আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ট্যাংক কেন পাচ্ছে না ইউক্রেন

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনকে রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু না করার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। নতুন অস্ত্র সহায়তা হাতে পাওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এ অবস্থান বজায় রাখতে বলেছেন তারা। গত শুক্রবার বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ইউক্রেনে নিজেদের আব্রামস ট্যাংক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র এখনও অটল। জার্মানির সঙ্গে লিওপার্ড ট্যাংক পাঠানোর প্রশ্নে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের জন্য নতুন ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ছাড়াও তিনি হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, ইউক্রেন তার প্রয়োজনীয় সহযোগিতার সবই পাবে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে শত শত সাজোয়াঁ যান পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ইউক্রেন ভারী ট্যাংক চায়। কিন্তু জার্মানি তা দিতে রাজি নয়। দেশটির কথা, এতে করে যুদ্ধে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ তোলা হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে। জার্মানি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আরও বহু দেশ। এর ওপর নির্ভর করবে ইউক্রেনে ভারী ট্যাংক পাঠানোর ভবিষ্যৎ। যে ট্যাংকগুলো পাঠানোর প্রশ্নে এত হট্টগোল, সেগুলো লিওপার্ড ২ মডেলের।

জার্মানি এ ট্যাংকগুলো তৈরি করেছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময়। হাজারে হাজারে তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছিল আশপাশের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে। ফলে ইউরোপের কয়েক ডজন দেশের হাতে রয়েছে এই ট্যাংক। প্রথমবারের মতো এই ট্যাংক নামানো হয় ১৯৭৯ সালে। আর এর সর্বোচ্চ গতি ওঠে প্রতি ঘণ্টায় ৬৮ কিলোমিটার। এতে রয়েছে ১২০ মিলিমিটারের বোর গান এবং দুটি হালকা মেশিনগান। এর আগে বসনিয়ার কসোভোতে, আফগানিস্তানে এবং রাশিয়াতে এই ট্যাংকগুলো নামানো হয়েছিল। সেখানে অ্যান্টি ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে এগুলোকে পরাস্তও হতে দেখা গেছে।

ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ভারী অস্ত্র প্রয়োজন। কিয়েভের হাতে সীমিতসংখ্যক ট্যাংক রয়েছে। সেগুলোর বেশির ভাগই সোভিয়েত এবং সোভিয়েত পরবর্তী আমলের। দেশটির ধারণা, আসন্ন মাসগুলোতে তাদের ওপর একাধিক আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনায় রয়েছে রাশিয়ার। এ ছাড়াও মিত্র দেশের অনেকে এবং ইউক্রেন নিজেও বিশ্বাস করে, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে তাদের ট্যাংক প্রয়োজন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জার্মানির ট্যাংক দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছে না তারা। এ নিয়ে সমালোচনাও করেছেন ইউক্রেনের কর্তাব্যক্তিরা।

রাশিয়ার বাহিনী এ যুদ্ধে টি-৯০ মডেলের ট্যাংক ব্যবহার করছে। সেগুলোর সামনে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৩০০ ট্যাংক প্রয়োজন ইউক্রেনের। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেনের ৩০০ ট্যাংক লাগবে না। একশ ট্যাংকই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এসব ট্যাংক সংগ্রহে বেশি দূর যেতে হবে না। প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডের কাছেই প্রচুর লিওপার্ড ট্যাংক রয়েছে। তারাও এটি ইউক্রেনকে দিতে প্রস্তুত। শুধু জার্মানির বাধাটা উঠে গেলেই হয়। এই ট্যাংকগুলো রপ্তানি লাইসেন্সের অধীনে মিত্র দেশে পাঠিয়েছিল জার্মানি। ফলে কোনো রাষ্ট্র যদি এসব ট্যাংক তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে চায়, সে উদ্যোগে ভেটোর মাধ্যমে বাধা দিতে পারবে তারা।

জার্মানি এখন ইউক্রেন প্রশ্নে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তারা বহুপাক্ষিকভাবে অস্ত্র পাঠানোর পক্ষে। কিন্তু একা এক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সামরিকীকরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ফলে সাজোয়াঁ যানসহ নানা সরঞ্জাম পাঠালেও কোনোভাবেই ট্যাংক পাঠাতে রাজি হচ্ছে না তারা।

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিকে আলোচনার মাধ্যমে রাজি করানোর প্রচেষ্টাও চলছে। তবে জার্মানির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে নিজেদের আব্রামস ট্যাংক পাঠায়, তাহলে তারাও নিজেদের লিওপার্ড ট্যাংক পাঠাবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আব্রামস ট্যাংক চালাতে জ্বালানি বেশি লাগে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সে জ্বালানির চাহিদা মেটানোর বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য নতুন এক সমস্যা হয়ে দেখা দেবে।

ট্যাংক না পাঠানোর পক্ষে যুক্তিগুলো: এখন পর্যন্ত ট্যাংক না পাঠানোর পক্ষে যে যুক্তিগুলো এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হলো- এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুদ্ধে নিজেদেরকে সরাসরি জড়িয়ে ফেলবে ন্যাটো দেশগুলো। ফলে যুদ্ধের পরিসর বেড়ে যেতে পারে।তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সীমানা মেনে ট্যাংক ব্যবহার করা হবে। ইউক্রেনের মিত্ররা বলছে, রুশরাই আদতে সংঘাতের পরিসর বৃদ্ধি করে চলেছে ক্রমাগত। তাদের বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে বেসামরিক কাঠামোতে। হত্যা করা হচ্ছে বেসামরিক মানুষকে। এমনকি পারমাণবিক আক্রমণের হুমকিও চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিশেষ সভা শেষে এ ফলাফল প্রকাশ করে।

গত ২৬ এপ্রিল ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ প্রার্থী অংশ নেন। এ ছাড়া পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। আর উপস্থিতির হার ছিল ৭৫।

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন, শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষায় ৫২০ জন। পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪ জন, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে। মোট ৩ হাজার ১৪০ শূন্য পদের বিপরীতে ৩ লাখ ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়ে।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি সৌদি বাদশাহ সালমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে জেদ্দার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ এপ্রিল) এমনটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষক বাদশাহ সালমান ক্রাউন প্রিন্স এবং উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহকে শেষ বার ২০২২ সালের মে মাসে কোলনোস্কোপি এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।


আরও খবর



গরমে পুড়ছে ফিলিপাইন, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির কবলে পড়েছে। শুধু তাই নয় প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্র বিদ্যমান। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।

সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব প্রশ্ন রাখেন তিনি।


আরও খবর



মঙ্গলবার যে ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তাপপ্রবাহের কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের ২৭টি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি বাড়ানো হয়। এতে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে গতকাল রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরুর কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলে।

তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় আজ দেশের ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এই নির্দেশনার বাইরে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়।


আরও খবর



২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দেশের ২৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘আবহাওয়া পূর্বাভাস’র ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার, ৪ মে ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরের দিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত রয়েছে মাধ্যমিকে পাঠদান চলবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ মে) থেকেই ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলএক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপ প্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রেরিত রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


আরও খবর