পিরোজপুর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, আবার সেই পেট্রোল সন্ত্রাসীরা, আবার স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথাচারা দিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। তারা বিদেশ থেকে ফর্মুলা এনে যাকে খুশি তাকে দিয়ে কথা বলায়। এক কর্মকর্তা বাংলাদেশের একটি গ্রেপ্তার নিয়ে তারা আইনি পর্যন্ত লড়ছে। যখন বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় কোথায় ছিলো মানবাধিকারের দালালেরা !
মন্ত্রী আজ শনিবার সকাল ১১টায় হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে “জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ” উদ্বোধন উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আইনের আওতায় চলছে। বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি নাই। যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হবে না, এ আইন করা হয়েছিলো। কোথায় ছিলো মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা। কেন তারা সেদিন রাস্তায় নেমে বলে নাই, যে মাসুম বাচ্চা, গর্ভবতী মহিলাদের হত্যা করার পরে বিচার করা যাবে না এই আইনি তারা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নিন্দা সেদিন কেন জানান নাই। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট সরকারি পৃষ্টপোষকতায় শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেট হামলা করা হয়। ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। কোথায় ছিলেন সেই মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা? আমরা সবাইকে চিনি। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতাবান করতে শক্তি বাড়িয়েছিলেন তাদের কোন পরামর্শ শেখ হাসিনার দরকার নাই। শেখ হাসিনা জানে এদেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কাজেই জয় বাংলা স্লোগানে শানিত হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী শেখ হাসিনাকে আনতে যা করতে হয় সেটাই করাতে হবে। সেটাই হোক আমাদের প্রত্যয়। তিনি থাকলে আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ছিলো দুর্বৃত্তের রাষ্ট্র, প্রকৃতিক দুর্যোগের রাষ্ট্র, সেই বাংলাদেশকে আজকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। একজনই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এবং রক্তের উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি থাকায় আজ বাংলাদেশ উন্নয়নে সমৃদ্ধ। আমাদের আবারও বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনে এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে হবে। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না। তিনি না থাকলে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন হতো না। কাজেই যিনি আমাদের দিয়েছেন তাকেই টিকিয়ে রাখতে হবে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই।
মন্ত্রী জেলেদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বহু প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছিলো সেগুলো সংরক্ষণ করে ৩৫ প্রজাতির মাছ গবেষণার মাধ্যমে পুনঃউদ্ধার করা হয়েছে। ২০০৮সালে উৎপাদন ছিলো ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মট্রিক টন ২০২২ সালে যা ৫ লক্ষ ৬৭ মট্রিক টনে উপণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের ৮০ ভাগ ইলিশই বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। আপনারা আমার দিক তাকিয়ে হলেও জাটকা নিধন বন্ধ রাখুন। এতে এই অঞ্চলের মুখ উজ্জল হবে। আমরা বিশ্বের ৫২টি দেশে মাছ রপ্তানি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সর্বাত্তক চেষ্টা করতে হবে।
মন্ত্রী এর পর সাড়ে বারোটায় কচা নদীতে এক বর্ণাঢ্য নৌর্যালীতে অংশ নেন। এতে নৌপুলিশ, কোষ্টগার্ডসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলেদের শতাধিক নৌযান অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, নৌপুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন এস এম এনামুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক খন্দকার মাহাবুবুল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক শিকদার চান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর হোসেন।