বিশ্বজুড়ে বন্দরগুলোয় পণ্যজট আগামী বছরের প্রথম দিকেও অব্যাহত থাকবে। এতে উচ্চ পরিবহন ব্যয়ও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন লজিস্টিকস শিল্পের নির্বাহীরা। এজন্য তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি পরিবহন চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারী ২০২০ সাল থেকে জাহাজে পণ্য সরবরাহের সময়কে দীর্ঘায়িত করেছে। এতে পণ্যবাহী পরিবহন ব্যয় রেকর্ড উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। এ অবস্থায় চলতি বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সাংহাইয়ে কভিডজনিত লকডাউন সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতাকে ত্বরান্বিত করেছে।
ভিসি ইন্ডাস্ট্রিজের বৈশ্বিক পরিবহন বিভাগের গ্লোবাল ওশেন ফ্রেইট প্রডাক্টের প্রধান পিটার সুন্দরা বলেন, আমরা মনে করি বর্তমান যানজট কেবল বন্দরে নয়, উড়োজাহাজে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও অব্যাহত থাকবে। অন্তত ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত এ অবস্থা চলমান থাকবে। আগামী বছর বৈশ্বিক বহরে আরো কিছু পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ যুক্ত হতে যাচ্ছে। তবে তার মানে এটা নয় যে, সামুদ্রিক পরিবহন ব্যয় ব্যাপক হারে কমে যাবে। কারণ এটি আসলে নির্ভর করে কীভাবে জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বর্ধিত জাহাজের সক্ষমতা বরাদ্দ করে।
শিল্প সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিএমটি এশিয়া-প্যাসিফিকের বিনিয়োগ সহায়ক বিভাগের প্রধান এরিক জিন বলেন, ক্রমবর্ধমান পরিবহন ব্যয়, দীর্ঘ ট্রানজিট সময় এবং উচ্চতর অনিশ্চয়তা শিপিং শিল্পের জন্য নতুন স্বাভাবিক হবে। চলতি বছর সরবরাহ চেইনের ব্যাঘাত ও বন্দরের যানজট বিশ্বব্যাপী শিপিং ব্যয়ে প্রভাব ফেলেছে। শিপিং খাতের নির্বাহীরা সুপারিশ করেন, ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও প্রাপ্যতার সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে প্রতিষ্ঠানগুলো জাহাজ মালিকদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পিটার সুন্দরা বলেন, এ চুক্তি তিন মাস, ছয় মাস বা এক বছর নয়। বরং দুই থেকে তিন বছরের চুক্তি করলে এসব প্রতিবন্ধকতা এড়ানো সম্ভব। কারণ আমরা পরিবহন ও প্রাপ্যতা নিয়ে নিশ্চয়তা চাই।