আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে : বিশ্ব ব্যাংক

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, বাংলাদেশ তার অসাধারণ উন্নয়নের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। তিনি একে 'উন্নয়নের এক সফল ঘটনা হিসেবে' বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, "বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি সফল ক্ষেত্র এবং একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক অর্জন করেছে। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের মাধ্যমে চমক সৃষ্টিকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠছে।"

আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে মুক্ত ও স্বচ্ছ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংককে যুদ্ধ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশগুলোর নিজস্ব সম্পদ নিয়ে অভিযোজন ও প্রশমনে কাজ করছে। উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে কানেক্টিভিটি জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তার সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে দেশের উন্নয়ন করছে এবং যাতে জনগণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উন্নত ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে পারে সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন করছে।

বিশ্ব ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার সফলভাবে এমডিজি বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করছে।

বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি যৌথভাবে উদযাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন মার্টিন রাইজার। তিনি ১৯৭২ সালের ৩১শে জানুয়ারি গণভবনে জাতির পিতার সাথে তোলা বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট স্ট্রেঞ্জ ম্যাকনামারার একটি ছবিও হস্তান্তর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলা সেক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ড্রোন উড়িয়ে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের খুঁজছে পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের কয়েকটি ব্যাংকসহ কয়েক জায়গায় হামলার পর গহিন পাহাড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে কেএনএফ। বৃহস্পতিবার রাতে থানচি বাজার ও থানার তিন দিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে তারা থানা দখলের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা পাল্টা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়। কেএনএফ সদস্যরা এখন থানার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আত্মগোপনে রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়েছি। তারা আবারও আক্রমণ করতে পারে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে আমরাও প্রস্তুত রয়েছি।

গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়।

পাহাড়ি এক ব্যবসায়ী বলেন, কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা কী চায় আমরা বুঝতে পারছি না। জীবনে প্রথম ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দিতে হয়েছে। এভাবে চললে ব্যবসায় ধস নামবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য স্থায়ী দোকান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টিসিবি পণ্য বিক্রির জটিলতা কাটাতে স্থায়ী দোকান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, টিসিবির পণ্যগুলো এতদিন বিভিন্ন জায়গায় টেম্পোরারিভাবে বিক্রি হতো। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে একটি স্থায়ী জায়গায় নিয়ে আসার। যাতে মানুষের একটি দিন নষ্ট না হয়। তারা যাতে সেখানে যেয়ে ন্যায্যমূল্যে তাদের পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সেটার একটা কার্যক্রম আমরা চলমান রেখেছি।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

টিটু বলেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসি সাহেবরা বাকি পণ্যগুলোকেও আটকে রাখেন। সবগুলো পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু আমি যখন ফিক্সড দোকান করে দেব তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে তখনই সেই মাল বিক্রি শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। এছাড়া আমাদের যেসব ডিলার রয়েছে তাদেরও পণ্য এক মাস সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত স্টোরেজ না থাকাটাই প্রধান সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবি শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে একটা কাঠামোতে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করতেছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যেকোনো পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার। বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। চট্টগ্রামে আমরা ৪০ হাজার স্কয়ারফিটের একটি নতুন গুদাম করেছি। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম করছি। আমরা চেষ্টা করব অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করতে পারি।

সারা বছর টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবিব মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য দিয়েছি। সেটা ১২ মাসই দেওয়ার করব। এতদিন জরুরি ভিত্তিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে করেছি। টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানে নিয়ে এসেছি।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবারও বাড়তে যাচ্ছে সোনার দাম। এতে করে বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বাজারেও এই ধাতুটি সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। জানা গেছে, শনিবার (৬ এপ্রিল) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে। দাম যা-ই বাড়ানো হোক ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়বে সোনা।

এর আগে গত বছরে স্বর্ণ বিশ্লেষকরা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যাবে। তাদের সেই পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাজুসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করার পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়িয়ে আর বিকল্প কোনো পথ নেই। আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ান মার্কেটের তথ্য পর্যালোচনা করে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি আজ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।

বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এমনিতে সোনার দাম অনেক বেশি। যে কারণে ঈদের আগেও এই ব্যবসায় মন্দা দেখা যাচ্ছে। মানুষ সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। যে কারণে বিক্রি না থাকলেও বাধ্য হয়েই ঈদের আগে সোনার দাম আরও বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেই দাম বেড়ে ২ হাজার ৩২৯ ডলার হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করার চেয়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের দাম ১৭৪ ডলার বেড়ে গেছে।

এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৫২ ডলার। এ দামের মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারই বেড়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৯ ডলার বা ১ দশমিক ৭৫ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ৫২ ডলার। সোনার এতো দাম আগে কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী।

এ বিষয়ে বাজুসের এক সদস্য বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে সোনা রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে মানুষ এখন সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। ফলে ঈদকেন্দ্রীক জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা চলছে। বিক্রি না থাকলেও এখন দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়ানোর আর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়াতে হবেই।

তিনি বলেন, ঈদকেন্দ্রীক বিক্রি ভালো না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমরা চেয়েছিলাম ঈদের আগে সোনার দাম আর না বাড়ানোর। যে কারণে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে ঈদের আগেই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কারণ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের পর এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এখন দেশের বাজারে দাম না বাড়ালে সোনা পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজই বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং সোনার নতুন দাম নির্ধারণের লক্ষ্যে বৈঠকে বসবে। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিষয়টি পর্যালোচনার পাশাপাশি স্থানীয় মার্কেটের তথ্যও পর্যালোচনা করবে। সার্বিক তথ্য পর্যালোচনা করে বৈঠকের মাধ্যমে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে নতুন করে দাম বাড়াতেই হবে। সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করতে আমরা আজ বৈঠক করবো। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নতুন করে দাম কত বাড়বে।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফাহতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

অবশ্য রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে সোমবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অবশ্য গাজার মিডিয়া আউটলেট মৃতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে।

অন্যদিকে গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত গাজা শহরে ইসরায়েলি বিমান দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মূলত হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা করে ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে এসে আশ্রয় নেন। এখন সেই রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলিরা।

এছাড়া রাফাহতে এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিসর।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

রবিবার হামাস কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর গাজার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হামাসের পক্ষ থেকে কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইসরায়েল রাফাহ আক্রমণের হুমকি দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে।

রয়টার্সের সাথে কথা বলা হামাসের দুই কর্মকর্তা সর্বশেষ প্রস্তাবের বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেননি। তবে আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামাস শনিবার ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদে ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না সিটি বাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদে যাত্রী চাহিদা মেটাতে নগরীর ছোট ছোট বাসগুলো অন্যান্য বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। এতে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়ে সড়ক দুর্ঘটনা। তাই এবারের ঈদে এসব বাস ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। অর্ধেকের বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল। তাই এবারের ঈদে পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশ সদস্যদের এ নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঈদে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কগুলোতে ঈদে সবাইকে মোটরসাইকেলে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানান তিনি।

হাবিবুর রহমান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বাস মালিকদের নিষেধ করা হয়েছে যেন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের না করে। যারা এসব নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঈদের কেনাকাটায় কারণে ঢাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় যে পরিমাণ মার্কেট ও যানবাহন রয়েছে সেই তুলনায় পর্যাপ্ত বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে ঈদ কেনাকাটা করতে আসা গাড়িগুলো রাস্তায় পার্কিং করা হচ্ছে। এতে করে আরো যানজট বাড়ছে। সড়কে পার্কিং করলে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর