আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৬০

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৫৬০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুরস্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর অন্তত ২০টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬। তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্প আশপাশের দেশগুলোতে, বিশেষ করে লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরাইল, ইতালিতে অনুভূত হয়েছে। বিবিসি বলছে, ইতালিতে প্রথমে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর পরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়। আশা করছি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুতই এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তুরস্কের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ তুরস্কের সঙ্গে আছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত ইউক্রেনের জনগণ।

অপরদিকে ইসরাইল সরকারও তুরস্ককে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, জরুরি সহায়তা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিগত ৮০ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। অবশ্য তুকি কর্তৃপক্ষ বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪।

ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ফলে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেক মানুষ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ভূমিকম্পে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও কেঁপে ওঠে।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপে হন্যে হয়ে স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। কেউবা আহতদের উদ্ধারের পর ছুটছেন হাসপাতালের পথে। হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারি যেন থামছেই না।

তুরস্কের সীমান্তবর্তী দেশ সিরিয়াতেও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সেখানেও ভবন ধসে অনেকের আটকা পড়ার খবর এসেছে। দেশটির সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অনেক লোক হতাহত হয়েছেন।


আরও খবর



আট জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত অতিক্রমের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি জেলায় শক্তিশালী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) রাতে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাত ২টার দিকে ঢাকায় ঘন ঘন বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এছাড়া রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গাতেও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, রাজধানীতে রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৯২ কিলোমিটার।

রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ মিলিমিটার। এই সময়ে সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। চলতি সপ্তাহেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টির এমন আভাস রয়েছে।

মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুই-তিন দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ছাড়াও মাসের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।


আরও খবর



হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাতিরপুলের রাজ কমপ্লেক্স নামের ৬ তলা ভবনে লাগা আগুন প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন।

তিনি বলেন, হাতিরপুল কাঁচাবাজার এলাকায় একটি ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: হাতিরপুলে আগুন

আরও খবর



আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মাঝরাতেই আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। রাতেই আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাসে ছুটে যান উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে শাস্তির বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া সব বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এদিকে এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাইরুজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাঝরাতেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয় জবি ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৩৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জন মারা গেছেন।

এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ২২ জনের মরদেহ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১১ জনের মরদেহ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন রাত দেড়টার দিকে বলেন, নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ১১ জনের মরদেহ রয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আগুনের ঘটনায় তিনজনের মরদেহ এবং অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে চার শিশু ও ২১ নারী রয়েছেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, ৪২ জনকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁরির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১১ জনের মরদেহ এসেছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জনের মরদেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার কিছু সময় পরই একটি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হওয়া আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। আগুনে হতাহতদের বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টেটির ক্রেতা ও স্টাফ।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুন: ঢাকা মেডিকেলে স্বজনদের আহাজারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের সারি সারি মৃতদেহ পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। আপনজনদের মৃতদেহ নিতে মর্গের পাশেই অপেক্ষা করছেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা যেন ভারী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়, মৃতদেহগুলো নিতে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। কেউ কেউ স্বজনদের জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন। কেউবা স্মৃতি মনে করে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।

এদিকে শুক্রবার (০১ মার্চ) ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর থেকে মৃতদেহ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের তথ্য চায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে মৃতদেহ শনাক্তের পর মৃতদেহ হস্তান্তর শুরু হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।


আরও খবর