আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

উচ্চশিক্ষায় জার্মানিতে বিপুল সম্ভাবনা

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমাদের দেশের শিক্ষিত যুবসমাজের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রচলন বেশ আগে থেকেই রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে পড়তে যাওয়ার প্রবণতা আমাদের মাঝে সব থেকে বেশি। তবে বর্তমানে, অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেমন জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসকে বেছে নিচ্ছেন। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় জার্মানি হয়তো সবচেয়ে এগিয়ে।

নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা, সময়োপযোগী বিষয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য মিলিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়; বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের কাছে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে জার্মানি। তাছাড়া আরেকটি চমকপ্রদ খবর হলো, জার্মানির মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত অভিবাসন আইনের রূপরেখা উপস্থাপন করেছে। ২০২৩ সালের শুরুতেই আইনটি প্রণয়ন করতে চায় জার্মান সরকার। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বিদেশিদের জন্য আরও দ্রুত জার্মান নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ করে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আজ আলোচনা করা যাক, উচ্চশিক্ষার জন্য কারা, কেন জার্মানিকে বেছে নেবেন। আর এ ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সবশেষে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।

যেসব কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানি উত্তম:

বিনামূল্যে শিক্ষা: জার্মানি মোট ১৬টি রাজ্য নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে বাদেন-ইয়ুর্তেমবার্গ ছাড়া বাকি ১৫টি রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো টিউশন ফি নেই। এক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আপনার কাছ থেকে ছয় মাস পরপর একবার শুধু সেমিস্টার ফি নেওয়া হবে। এই ফি বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে সচারচর ২৮০ থেকে ৩৫০ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় ২৪ থেকে ৩৪ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আরেকটি সুবিধার ব্যাপার হচ্ছে, সেমিস্টার টিকিটের মধ্যেই যাতায়াত খরচ অন্তর্ভূক্ত থাকায়, যেকোনো রাজ্যে গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সেমিস্টার কার্ড দেখালেই চলবে। গণপরিবহনে যাতায়াত করতে আপনাকে আলাদা করে টিকিট কাটতে হবে না।

সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই একজন শিক্ষার্থী নিজে নিজে ইন্টারনেটের সহায়তায় ভর্তি আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। দেশটির কোন বিশ্ববিদ্যালয়, কোন কোর্স, কোন সেশনে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান করছে, আবেদনের সময়সীমা ও যোগ্যতাগুলো কী কী, তা এ ওয়েবসাইট https://www.daad.de/de/ থেকে দেখতে পারেন। 

সহজ ভিসা প্রক্রিয়া: সাধারণত জার্মানির ভিসাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া ও ভিসা লাভের নিশ্চয়তা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে সহজ ও তুলনামূলক কম সময়সাপেক্ষ। ভিসার আবেদন ও এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য দেখতে https://dhaka.diplo.de/ ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

স্কলারশিপ: জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকায় অন্যান্য দেশের তুলনায় স্কলারশিপ পাওয়ার হার কিছুটা কম। তবে নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে ডিএএডি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরও রয়েছে ইরাসমুস স্কলারশিপ। এদিকে, জার্মানিতে যাওয়ার আগে বৃত্তি না পেলেও, ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়। এসব বৃত্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতেই হবে।

খণ্ডকালীন চাকরির সুবিধা: জার্মানিতে একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করতে পারেন। দেশটির নিয়মানুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী বছরে ১২০ দিন পূর্ণ দিবস কিংবা ২৪০ দিন অর্ধদিবস কাজ করতে পারেন। এভাবে নিজের, এমনকি পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়াও সম্ভব। খন্ডকালীন এসব কাজের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি উল্লেখযোগ্য। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজেক্টে অধ্যাপকদের সঙ্গে কাজের যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া যায়। কোনো শিক্ষার্থী যদি শুরু থেকেই 'অড জব' না করে, অধ্যাপকের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হন ও সে অনুযায়ী এগিয়ে যান; তাহলে এ অভিজ্ঞতা দিয়েই দেশটির চাকরির বাজারে ভালো অবস্থান অর্জন করতে পারবেন।

শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের সুবিধা: যেসব শিক্ষার্থী ঘুরতে ভালোবাসেন, তারা উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিকেই এগিয়ে রাখেন। কারণ, একবার এদেশের স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে গেলে, আপনি শেনজেনভুক্ত ২৬টি দেশে ভ্রমণের ভিসা পেয়ে যাবেন। একপ্রকার পুরো ইউরোপ ঘুরে দেখার এ অভাবনীয় সুযোগ লুফে নেওয়ার জন্যই অনেকে জার্মানিতে পড়তে চান।

পড়াশোনা শেষে চাকরি ও স্থায়ীভাবে থাকার সুবিধা: জার্মানিতে পড়ালেখা শেষ করার পর ১৮ মাসের একটি 'জব সার্চিং ভিসা' দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী তার সাবজেক্ট সংশ্লিষ্ট চাকরি খুঁজে নিতে পারলে জব সার্চিং ভিসাকে ওয়ার্কিং ভিসায় রূপান্তর করা হয়। দুই বছর চাকরি করার পর একজন শিক্ষার্থী পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (পিআর) বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন।

যাদের জন্য জার্মানি সর্বোত্তম

জার্মানিতে থাকা কিংবা পড়ালেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভাষা। স্বভাবগতভাবেই জার্মানরা নিজেদের ভাষাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। সাবলীল ইংরেজি জানলেও, সচারচর কেউ অনুরোধ না করলে তারা ইংরেজি বলেন না। তাই জার্মান ভাষা না জানলে দেশটিতে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে শুরু চাকরির ক্ষেত্রে ভালোই ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং যতই সুবিধা দেওয়া হোক না কেন, জার্মান ভাষা শিখতে না পারলে কিংবা ভাষাটা কঠিন মনে হলে উচ্চশিক্ষার জন্য এ দেশে না যাওয়াটাই উত্তম। বাংলাদেশে জার্মান ভাষা শেখার যাবতীয় তথ্য মিলবে https://www.goethe.de/de/index.html ওয়েবসাইটে। জার্মানিতে আসার আগে অন্তত 'এ টু' সমপর্যায়ের ভাষা শিখে আসলে ভালো হবে। না হলে পিআর পেতে বেশ কষ্টই হবে যাবে। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্ন ও তার উত্তর:

জার্মানিতে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য কী কী লাগবে? উত্তর: ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য আপনাকে উচ্চমাধ্যমিকের (এইচএসসি) পরে জার্মানি স্বীকৃত বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে এক বছর পড়তে হবে ও টোটাল কোর্সের ২৫ শতাংশ শেষ করতে হবে।  গুগলে anabin university list bangladesh লিখে সার্চ করার পর যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে H++ থাকবে, সেগুলো জার্মান স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। এ তালিকার যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেই হবে।

আইইএলটিএসে (IELTS) কতো পয়েন্ট কত লাগে? উত্তর: আইইএলটিএসে মিনিমাম ৬ লাগবে। কিছুক্ষেত্রে ৫.৫ পয়েন্ট নিয়ে, এমনকি এমওআই দিয়েও অফারলেটার পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি জার্মান দূতাবাস রিকোয়ারমেন্ট হিসেবে মিনিমাম ৬ পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ, ভিসা পেতে আইইএলটিএসে ৬ থাকাটা বাধ্যতামূলক।

সিজিপিএ কত লাগে? উত্তর: ব্যাচেলরের সিজিপিএ ৩.৫ থাকাটা সবচেয়ে ভালো, তকে সমান ৩ থাকলেও চলবে। তবে এর থেকেও কম সিজিপিএ নিয়ে জার্মানিতে যাওয়ার নজির আছে। সুতরাং লেগে থাকলে সিজিপিএ একটু কম হলেও যেতে পারবেন।

মাস্টার্সে আবেদন করতে কী কী কাগজপত্র লাগবে? উত্তর: উচ্চমাধ্যমিক কিংবা ডিপ্লোমা সনদপত্র, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা ডিপ্লোমার নম্বরপত্র, স্নাতক সনদ ও নম্বরপত্র, আইইএলটিএসে কমপক্ষে ৬ পাওয়ার সনদ, পাসপোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের আলাদা আলাদা সুপারিশপত্র, ডিপার্টমেন্টর প্রধান অফিস সহকারীর সুপারিশপত্র, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ, ইউরোপাস সিভি, লেটার অব মোটিভেশন, মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন (এমওআই), ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেট (অটো ক্যাড অথবা এমএস অফিস)। সবগুলো ডকুমেন্ট নোটারি করতে হবে।

কত টাকা লাগে? উত্তর: মোটামুটি ১৩ লাখ টাকা লাগে। তার মধ্যে ব্লক অ্যাকাউন্টের সাড়ে ১০ লাখ, প্লেন ভাড়ার ৫০ হাজার ও অন্যান্য খরচ বাবাদ ২ লাখ টাকা কিংবা তার বেশি ধরতে হবে।

ব্লক অ্যাকাউন্ট কী? উত্তর: জার্মানিতে এক বছরের জন্য আপনার নিজের নামে ১০ হাজার ৫৩২ ইউরো জমা করতে হয়। যাওয়ার পরে আপনি পুরো টাকাটা ১২ কিস্তিতে ফেরত পাবেন। অন্যান্য দেশের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়, কিন্তু জার্মানিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টের পরিবর্তে ব্লক অ্যাকাউন্ট করতে হয়।  সোনালী, সিটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকে ব্লক অ্যাকাউন্ট করাতে পারবেন।

কখন আবেদন করবো? উত্তর: আপনি বছরে উইন্টার (১৫ জানুয়ারি-১৫ জুলাই) ও সামার (১ অক্টোবর- ১৫ ডিসেম্বর) ২টা সেশনে আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ডেডলাইন আলাদা হতে পারে তবে, জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। জার্মানিতে। তাই উইন্টারে আবেদন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

নিউজ ট্যাগ: জার্মানি

আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে  ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাবখান সেতু টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে একটি ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৭ জন। তবে এ মুহুর্তে কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজতে ঝালকাটি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে।

জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৫ জন এবং আশঙ্কাজন অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখানে ভিন্ন কিছু আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভূমধ্যসাগরের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে চোরাকারবারিদের নৌকা ডুবে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় উপকূলরক্ষী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি এ খবর জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

জীবিতদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, স্টিল-বটম বোটটি গিনি, বুর্কিনা ফাসো, মালি ও আইভরি কোস্ট থেকে ৪৬ জন মানুষকে নিয়ে রোববার রাতে তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তারা বলেন, বুধবার সকালে নৌকাটি ডুবে যায়।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একটি ৬ মাস বয়সি শিশু ও আটজন পুরুষ রয়েছেন। বেঁচে থাকা ছয়জনকে গুরুতর হাইপোথার্মিয়া ও ডিহাইড্রেশনের জন্য চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আর দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাধারণত গ্রীষ্মের কাছাকাছি সময় আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসার প্রবণতা বেড়ে যায়। তখন নৌকাডুবির উদ্বেগও বাড়ে। তাই ইতালীয় বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী দাতব্য সংস্থার উদ্ধারকারী নৌকার  কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে দেয়।

ইতালির অতি-ডান-নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি দাতব্য নৌকাগুলোকে উদ্ধারের পর উত্তর বন্দরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের কার্যক্রম কমিয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে নৌকাগুলোকে আটক করছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ফেদেরিকো ফসি বলেন, গ্রীষ্মকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। কারণ এ সময় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত নৌকা নিয়ে ইতালি যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, এই বছর এ পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা থেকে ইতালিতে আসার পথে ভূমধ্যসাগরে ৩৮৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্প চালু করার পর থেকে ২৩ হাজার ১০৯ জন নিখোঁজ হয়েছে।


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর



সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে এক মৌয়াল নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। তবে শনিবার সকালে স্বজনদের খবর দেন সঙ্গে থাকা মৌয়ালরা।

নিহত মনিরুজ্জামান বাচ্চু গাজী (৪০) শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত. কাশেম গাজীর ছেলে।

নিহতের স্বজন আশিকুর রহমান জানান, বাচ্চু গাজী আমার দুলাভাই। সকালে খবর পেয়েছি বাঘের আক্রমণে তিনি নিহত হয়েছেন। মরদেহ নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন সঙ্গে থাকা মৌয়ালরা।

গাবুরা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আদিয়ার রহমান বলেন, ২৪ দিন আগে একসঙ্গে দশ জন মৌয়াল মধু সংগ্রহ করতে সুন্দরবনে যায়। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বাঘের আক্রমণে বাচ্চু গাজী নিহত হয়েছে। তারা মধু কাঁটতে কাঁটতে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে গিয়েছিল। নৌকার মাঝি এ খবর মুঠোফোনের মাধ্যমে জানিয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা ইকবাল হুসাইন চৌধুরী জানান, বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহতের খবর শুনছি। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।


আরও খবর



গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কর্তৃপক্ষ।

জিএসটি কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবার ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনও। পাশাপাশি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিবাবকরা যেন কেন্দ্রে না আসেন, সেজন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


আরও খবর