টিপ পরায় ঢাকার
তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে
লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রতিবাদে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
উত্তাল। এমনকি সংসদে পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও সাম্প্রদায়িকতা
বলে মন্তব্য করছেন বিশিষ্টজন।
এরই ধারাবাহিকতায়
প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও। রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক
পেজে টিপ পরা বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে এর নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। ছবিগুলোর
ক্যাপশনে মন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি মানুষ, আমি মুসলমান, আমি বাঙালি, আমি নারী’। পোস্টটিতে ইতোমধ্যে লাইক পড়েছে
৪৪ হাজারের বেশি। মন্তব্য করেছেন অন্তত ১০০ জন। ‘এভাবেই হোক প্রতিবাদ’, ‘আপনি আমাদের গর্ব’, ‘এটাই আমাদের প্রতিবাদ’, ‘সাহসী নারী’- এমন মন্তব্যে ভরে গেছে তার কমেন্টবক্স।
এর আগে রোববার
জাতীয় সংসদে এর প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জনপ্রিয়
অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে
যে, একজন নারী টিপ পরতে পারবেন না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি তিনি
বিবাহিত না বিধবা, সেটা বিষয় নয়। একটি মেয়ে টিপ পরেছেন। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে
নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার ইভটিজ করেছেন। প্রতিবাদ করায় তার সঙ্গে তুই-তোকারিও
করা হয়েছে। অসম্মান করা হয়েছে।
এছাড়া সাংবাদিক,
নারী নেত্রী, সুশীল সমাজের অনেকেই নিজেদের টিপ পরা ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে পোস্ট করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কপালে টিপ পরায় ড. লতা সমাদ্দারকে লাঞ্ছিত করেন এক পুলিশ
সদস্য। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষিকার ওপর মোটরসাইকেল
তুলে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। ইতোমধ্যে ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম
নাজমুল তারেক। তিনি কনস্টেবল হিসেবে পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাকে সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়েছে।