আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম
মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ

তিন হাজার ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পে সুফল মিলবে কি?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট থেকে রামগতি উপজেলা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মেঘনা নদীর উপকূল। খরস্রোতা হওয়ায় বর্ষা কিংবা শুষ্ক- দুই মৌসুমেই নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো। গত ৩০ বছরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

উত্তাল মেঘনার এ করালগ্রাস থেকে দুই উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপণ্ডিতেরহাট এলাকা রক্ষায় সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। গত বছরের শুরুর দিকে নির্মাণকাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতি ও কাজের ধীরগতির কারণে প্রতিনিয়তই ভাঙনের কবলে পড়ছে উপকূলবাসী। এবারের বর্ষায় ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে।

মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সব প্যাকেজের কাজ একযোগে শুরু না হওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। কমলনগরের পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের বাঁধের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন জোয়ারের পানি আসা-যাওয়া করছে। এতে বাঁধ টেকসই ও সুফল মেলা নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্তাব্যক্তিরাও। তবে তাদের যুক্তি হলো, বর্ষার আগে বালি সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো করা যায়নি। এখন নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, মেঘনার ৩৩ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পাস হয়। এটি বাস্তবায়নে পুরো প্রকল্পকে ৯৯টি প্যাকেজে ভাগ করে একই বছরের আগস্টে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত পাউবোর পক্ষ থেকে ৪৩টি লটের বা সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমলনগরে আট ও রামগতিতে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। কমলনগর অংশে ২৬টি ও রামগতি অংশে ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে। নতুন করে আরো ৩৪টি লটের ওয়ার্ক অর্ডারের কাজ অনুমোদনের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্বোধনের পর ১৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও তিন মাসের মাথায় বালি সংকটসহ নানা অজুহাতে তীররক্ষা বাঁধ বন্ধ রাখে। সম্প্রতি চাপের মুখে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করলেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই নির্মাণকাজে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ছে জোয়ারের পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের নির্মাণাধীন বাঁধের ওপর দিয়ে কয়েকদিন জোয়ারের পানি গড়াচ্ছে। এতে বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। নির্মাণাধীন বাঁধের ওই অংশের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে উপকূলের বাসিন্দারা জানায়, ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আগেও রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ভাঙন ঠেকাতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সেনাবাহিনী বাঁধ নির্মাণ করায় রামগতি বাজার ও আলেকজান্ডারের সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা ভাঙন থেকে রেহাই পায়। তবে একই প্রকল্পে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মিত এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের পর আটবার ধসে পড়েছে।

সরেজমিন কমলনগর ও রামগতি উপজেলার কয়েকটি অরক্ষিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্ষায় তীব্র স্রোতে নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। বিলীন হচ্ছে গাছপালা, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছে উপকূলের বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি লটগুলোর বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু না হলে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়বে উপকূলবাসী। এতে ভেস্তে যেতে পারে সরকারের ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প।

কমলনগরের উপকূলীয় সাংবাদিক সাজ্জাদুর রহমান জানান, রক্ষাবাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেও যথাসময়ে একযোগে কাজ শুরু করা হয়নি। উদ্বোধনের পর দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর জিও ব্যাগ ডাম্পিং হচ্ছে। এখনো অনেক স্থানেই জিও ব্যাগ ডাম্পিংই করা হয়নি। যথাসময়ে রামগতি-কমলনগর তীররক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন না হলে এখানকার মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। বর্ষা মৌসুম এলেই তীররক্ষা বাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। অরক্ষিত হয়ে পড়ে উপকূল। মেঘনাপাড়ের মানুষের সুরক্ষায় দ্রুত নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা জরুরি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীকে দিয়ে নদীর তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই কাজ শুরু করা হয়। এখানে শুষ্ক মৌসুমেও নদীভাঙন অব্যাহত ছিল। বর্ষার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করায় বর্ষায় কমলনগর-রামগতির বিস্তীর্ণ জনপদ এখন নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কমলনগরের চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সফিক মাঝি বলেন, পুরান সাহেবের হাট থেকে শুরু করে হাজিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ ১০ বছর ধরে ভাঙছে। এবারের বর্ষায়ও ভাঙছে, কিন্তু রক্ষাবাঁধ নির্মাণ বা জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। তারা এসে এসে শুধু দেখেই যায়।

নদীপাড়ের তেল ব্যবসায়ী রাশেদ বলেন, হাজিগঞ্জ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার নদী ভেঙেছে। এতে ১৫ বার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরাতে হয়েছে। এখন আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হচ্ছে। অথচ দুই পাশের ইউনিয়নে দুই লটে দুজন ঠিকাদারের লোকজন জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছেন। কিন্তু ভাঙন এলাকায় কারো চোখ পড়ে না।

এদিকে কমলনগর উপজেলায় চারটি প্যাকেজের কাজ করছেন মেসার্স সালেহ আহম্মদ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, সাড়ে ১২ মিটার বাঁধ নির্মাণকাজ পেয়েছেন তারা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও মাটি ভরাট করে বাঁধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ব্লক নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। বর্ষায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথাসময়ের মধ্যে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩০০ মিটার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পায় মেসার্স এম আর কনস্ট্রাকশন ও কে কে এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের চরলরেঞ্জ গ্রামে নদীপাড়ের জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছে তারা। জানতে চাইলে যৌথ প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদার কবির হোসেন জানান, কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেরিতে পাওয়ায় কাজও দেরিতে শুরু করেছেন তিনি। আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করার কথা রয়েছে তার। বর্ষার শেষে মাটি ফেলে ও ব্লক স্থাপন করে বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে কাজে কোনো গাফিলতি হচ্ছে না। 

লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, রামগতি-কমলনগর মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় এখন পর্যন্ত ৪৩টি লটের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বর্ষাকালীন নদী উত্তাল থাকায় প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আগামী অর্থবছরের মধ্যে ব্লক নির্মাণকাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হবে। যেসব স্থানে কার্যাদেশ দেয়া সম্ভব হয়নি তবে বর্ষায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে, সেসব স্থান আপৎকালীন জরুরি মেরামতের আওতায় এনে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: লক্ষ্মীপুর

আরও খবর



রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু, ৩ জেলায় সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়।

এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের উদয়পুর ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ছয় শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কাজ শেষ হওয়ার কারণে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন তারা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলেন সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়জিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উঁচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে খাগড়াছড়ির দিকে ফেরার পথে একটি ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গাড়িটিতে মোট ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। যার মধ্যে ৬ শ্রমিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজ কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।


আরও খবর



বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিবসহ কয়েকজন।

সূত্র বলছে, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে যান সংবাদকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও বক্তব্যের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার নক দেবার পর মাসুদ রানা দরজা খুললে ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোশাররফ সহ কয়েকজনকে দেখতে পান সংবাদকর্মীরা।

এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখা যায় এবং এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক সেখানে হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সাথে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে সন্দেজনক মনে করে পুলিশকে জানালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় দুদকও তদন্ত শুরু করেছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুনামগঞ্জের হাওড়ে বাধ নির্মাণকাজে দুর্নীতির দায়ে বার বার প্রত্যাহার হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা ও এসডি মোশাররফের সহযোগিতায় ডিপিএম ও আরএফকিউ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাত করা হয়েছে। রাফি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার এবং ঠিকাদার কনকের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এসব তদন্তে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, দুই কর্মকর্তাকে আটক করাসহ টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত টাকা দুদকের কর্মকর্তারা গণনা করছেন। টাকার উৎস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে খাবার ও পোশাকের প্রতি সবারই বিশেষ নজর থাকে। এ সময় শরীর আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। খাদ্য তালিকায় দই রাখলে নিজেকে কিছুটা শিথিল লাগবে। এটি মুড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এ সময় খুব ক্লান্ত লাগলে একটু দই খেয়ে নিন।

এই গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস।

শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরও উপকারী গুণ। দইয়ের কিছু উপকারী গুণ এবং গরমে দই খাওয়া কেন ভালো- এ বিষয়ে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

দইয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

দুধ খেতে ভালো না লাগলে দই খেতে পারেন। এতে দুধের মতোই পুষ্টি থাকে। হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখে দই। এটি হাড়ে অসুখ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে। গরমের সময় ডিসেনটির সমস্যা অনেকের হয়। এক কাপ দই খাওয়া ডিসেনটির সমস্যা উপশমে অনেকটাই কাজ করবে।


আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ এর নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ- উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরপর তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের নিহত সদস‌্য ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃকবাড়ি ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার টিটো, ডা. জাকির সুমন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর