ভূমিকম্পে তুরস্ক
ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের
জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথস। ৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত ওই ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত
৩৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। তবে ধসে যাওয়া অনেক ভবনে পুরোপুরি
উদ্ধারকাজ চালানো যায়নি। এসব ধ্বংসস্তূপে আরও অনেক মরদেহ মিলতে পারে।
মার্টিন গ্রিফিথস
ব্রিটেনের স্কাই নিউজকে বলেছেন, “এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধার অভিযান
চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। ফলে প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ মারা গিয়েছেন তা চিন্তা করাও কঠিন। হতে
পারে এই সংখ্যা দ্বিগুন বা তারও বেশি।”
মার্টিন গ্রিফিথস
বলেন, ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিতদের বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ স্বাভাবিক সময়
৭২ ঘণ্টা। তা সত্ত্বেও এর অনেক পরে শনিবার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা
হয়েছে কিছু মানুষকে। উদ্ধার অভিযান কখন শেষ হবে তা বলা অবিশ্বাস্য রকম কঠিন। ভূমিকম্পের
ফলে আন্তর্জাতিক যে সহায়তা আসছে তাও নিতান্তই কম বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে শনিবার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছেন কমপক্ষে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। বিধ্বস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার ভবনের মধ্যে
বহু হাসপাতালও রয়েছে। তাৎক্ষণিক সহায়তা ও চিকিৎসার প্রয়োজন মেটাতে ৪ কোটি ২৮ লাখ ডলারের
জন্য আবেদন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরইমধ্যে তারা জরুরি তহবিল থেকে ১ কোটি
৬০ লাখ ডলার ছাড় দিয়েছে।