রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
তরমুজ! একটি রসালো ফল। এই ফলটির জন্যই তরমুজের এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলা। অসংখ্য তরমুজ জন্মায় এই উপজেলায়। প্রতি বছর তরমুজ বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করে চাষীরা। এ বছরও তার বেতিক্রম নয়। বুক ভরা আশা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন অনেক চাষী। আশার প্রতিফলনও ঘটেছে। বাম্পার ফলন, দামও বেশি। তাই এই ভরা মৌসুমে ক্ষেতের পরিচর্যা ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় ফলন ফলাতে তেমন কোন বেগ পেতে হয়নি বলে চাষীরা জানিয়েছেন। প্রতিদিন লঞ্চ, ট্রলার, কারগো বোঝাই করে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে যায় রাঙ্গাবালীর তরমুজ। চাহিদা মুল্যে বিক্রি করতে পেরে খুসি এখন চাষী পরিবার।
রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের গঙ্গীপাড়া, যোগীরহাওলা, বড়বাইশদিয়ার গাইয়াপাড়া, টুঙ্গীবাড়িয়া, মৌডুবীর জাহাজমারা, ছোটবাইশদিয়ার কাউখালী ঘুরে দেখা গেছে, এই ভরা মৌসুমে ক্ষেত থেকে পাকা তরমুজ সংগ্রহ ও ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ তরমুজ পেকে যাবে বলেও জানান তারা। তবে স্থল পথে যানবাহন না থাকায়, ক্ষেত থেকে ইঞ্জিন চালিত বা বৈঠা চালিত নৌকায় করে লঞ্চ অথবা মালবাহী কারগোর ঘাটে আনতে হয় তরমুজ। ওইসব বাহনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠায় বিক্রির জন্য। এতে খরচ হয় অনেক বেশি। সব খরচ মিটিয়েও ভালো লাভবান হওয়ার আশা করছেন চাষীরা।
রাঙ্গাবালীর চাষী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এবছর ১০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। তাতে আমার ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত সারে ৪ লাখ টাকার মতো বিক্রি করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে, লাভবান হতে পারবো আশাকরি। একই ভাবে জানালেন কাউখালীর চাষী হেলাল শিকদার। তিনি এবছর ৭ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকা বিক্রি করেছে। বাকি যা আছে তাতে ভাল লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, রাঙ্গাবালীতে এ বছর ৭৬৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে, অন্তত তিনশত কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে রাঙ্গাবালী থেকে।