
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
সৈয়দ হোসেন (৪০) নামের এক রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কুতুপালং-২ ইস্ট ক্যাম্পের একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ হোসেন ওই ক্যাম্পের হেড মাঝি
(ক্যাম্পের প্রধান নেতা) ছিলেন বলে জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ নিয়ে
দুই দিনে দুই রোহিঙ্গা নেতা খুন হয়েছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুর্বৃত্তের গুলিতে
খুন হন নুর হাবিব ওরফে ডাক্তার ওয়াক্কাস (৪২) নামে এক রোহিঙ্গা। তিনি আরসার শীর্ষ কমান্ডার
ছিলেন। তাঁকে মিয়ানমারের আরেক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের
(আরএসও) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ বলছে, আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন
আর্মির (আরসা) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আজ সৈয়দ হোসেনকে খুন করেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে
থাকা ১৪ এপিবিএন–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অহিদুর রহমান
আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ সকাল ৭টার দিকে কুতুপালং ২ ইস্টের কাছে একটি চায়ের দোকানে
কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে নাশতা করছিল ক্যাম্প মাঝি সৈয়দ হোসেন। এ সময় ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী
গ্রুপ এসে সৈয়দ হোসেনকে দোকান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে প্রথমে কুপিয়ে পরে গুলি করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে
পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ সৈয়দ হোসেনকে পার্শ্ববর্তী এমএসএফ
হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনায়
আরসার সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে জানা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে
বিভিন্ন অভিযানে সহযোগিতা করায় আরসা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত হেড মাঝি সৈয়দ হোসেনের মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের
জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৪ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত
উপ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) ছৈয়দ হারুনুর রশীদ বলেন, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে
পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।