দিনাজপুর প্রতিনিধি:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন তরুণদের কর্মসংস্থানের নতুন ঠিকানা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবিশন সেন্টার। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে তরুণ তরুণীদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সরকারী চাকুরীর পিছনে দৌড়াতে হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টর থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয় হবে। একই সময়ে আইসিটি সেক্টরে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে দিনাজপুর সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের একথা বলেন।
পলক আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের তরুণরা আর চাকুরীর পিচনে নয় নিজেরাই উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার দিনাজপুর তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা। এই পার্ক বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। গডড়ে উঠবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলা করার উপযোগী প্রজন্ম।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, দেশের তরুণদের উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার, ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। হুইপ দিনাজপুরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানান।
এসময় বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, দিনাজপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বকর সিদ্দিক সরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকতা, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্তিত ছিলেন।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে কলেজ চত্বরে আলোচনা সভা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা বিশিষ্ট দিনাজপুর শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে । এটি চালু হলে দিনাজপুরের ১০০০ হাজার তরুন-তরুণী প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে।