আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন; তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়। শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এসময় সমাধি কমপ্লেক্সের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাহবুবউল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

পরে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুরকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে টু্ঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী তাকে অভ্যর্থনা জানান।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাধারণ এক পরিবারে। ছোটবেলাতেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু তার সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠন করেন। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয়-দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।

বঙ্গবন্ধুর সাহসী, দৃঢ়চেতা, আপোষহীন নেতৃত্ব ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়ে জেগে ওঠে শত বছরের নির্যাতিত-নিপীড়িত পরাধীন বাঙালি জাতি। যার ফলে ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরেই শুরু হয়েছে, এরপর দিনভর থাকছে নানা আয়োজন। টুঙ্গিপাড়া হৃদয়ে পিতৃভূমি প্রতিপাদ্য নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি।

শুক্রবার বেলা আড়াইটায় টুঙ্গিপাড়ায় আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধের ছয়মাস পর খান ইউনিসসহ দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে উপত্যকাটির অন্য অঞ্চলগুলোতে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা।

যুদ্ধাবস্থার মধ্যে বিচ্ছিন্নতার মাত্রা, সময়কাল সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদনের মধ্যে দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, আইডিএফ-৯৮ কমান্ডো ডিভিশন খান ইউনিসে নিজেদের মিশন শেষ করেছে। এ বাহিনীর গাজা ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য প্রস্তুত ও পুনরুদ্ধার করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইডিএফ-১৬২ কমান্ডো ডিভিশন ও নাহাল ব্রিগেডের নেতৃত্বে একটি উল্লেখযোগ্য বাহিনী গাজা উপত্যকায় কাজ করে চলেছে। আইডিএফ তাদের কাজের স্বাধীনতা ও সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা ভিত্তিক অপারেশন পরিচালনার ক্ষমতা রক্ষা করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনা। তবে বিশদ বিবরণ না দিলেও রয়টার্সকে তারা একটি ব্রিগেড গাজায় রেখে দেওয়া কথা জানিয়েছে। একটি ইসরায়েলি ব্রিগেড সাধারণত কয়েক হাজার সৈন্য দ্বারা গঠিত।

এদিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে দীর্ঘ ও হুমকিপূর্ণ অনুপ্রবেশ বিলম্বিত হবে কিনা, সেটি স্পষ্ট হয়নি। কেননা, ইসরায়েল শুরু থেকেই হামাসকে নির্মুলের কথা বলে আসছেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহারের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মন্তব্য যে, সিদ্ধান্তটি সম্ভবত সৈন্যদের "বিশ্রাম ও সংস্কার" করার একটি সুযোগ হতে পারে।


আরও খবর



বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়, শীর্ষে দিল্লি

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৩ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে।

ভারতের দিল্লি বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীনের বেইজিং শহরের স্কোর ১৮৭, চতুর্থ অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৪ আর ১৬৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুক্তিপণ পাওয়ার পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা।

সোমালিয়ার সংবাদমাধ্যম গ্যারোয়ে অনলাইন জানিয়েছে, জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে দস্যুদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুন্টল্যান্ডের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মির সঙ্গে জড়িত এই ৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের কোনো অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

এদিকে, ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দুই দস্যু জানিয়েছে, দুই দিন আগে মুক্তিপণ হিসেবে তাদের ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়। এই অর্থগুলো নকল কি না পরবর্তীতে সেটি যাচাই-বাছাই করে তারা। এরপর নিজেদের মধ্যে অর্থগুলো ভাগ করে তারা জাহাজ থেকে চলে যায়।

মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজ ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি দস্যুদের আরও জাহাজ ছিনতাইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুন্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা।

গত তিন মাস ধরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দস্যুরা সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শাবাবের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সোমালিয়ার সরকার। দস্যুতা বন্ধ করতে জলদস্যুদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। গত ১৭ এপ্রিল সোমালি দস্যুদের কাছ থেকে এমভি রুয়েন নামের একটি জাহাজ উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজটি উদ্ধারে তারা কমান্ডো অভিযান পরিচালনা করে।

বাংলাদেশি জাহাজটিও মুক্ত করতে ভারতীয় নৌবাহিনী সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এতে সম্মতি দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। এর বদলে আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার পথ অনুসরণ করা হয়। এতে করে সব নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এটির মালিক কবির রি রোলিং মিলস। ওই সময় জাহাজটিতে ২৩ নাবিক ছিলেন।


আরও খবর



ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গত রাতে বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাইউনা জেলায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারি রয়েছে। খবর আল জাজিরা

নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে কালো পোশাক ও হেলমেট পরা একদল লোক মোটরবাইকে করে এসে কিছুটা পথ হেটে একটি কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িতে গুলি চালায়। ওই গাড়িতেই টিকটক তারকা ওম ফাহাদ বসে ছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওম ফাহাদের প্রকৃত নাম গুফরান সায়াদি, টিকটকে তার অর্ধ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। পপ মিউজিকের সঙ্গে নেচে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটিকে শেয়ার করতেন তিনি। তার তৈরি ভিডিওতে শালীনতা নষ্ট করে এমন বক্তব্য এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। যদিও তার ভিডিওগুরো ১০ লাখের অধিক ভিউ হয়েছে।

ওই সময়ে পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ওম ফাহাদের ওই ধরনের অশালীন ভিডিও তৈরি ইরাকি সমাজ এবং পারিবারিক সংস্কৃতিতে কতটা প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি কদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওম ফাহাদের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জারকে হত্যার মতো ঘটনা এটাই প্রথম নয়, দেশটিতে অনলাইনে মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক কঠোরতা রয়েছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২৮ সালে ২২ বছর বয়সী মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার তারা ফারেজকেও বন্দুকধারীরা হত্যা করে।

ইরাকে অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) এর মতোও ঘটনা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার তিবা আল আলীকে তার বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



এখন সময় এসেছে নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার : বিদ্যা বালান

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের একজন বিদ্যা বালান। ২০২২ সালে অভিনেতা রণবীর সিং যখন নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন তখন একমাত্র নায়িকা হিসেবে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

সময় গড়িয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও থেমেছে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবারও রণবীর প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিদ্যা। যেখানে অভিনেতাদের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে অকপটেই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

বিদ্যা বালান বলেন, এখনো একই কথা বলব। আপনি যেকোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, প্লেবয় বা ডেবোনেয়র-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের মতো যারা, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ থাকতে পারে, ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই যা বলেছিলাম, এখনো তাই বলছি। আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনো হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিদ্যা বালানের অভিমত কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিদ্যার পরবর্তী সিনেমা দো আউর দো পেয়ার। যেখানে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানো হয়নি। এর বাইরের বিষয়ও আছে। আমরা নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

নিউজ ট্যাগ: বিদ্যা বালান

আরও খবর