কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে এর অবকাঠামো। এখানে রয়েছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, শিশু যত্নকেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। এরই মধ্যে রেলস্টেশনটি বিদেশিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ শনিবার নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিন উদ্বোধন হবে ঝিনুক আকৃতির কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনও। এর বাইরে আরও ১৩টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলপথ উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কক্সবাজার শহর সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পথে পথে লাগানো হয়েছে
তোরণ, ব্যানার ও নানা পোস্টার। কক্সবাজার কলাতলী সৈকত থেকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের পথ ধরে রেলস্টেশনের দিকে এগোলে আশপাশে দেখা মেলে আলোকসজ্জা। প্রতিনিয়ত মানুষ আসছেন রেলওয়ে স্টেশনের সামনে। তাদের কেউ কেউ স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখছেন, কেউ কেউ ছবি তুলছেন। অনেক পর্যটক মনে করেন, ট্রেন চালু হলে আরও বেশি মানুষ কক্সবাজার বেড়াতে আসবে।
এদিকে আজ ‘মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে’র প্রথম ইউনিটও উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের প্রস্তুতি দেখতে দুদিন ধরে কক্সবাজার আছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, কক্সবাজার রেলস্টেশনসহ এখানকার মহাকর্মযজ্ঞ শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব আবিষ্কার।’
কক্সবাজার অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। শুক্রবার বিকালে আসেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ ও ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন।
আরও পড়ুন>> মাত্র ১৮৮ টাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার
প্রধানমন্ত্রী আজ বেলা ১১টার দিকে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছাবেন। প্রথমে তিনি যাবেন কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে। স্টেশন থেকে তিনি উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটারের রেলপথ। বেলা ১২টায় কক্সবাজার থেকে রামু রেলওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করবেন সরকারপ্রধান। সেখান থেকে বেলা ১২টা ২০ মিনিটে যাবেন রামু সেনানিবাসে। এরপর দুপুর সোয়া ২টার দিকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। বিকালে যোগ দেবেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জনসভায়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, ১৪টির মধ্যে ৯টি মেগা প্রকল্প।
রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধনের পর ট্রেনে টিকিট কেটে রামু যাবেন শেখ হাসিনা। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনে যাত্রী হিসেবে থাকবেন সৈকতের সাধারণ আলোকচিত্রী, শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুচিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, ১৯৯৫ সালের ৩০ এপ্রিল তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়ী এসেছিলেন।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছমি উদ্দিন বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।