দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানাত হারাচচ্ছেন সিলেট-৬ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। দলটির মহাসচিব আলোচিত তৈমূর আলম খন্দকারও জামানাত হারাচ্ছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঘোষিত চূড়ান্ত বেসরকারি ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, এই আসনে জয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট। আর শমসের মবিন চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৭০২টি।
বিধান অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসাবে জামানত বাঁচাতে তার প্রয়োজন ছিল অন্তত ১৪ হাজার ৫৮৭ ভোটের।
২০১৫ সালে পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বীর বিক্রম মেজর (অব.) শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বিকল্পধারার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন।
এদিকে আলোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভরাডুবি হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট।
নির্বাচনের শুরু থেকে নিজেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দাবি করলেও বর্তমানে জামানত হারালেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা। এমন লজ্জাকর হারের পর তৈমূর আলম নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন । তবে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি ।
এই আসনে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী । তিনি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলী প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন।