ভূমধ্যসাগর
পেরিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়া উপকূলের কাছে নৌকাডুবে অন্তত একজন নিহত ও আরও ১০
জন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ রোববার তিউনিসিয়ার বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা উপকূলীয় এলাকায়
অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাডুবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ প্রায়ই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠছে তিউনিসিয়া। দেশটি নজিরবিহীন অভিবাসন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম বঙ্গের ৭০০ বুথে আবার নির্বাচন আজ
রয়টার্সের
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সর্বশেষ এই নৌকাডুবির ঘটনাসহ চলতি বছরের প্রথমার্ধে উত্তর আফ্রিকার
দেশটির উপকূলে অভিবাসীদের প্রাণহানি ও নিখোঁজের সংখ্যা ৬০০ জনে পৌঁছেছে। যা আগের বছরের
তুলনায় অনেক বেশি।
তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স শহরের বিচারপতি ফৌজি মাসমুদি রয়টার্সকে বলেছেন, তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড জারজিস শহরের উপকূল থেকে যাত্রা করা নৌকার ১১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: চীনের মধ্যাঞ্চলে ভূমিধস, নিখোঁজ ৯
দেশটির স্থানীয়
মানবাধিকার সংস্থা তিউনিসিয়া ফোরাম ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস বলেছে, চলতি বছরে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা ৬০৮ জনে পৌঁছেছে। কোস্টগার্ডের
সদস্যরা তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষের নৌকায় ওঠার চেষ্টা নস্যাৎ
করে দিয়েছেন।
উপকূল থেকে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর ইউরোপগামী যাত্রা বন্ধ করার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর চাপে রয়েছে তিউনিসিয়া। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ বলেছেন, তার দেশ সীমান্তরক্ষী হিসাবে কাজ করবে না। খবর: রয়টার্স।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ৪০ বছরে রেকর্ড বৃষ্টি, নিহত ১২