আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

টুইটারে নতুন সংকট, সব অফিস বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কর্মী ছাঁটাইয়ের খবরে বড় সংকটের মধ্যে নতুন করে আবারও সংকট সৃষ্টি হয়েছে টুইটারে। টুইটার কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের বলেছে, সাময়িকভাবে টুইটার কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও কর্মীদের জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কর্মীদের কাছে লেখা একটি বার্তা তাদের হাতে এসেছে। সেখান থেকে জানা গেছে, সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও আগামী ২১ নভেম্বর থেকে টুইটার কার্যালয় আবার খোলা হবে।

বিবিসি আরও বলেছে, তবে কী কারণে টুইটার কর্তৃপক্ষ এমন পদক্ষেপ নিয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেনি।

সম্প্রতি টুইটার অধিগ্রহণের পর বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক টুইটার কর্মীদের বলেছিলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অফিসে কাজ করুন, নইলে চলে যান।’ মাস্কের এ আহ্বানের পর বিপুলসংখ্যক কর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এই গণপদত্যাগের মধ্যেই টুইটার অফিস বন্ধের ঘোষণা এল গণমাধ্যমে।

কর্মীদের কাছে লেখা বার্তায় টুইটার বলেছে, অনুগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি মেনে চলুন। প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যম, সংবাদমাধ্যম কিংবা অন্য কোথাও আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।

বিবিসি জানিয়েছে, টুইটারের এমন পদক্ষেপের কারণ জানতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও টুইটার কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কর্মীদের বেশি সময় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। কর্মীদের কাছে পাঠানো ইমেইলে টুইটার বলেছে, কর্মীরা যদি চাকরি করতে চান, তাহলে বেশি সময় কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হওয়া উচিত। যারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ ধরনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন না তাদের ৩ মাসের বেতন কাটা হবে।

এ মাসের শুরুর দিকে টুইটার বলেছিল, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করবে।

এদিকে টুইটার কর্তৃপক্ষের এমন মেইলের পরে অসংখ্য কর্মী চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারা টুইটারে #LoveWhereYouWorked হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট দিচ্ছেন। চাকরি ছেড়ে দেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী বিবিসিকে বলেছেন, আমার মনে হয়, যে হারে কর্মীরা চলে যাচ্ছেন এবং যে হারে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, তাতে ২ হাজার কর্মীও অবশিষ্ট থাকবে না টুইটারে।’

ইলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের আগে প্রতিষ্ঠানটিতে সাড়ে ৭ হাজার পূর্ণকালীন কর্মী ছিল। এ ছাড়া অসংখ্য চুক্তিবদ্ধ কর্মী ছিলেন, যাদের বেশির ভাগকে ইতিমধ্যেই ছাঁটাই করা হয়েছে।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আবারও রাজনীতিতে ফিরলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মুম্বাইয়ের বালাসাহেব ভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে শিবসেনায় যোগ দেন গোবিন্দ।

পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন গোবিন্দ। সেই মিটিংয়ের পরই তিনি শিবসেনায় যোগ দিলেন।

এর আগেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ। তখন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি সেই দলের হয়ে ২০০৪ সালে লোকসভায় লড়েছিলেন উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকে। তখন তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রাম নায়ককে পরাজিত করেন। এরপর তিনি কংগ্রেস থেকে মুখ ফেরান এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শিবসেনায় যোগ দিয়ে গোবিন্দ বলেন, আমি মন দিয়ে ভালো করে কাজ করব। শিল্পের উন্নতির দিকে নজর রাখব।

একই সঙ্গে তিনি জানান মুম্বাই এখন অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। একনাথ শিন্ডের জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ অভিনেতা জানান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কি আবার নির্বাচনে লড়বেন গোবিন্দ? সেই বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই গোবিন্দ শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন।

গোবিন্দ যদি নির্বাচনে লড়েন তাহলে ২০০৪ সালের মতোই তিনি উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে ইফতারে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রমজান চলছে। এসময় অনেকেই ইফতারে একসঙ্গে ভাজাপোড়াসহ আরও অনেক খাবার খেয়ে পেটে গণ্ডগোল বাধিয়ে ফেলেন। এসময় বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা এড়াতে ইফতারের খাবার খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে।

ইফতার করার সময় কোন ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হবে না তা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান ইতি খন্দকার।

তিনি জানান, রোজা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে লেবু, চিনিযুক্ত শরবত কিংবা ট্যাং জাতীয় শরবত পান করা যাবে না। রোজা ভাঙতে হবে খেজুর বা এ জাতীয় খাবার দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে নরমাল পানি পান করতে হবে।

তিনি বলেন, চিনি ছাড়া লাচ্ছি, কম লেবু দিয়ে পুদিনা পাতার জুস, টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা ও সামান্য লবণ দিয়েও স্মুদি করেও পান করা যেতে পারে। এ ধরনের পানীয় গ্যাস কমাতে কার্যকরী।

অ্যাসিডিটি কমাতে ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না :  

ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল ও মোমো খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারের মেন্যুতে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবারও। 

ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

একসঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ একসঙ্গে সব ধরনের খাবার হজম হতে পারে না।

যাদের টক জাতীয় খাবারে অ্যাসিডিটি হয়, তারা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন।

অ্যাসিডিটি কমাতে যা করা যেতে পারে :

ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নেয়া যেতে পারে। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করাও যেতে পারে।

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আদা কুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন।

এ ছাড়া অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

নিউজ ট্যাগ: ইফতার

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মধ্যপ্রদেশে পিকআপ উল্টে নিহত ১৪, আহত ২১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরিতে একটি পিকআপ উল্টে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মারাত্মক এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২১ জন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের একটি দল একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেবরি গ্রামে বাড়ি ফিরছিল। পথে ডিন্ডোরি জেলার বাডজার গ্রামের কাছে পিকআপের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা ও পুলিশ।

এদিকে দুর্ঘটনার পর মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব নিহতদের পরিবারকে চার লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসনকেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজম আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর মকিমপুর গ্রামের মো. সোহাগ, একই গ্রামের হাবিয়া বেগম, শাহিনুর ইসলাম ওরফে নেরন, নাধন ও মত্ত ঢাকুয়াপাড়া গ্রামের মো. আলমগীর। এদিকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মো. খলিল, আলী আকবর ও টুটুল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি সোহাগ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ৪ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে মাজমের লাশ সোহাগের চৌচালা টিনের ঘরের উত্তর-পশ্চিম পাশে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেলেকা বেগম ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ জুন মানিকগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মো. আমিনুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে এই রায় দেন। হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার।

তবে রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা, খলিলুর রহমান খলিল ও মো. শাহজাহান। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।


আরও খবর



কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিল ইউরোপীয় সংসদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য যুগান্তকারী একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। আইনের পক্ষে ৫২৩টি ও বিপক্ষে ৪৬টি ভোট পড়ে।

বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এআই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি এ বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এ আইনটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সরকারের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করা ও একই সাথে উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

আইনে যা যা থাকছে

আইনটি ঝুঁকি অনুযায়ী বিপজ্জনক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা আলাদা সাজাবে যেন সেগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

এই মডেলগুলো তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে। জনসাধারণের কাছে প্রকাশের আগে সে মডেলগুলো আইন মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। জনপরিসরে রিয়েল-টাইম ফেসিয়াল রিকগনিশন নিষিদ্ধ করা কথা রয়েছে। যদিও এ আইন প্রয়োগের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।

বেশিরভাগ এআই সিস্টেম কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেমন স্প্যাম সনাক্তের জন্য ব্যবহৃত মডেল। তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে এআই-এর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে।

কোনো সংস্থা আইন অমান্য করলে তাদের ৭৫ লাখ ইউরো থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

এরপর কী?

এআই আইনটি পৃথকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আইনটি এ বছরের শেষের দিকে কার্যকর হবে।

চ্যাটজিপিটি-র মতো জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো আইনটি কার্যকর হওয়ার ১২ মাস পর চালু হবে। তবে সংস্থাগুলোকে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য নিয়মের ব্যাপারেও একমত হতে হবে।

নতুন পাস হওয়া আইনটি কার্যকরের ছয় মাস পর বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এআই সিস্টেমগুলি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।


আরও খবর