ্ধে মুনিয়াকে হত্যার অভিযোগও উঠেছিল। বিচ্ছু সামশু এবং তার ছেলের বিপক্ষে কেউ অবস্থান নিলেই নেমে আসে ভয়ংকর নির্যাতন। প্রতিশোধ নিতে শারুন চৌধুরী এতটাই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন যে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের বান্ধবী মুনিয়াকে হত্যা করে করেন। আর, নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মুনিয়ার বোন নুসরাতকে কোটি টাকা দিয়ে বশ করে সাজানো মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।

ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ছয় নম্বর আসামি শারুন চৌধুরীর সাবেক স্ত্রী সাইফা রহমান মিম। তথ্য মতে, মুনিয়ার সঙ্গে শারুনের পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্বামীর সংসার ছেড়ে এসেছিলেন মিম। শারুনের নানা অপকর্মের স্বাক্ষী থাকায় এবং শারুনের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে নুসরাতের মামলায় এই মিমকেও ফাঁসানোর অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি প্রথম মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে সত্য তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় নতুন মামলায় আসামি করা হয়েছে নিরপরাধ বাড়ি মালিক দম্পতিকেও। এ ছাড়া এ মামলায় আসামি করা হয়েছে গত মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকেও। যিনি গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে শারুন চৌধুরী সম্পর্কে স্পর্শকাতর বহু তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন।


আরও খবর



দুই জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন: দুই প্যানেলে লড়বেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ঈদের পর নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এফডিসি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

নির্বাচনে লড়ছেন যারা

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।


আরও খবর



হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন। রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পান, মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর



বোলারদের তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাওয়ার প্লে একদমই ভালো কাটলো না জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশের বোলারদের তোপে তিন বলের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়লো সফরকারীরা।

পঞ্চম ওভারের শেষ বল আর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বলে উইকেট হারিয়েছে দলটি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষ করে ৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে।

সপ্তম ওভারে এসে আবার তাসকিন টানা দুই বলে করেছেন দুই শিকার। অষ্টম ওভারে সাইফউদ্দিন এসে একটি উইকেট শিকার করে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪২ রান।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করেন শরিফুল ইসলাম।

দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন আক্রমণে নিয়ে আসেন শান্ত। শেখ মেহেদী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে দেরি করেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত এক টার্নিং ডেলিভারিতে অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিনকে (০) বোল্ড করেন এই অফস্পিনার। আরভিন ডিফেন্ড করেও উইকেট বাঁচাতে পারেননি।

পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। প্রায় ১৯ মাস পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান। লেগসাইডের বল ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ হন অভিষিক্ত জয়লর্ড গাম্বি (১৪ বলে ১৭)।

শেখ মেহেদীর করা পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম বলে রানআউট হন ব্রায়ান বেনেট (১৫ বলে ১৬)। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে মাহমুদউল্লাহর থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি।

পরের বলে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (০) প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে হন টার্নে পরাস্ত। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে লিটন দাসের হাতে।


আরও খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪