বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সহযোগিতা প্রার্থী এক তরুণীকে সহযোগিতা দেওয়ার নামে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে শেরপুর থানার সাবেক উপপরিদর্শক মিঠুন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আন্দিকুমড়া গ্রামের জনৈক সামিদুল ইসলামের মেয়ে আমেনা খাতুন এর সাথে।
সরেজমিনে তথ্য নিয়ে এবং এলাকার মানুষজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। এমতাবস্থায় ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে শেরপুর থানার সাবেক উপপরিদর্শক মিঠুন সরকার সেখানে গিয়ে তাকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যায়। তখন থেকেই এসআই মিথুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ওই তরুণীর এবং এক পর্যায়ে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। সহযোগিতা করার নামে ওই ভুক্তভোগীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এসআই মিথুন সরকার।
নিজেকে মুসলমান বলে মিথ্যা পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সঙ্গে। ভুক্তভোগী যখন বুঝতে পারে এসআই মিঠুন সরকার মুসলমান নয় তখনই বিপত্তি শুরু হয় তাদের। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ২২ জুলাই পুলিশ সুপার বগুড়া বরাবর অভিযোগ দেয়। এরপর শেরপুর থানা থেকে এসআই মিথুন সরকারকে আদমদীঘি থানায় বদলী করা হয় এবং এসআই মিথুন সরকার ৮ আগস্ট আদমদিঘি থানায় যোগদান করেন। এ প্রসঙ্গে এসআই মিথুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আপোষ মীমাংসা হয়ে গেছে তারপরও আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ আজকের দর্পণ পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ আগস্ট বগুড়া পুলিশ সুপারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে এসআই মিথুন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। তিনি জানান, এসআই মিথুনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।