বিশ্বের অন্যতম
ধনী ব্যক্তি ইলনের হাতে টুইটারের মালিকানা আসার পর পরই কর্মী ছাটাই করা হয়েছে। এবার
কোম্পানির কার্যালয়ে তালা পড়েছে। সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে টুইটারের অফিস। আর এ নির্দেশ
তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। আর এ তথ্য কর্মীদের বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে।
বার্তায় টুইটারের
কর্মীদের কোম্পানির নীতিমালা মেনে চলতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দয়া করে কোম্পানির
নীতিমালা মেনে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোনোখানে আলোচনা
করবেন না।
এর আগের দিন ইলন
মাস্ক কর্মীদের ই-মেইল দিয়ে জানান, টুইটারে কাজ করতে হলে তার দেওয়া শর্ত মেনে চলতে
হবে। তিনি রীতিমতো এ বিষয়ে কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শর্ত পছন্দ না হলে বা মানতে
না চাইলে তার কোনো আপত্তি নেই। কর্মীরা নির্বিঘ্নে তিন মাসের বেতন নিয়ে কাজ ছাড়তে পারেন।
টুইটারের বাইরের দরজা তাদের জন্য সব সময় খোলা আছে।টুইটারের কার্যালয় ২১ নভেম্বর পুনরায়
খুলবে। তবে ঠিক কী কারণে এ পদক্ষেপ, তা যানা যায়নি।
এদিকে ইলন মাস্কের
নানা ধরনের শর্ত না মেনে অনেক কর্মী ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। কোম্পানির এক সাবেক কর্মী
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, এই মেইলের পর টুইটারে দুই হাজরের বেশি কর্মী
থাকবে বলে মনে হয় না।
ইলন মাস্ক স্পষ্ট
করেই বলে দিয়েছেন, করপোরেট সংস্কৃতির ধার ধারেন না তিনি। টুইটার যেভাবে প্রতিদিন বিপুল
ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তাতে ভালো ও বেশি কাজ করা ছাড়া কোম্পানিকে বাঁচানোর আর কোনো
উপায় নেই। তাই টুইটারের কর্মীদের আলস্য কাটিয়ে উঠে পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত থাকতে
বলেছেন।