রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ডা. লতা সমাদ্দার শনিবার অভিযোগ করেছেন, ওই দিন সকালে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় পুলিশের পোশাক পরা একজন ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে কটূক্তি করেন। আরও অভিযোগ করেন, সেই সময় তিনি প্রতিবাদ জানালে তার গায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশের পোশাক করা ওই ব্যক্তি।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে ওই ঘটনা ঘটলেও তিনি রবিবার (৩ এপ্রিল) শেরে বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আলোড়ন তৈরি করেছে। অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের টিপ পরা ছবি পোস্ট করতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে শেরে-বাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, লতা সমাদ্দার গাড়ির লাইসেন্স নম্বরের কয়েকটি ডিজিট বলতে পেরেছিলেন, কিন্তু তা থেকে গাড়িটি শনাক্ত করা যায়নি। আমরা এখন বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে যাচাই-বাছাই করছি। তাকে শনাক্ত করতে পারলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টা নজরদারি করছেন। তদন্তের আলোকে অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’
তিনি জানাচ্ছেন, সেদিন ওই এলাকায় যাদের ডিউটি ছিল, তাদের সবাইকে যাচাই-বাছাই করে দেখা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যক্তির সেখানে কোন ডিউটি ছিল না। তিনি হয়তো ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাকে শনাক্ত করা কোন কঠিন বিষয় হবে না, আমরা খুঁজে বের করবো।
কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ফৌজদারি এবং বিভাগীয় দুই ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়ে থাকে।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ফৌজদারি ব্যবস্থা হলে আইনের দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেটা বাদী নিজে করতে পারে বা পুলিশও করতে পারে। অপকর্মের জন্য অনেক পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার নজির রয়েছে। অন্যদিকে বিভাগীয় ব্যবস্থা ক্লোজ করা, তদন্ত কার্যক্রম করা, সাময়িক বা স্থায়ী বরখাস্ত হতে পারে। কোন কোন ঘটনায় একই সঙ্গে উভয় ধরনের ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।