আসন্ন রমজান মাসে কম দামে মাছ, গরু, খাসি,
মুরগির মাংস, দুধ এবং ডিম সুলভ মূল্যে সরবরাহ করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
রোববার রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের কষ্ট লাঘবে
বর্তমান সরকার সব সময় সচেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের
মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে
নির্দেশনা দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি গাড়িতে থাকবে
২০০ লিটার দুধ, ডিম ৪ হাজার পিস, গরুর মাংস ১০০ কেজি, খাসির মাংস ১০ কেজি। এছাড়া রাজধানীর
৮টি জায়গায় মাছ বিক্রি করা হবে। প্রতি গাড়িতে ৩০০ কেজি করে থাকবে। এ কর্মসূচির আওতায়
তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি
৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০
টাকা) দরে বিক্রয় করা হবে।
এতে জানানো হয়, ১ম রমজান থেকে শুরু হয়ে
২৮ রমজান পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত
হবে। এছাড়া স্থায়ী বাজারসহ আরো ৫টি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু
থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো :
(১) নতুনবাজার (বাড্ডা), (২) কড়াইল বস্তি (বনানী), (৩) খামারবাড়ী (ফার্মগেট), (৪) আজিমপুর
মাতৃসদন (আজিমপুর), (৫) গাবতলী, (৬) দিয়াবাড়ী (উত্তরা), (৭) জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর),
(৮) ষাটফুট রোড (মিরপুর), (৯) খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), (১০) সচিবালয়ের পাশে
(আব্দুল গনি রোড), (১১) সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), (১২) আরামবাগ (মতিঝিল), (১৩) রামপুরা,
(১৪) কালসী (মিরপুর), (১৫) যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), (১৬) বসিলা (মোহাম্মদপুর),
(১৭) হাজারীবাগ (সেকশন), (১৮) লুকাস (নাখালপাড়া), (১৯) আরামবাগ (মতিঝিল), (২০) কামরাঙ্গীর
চর, (২১) মিরপুর ১০, (২২) কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), (২৩) তেজগাঁও, (২৪) পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার)
(২৫) কাকরাইল।
স্থায়ী বাজার : (২৬) মিরপুর শাহ আলি বাজার,
(২৭) মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট (২৮) নতুন বাজার (১০০ ফুট), (২৯) কমলাপুর, (৩০) কাজি
আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।
এতে জানানো হয়, প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের
জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল নয়টার
মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিপন্ন শুরু
হবে।
কার্যক্রমটি তদারকি এবং মনিটরিং করার জন্য
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের
কমিটি সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি
উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি
ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা
ও প্রতিনিধিরা মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চতুর্থবারের
মতো রমজান মাসে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণনের এ কার্যক্রম গ্রহণ
করছে। ২০২৩ সালে রমজান উপলক্ষ্যে বাস্তবায়িত এ কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা
লাভ করেছে।
এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ
ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং
দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলো সার্বিক সহযোগিতা করছে।