আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ট্রেন দুর্ঘটনায় গ্রিসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গ্রিসে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।ঘটনার তদন্তে কাজ করা কর্মকর্তা এলেনি জাগেলিডো বলেছেন, পরিচয় শনাক্তে ৫৭টি মরদেহ থেকে ডিএনএন নমুনা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার জন্য সরকারের অবহেলাকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) একদিনের ধর্মঘট পালন করেছেন রেলকর্মীরা। একই অভিযোগ তুলে এথেন্স ও থেসালোনিকিতে বিক্ষোভ করেছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের বগিতে এখনও উদ্ধার অভিযানে চালাচ্ছে কর্মীরা। তারা পোড়া ও বাঁকানো বগির ভেতরে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ করছেন।

এদিকে, দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন গ্রিসের অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। স্থানীয় সময় বুধবার (১ মার্চ) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে গ্রিসের লারিসার পাশে যাত্রী ও পণ্যবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।


আরও খবর



মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (৭ মে)। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ মৌসুমের সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট জেলার একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সংযুক্ত থাকবেন।

এছাড়াও ধান সরবরাহকারী কৃষক ও দুজন মিল মালিক উপস্থিত থাকবেন। অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (অনলাইন) সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে সংযুক্ত হওয়ার জন্য খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে ট্রাক-ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) মোংলা-খুলনা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার চেয়ারম্যানের মোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৌমেন দাস এবং কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, মোংলা-খুলনা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার চেয়ারম্যানের মোড় নামক স্থানে একটি দ্রুতগতির মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানের যাত্রী মো. সাইদ মোড়ল (৪৫), মো. আজাদ (৩৫) ও ভ্যানচালক মো. মনি (৪৫) ঘটনাস্থলে মারা যান। নিহতদের বাড়ী রামপাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

ওসি সৌমেন দাস জানান, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ, কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশ ও  ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করেছে। আহতদের রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘাতক ট্রাকটি রামপাল থানা পুলিশ আটক করেছে বলেও জানান ওসি সৌমেন দাস।


আরও খবর



৫১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারঘোষিত ছুটি শুরু হওয়ার একদিন আগেও দেশের ৫১ শতাংশের বেশি মিল-কারখানা এখনো কর্মচারীদের মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

তাদের তথ্যে দেখা গেছে, ৯ হাজার ৪৬৯ কারখানার মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৯টি সোমবার পর্যন্ত মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের তথ্যানুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা চার হাজার ৬২০টি মিল ও কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। কারখানা ও মিলগুলো আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নরসিংদীর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত।

অন্যদিকে, ঈদের আগে বোনাস পরিশোধ করেছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানা, যেখানে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক হাজার ৭৬৬টি মিল-কারখানা এখনো বোনাস দেয়নি।

এক বিবৃতিতে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১৬টি মিল ও কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করবে না এবং ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা তিন হাজার ৩৮১টি মিল ও কারখানা ইতোমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে। গতকাল পর্যন্ত ৬৩১টি মিল ও কারখানা বন্ধ ছিল এবং ৭১টি আংশিকভাবে খোলা ছিল।

গত ২৭ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ঈদের ছুটি শুরুর আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রম মন্ত্রণালয়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তখন কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা না বললেও ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর আগেই অর্থ পরিশোধ করার কথা বলেন তিনি।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদযাত্রা শুরু হলেও পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। লঞ্চঘাটেও ভিড় নেই যাত্রীদের। ঘাটে আসার পরপরই যাত্রী ও যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠে নদী পারাপার হচ্ছে।

তবে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে এ ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের এ পথে ফেরি পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হতেন। ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। পদ্মা সেতু চালুর পর কমেছে ভোগান্তি; স্বস্তি ফিরেছে ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীদের।

এখন বেশিরভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বেশ কিছু পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এ নৌপথে চলাচল করছে। সাধারণ সময়ে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদ ঘিরে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনটি ঘাট প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি ১৫টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিনদিন আগে ও পরে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার।

তিনি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছেন। কারও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।


আরও খবর