আজঃ বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩
শিরোনাম

‘ট্রেনিং সেন্টার খুলে ইমো হ্যাকিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | ১০২০জন দেখেছেন
দর্পণ নিউজ ডেস্ক


Image

প্রবাসীদের টার্গেট করতেন ইমো হ্যাক করতেন তারা। পরে সেই নম্বরের এপাশ থেকে প্রবাসে থাকা ব্যক্তিকে বলা হতো, আমি নম্বর পাঠালে টাকা দিও। প্রবাসে থাকা ব্যক্তি এমন খুদেবার্তা পেয়ে সরল মনে বিশ্বাসও করতেন এবং প্রতি মাসের জমানো টাকা পাঠাতেন। কিন্তু দেখা যেত পরে তিনি তার স্ত্রীকে অথবা স্বজনকে ফোন করলে তারা জানাতেন কোনো টাকা পাননি। 

এভাবে গত কয়েক মাস এক প্রবাসী তার স্বজনদের কাছে টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হচ্ছিলেন। সেই ব্যক্তি ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে তদন্ত শুরু হয়। শেষে সেই ব্যক্তির প্রিয়জনের ইমো নম্বর হ্যাকড করে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, চক্রটি বিভিন্ন ব্যক্তির ইমো হ্যাকড করতে প্রতারক চক্র সদস্যদের টাকার বিনিময়ে প্রশিক্ষণ দিতো। চক্রটির ছয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। 

গ্রেফতাররা হলেন, আব্দুল মমিন (১৮), রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (১৮), শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ (১৯), সাব্বির (১৮), চান মোল্লা (৩৫) ও আরিফুল ইসলাম (২৬)। এ সময় হ্যাকিং করার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।

রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরের রাজধানীর বিএনপি মিডিয়া সেন্টারে এসব বিষয় জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

হারুন জানান, চক্রটির সদস্যরা প্রবাসীদের টার্গেট করে ইমো হ্যাকের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ টাক হাতিয়ে নিয়েছে তারা।

তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা স্বল্প শিক্ষিত। তাদের অনেকে ফাইভ ও সিক্স পর্যন্ত পড়েছে। তারা অন্যের ইমো নম্বর হ্যাকড করতো। ইমো কীভাবে হ্যাক করা যায় সেই প্রশিক্ষণ দিতো অন্য চক্রের সদস্যরা। তারা এজন্য ট্রেনিং সেন্টার খুলেছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ব্যক্তিদের টাকার বিনিময়ে তারা এই ট্রেনিং দিতো। কীভাবে ইমো হ্যাক করতে হয়, কীভাবে কথা বলতে হয় ও কীভাবে টাকা চাইলে তা সহজে পাওয়া যাবে এনিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হতো। তাদের টার্গেট মূলত প্রবাসী। প্রবাসীদের স্বজনের ইমো নম্বর হ্যাক করে তারা টাকা চাইতো। গ্রেফতারদের যারা প্রশিক্ষণ দিতেন তাদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ডিবি জানিয়েছে, গত ৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নুরুল ইসলামের বড় ভাই প্রবাসী কাসেমের ইমো আইডিতে একটি ম্যাসেজ আসে‌।‌ তাতে বলা হয়, আমার টাকার প্রয়োজন, আমি বিকাশ নম্বর পাঠাইলে টাকা দিও। পরে দুপুর ১২টার দিকে নুরুল ইসলামের ইমো আইডিতে আরও একটি ম্যাসেজ আসে। তাতে বলা হয়, আজকে বিকাশের রেট কত ২৫ হাজার টাকা পাঠানো যাবে। নুরুল ইসলাম সেই ম্যাসেজের ওপর ভিত্তি করে হ্যাকারদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৬৫ হাজার টাকা পাঠান। এরপর ইমো হ্যাক হয়েছে বুঝতে পেরে বিষয়টি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগকে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।


আরও খবর