শীতে সাধারণত
ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। এসব রোগের মধ্যে টনসিল অন্যতম। টনসিল
হলে ঢোক গিলতে ব্যথা, কথা বলতে কষ্ট, ঘন ঘন কাশি এ সবের সঙ্গে টনসিলের সংক্রমণ থেকে
কখনও কখনও জ্বরও আসে। প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া
উপায়ে নিজের যত্ন নিলে টনসিল থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রোগের লক্ষণ:
তীব্র গলাব্যথা,
মাথাব্যথা, উচ্চ তাপমাত্রা, খাবার খেতে কষ্ট ও মুখ হাঁ করতে অসুবিধা হয়, কানে ব্যথা
হতে পারে, মুখ দিয়ে লালা বের হয়, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে ও কণ্ঠস্বর ভারী
হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও স্বরভঙ্গ, গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি, ঢোঁক গিলতে কষ্ট হয়, গলা
ফুলে যাওয়া। কারণ: পুষ্টির অভাব, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা শীতল পানি বেশি পান করা টনসিলের
জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। স্যাঁতসেঁতে স্থানে বাস করলে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে শীতের
প্রকোপ বেশি হলে, রোদ থেকে এসে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে, গরমে ঘাম বসে গেলে টনসিলের
প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।
শীতে টনসিলের
ব্যথা দূর করার উপায়
লবন পানি:
উষ্ণ পানিতে লবন
মিশিয়ে ভেপার নিলে এই সমস্যা অনেকটা দূর হয়। কিংবা গার্গেলও করতে পারেন। লবন মেশানো
গরম পনি দিয়ে গার্গেল করলে জীবাণু দূর হবে। ফলে গলাব্যথাও অনেকটা কমবে।
হলুদ মেশানো দুধ:
টনসিলের ব্যথা
কমাতে বেশ কার্যকরী একটি পানীয় হল হলুদ মিশ্রিত দুধ। গলাব্যথা হলে শক্ত কোনও খাবার
একেবারেই খাওয়া যায় না। এই সময় গরম দুধ খেলে গলায় আরাম পাওয়া যাবে। তবে শুধু দুধ না
খেয়ে তাতে মিশিয়ে নিতে পারেন হলুদ। এর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যে কোনও জীবাণুর
সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
লেবু এবং মধু:
ওজন কমাতে এই
দুটি উপকরণের জুড়ি মেলা ভার। তবে মেদ ঝরানো ছাড়াও লেবু এবং মধু টনসিলের ব্যথা কমাতেও
সমান উপকারী। এক গ্লাস উষ্ণ জলে গোটা একটি পাতিলেবুর রস, এক চা চামচ মধু ও অল্প লবন
মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিনে তিন-চার বার খেতে থাকুন। গলাব্যথা বা টনসিলের কষ্ট কমবে
অনেকটাই।
গ্রিন টি ও মধু:
এক কাপ জলে আধ
চা-চামচ গ্রিন টি ও এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে তিন-চার এই
চা খান। গ্রিন টি-র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জীবাণুর
সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে। মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যে কোনও প্রদাহ ও সংক্রমণে
আরাম দেয়।