আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

টিকটকে অভিনয় করতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল্লাহ আল মামুন

Image

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় টিকটকে ফাঁসির অভিনয় করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত গলায় ফাঁস লেগে সানজিদা আক্তার (১১) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সানজিদা আক্তার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় আবিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিকেলে পরিবারের সবার অজান্তে সানজিদা আলমারির ওপর উঠে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেওয়ার টিকটক ভিডিও ধারণ করতে যায়। এ সময় অসাবধানতাবশত পা ফসকে আলমারি থেকে পড়ে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লেগে যায় তার।

তিনি বলেন, পাশের রুমে তার মা ঘুমিয়ে ছিলেন। খাবার পানি নিতে সানজিদার রুমে গেলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তার মা। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সানজিদার মা কোহিনূর বেগম বলেন, আমার মেয়ে আমাকে একটা পান খাওয়ায় এবং নিজেও একটা খায়। আমি অন্য রুমে পান খাওয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে আসায় শুয়ে পড়ি। পাশের রুমে সানজিদা ছিল। টিকটিক বানাতে গিয়ে অসাবধানতার কারণে গলায় ফাঁস লেগে যায়। পানি আনতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলছে।

তিনি বলেন, সে প্রায় টিকটিক বানাতো। গতকাল বাগানে টিকটক বানাতে যাওয়ায় আমি বকাবকি করেছিলাম। সে কারো কথা শুনতো না। আজ এই টিকটক আমার মেয়ের প্রাণ কেড়ে নিল।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


আরও খবর



বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন, কোন গ্রাহকের কত বাড়ল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারের নির্বাহী আদেশে এক বছরের মাথায় গ্রাহক পর্যায়ে আবারও বাড়ল বিদ্যুতের দাম। গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর অনুসারে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে বেড়েছে ৭০ পয়সা।

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের বিল থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে। নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

দাম বৃদ্ধির ফলে ইউনিটপ্রতি খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৯৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে ৫ শতাংশ। এতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪ পয়সায়।

বাসাবাড়িতে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে ইউনিটপ্রতি ২৮ পয়সা। আর সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৪৩ পয়সা। নতুন দর অনুযায়ী সেচে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ২৫ পয়সা করা হয়েছে।

নিম্ন চাপে (২৩০/৪০০ ভোল্ট) বাণিজ্যিক ও অফিসে গড় দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৩ টাকা ১ পয়সা করা হয়েছে। মধ্যম চাপের (১১ কিলো ভোল্ট) ক্ষেত্রে এটি করা হয়েছে গড়ে ১১ টাকা ৬৩ পয়সা। উচ্চ চাপে (৩৩ কিলো ভোল্ট) শিল্পের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট গড়ে ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। আর অতি উচ্চ চাপে (১৩২ ও ২৩০ কিলো ভোল্ট) ৯ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৬৬ পয়সা করা হয়েছে। ভারী শিল্পকারখানা মূলত এ শ্রেণির গ্রাহক।

এ ছাড়া হাসপাতাল, শিক্ষা, ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ৯৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৫৫ পয়সা করা হয়েছে।

আগে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করত এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করে বিইআরসির পাশাপাশি দাম বাড়ানোর ক্ষমতা হাতে নেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে নির্বাহী আদেশে দাম বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির চাপ সামলাতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ নিয়ে গত দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৪ বার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। সবশেষ গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন দফায় প্রতি মাসে গড়ে ৫ শতাংশ করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে গড়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয় পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম।


আরও খবর



ফেনীতে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়লো ৯ চাঁদাবাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীতে চাঁদাবাজি করার সময় পৃথক অভিযানে র‍্যাবের হাতে ৯ চাঁদাবাজ ধরা পড়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জেলার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে তারা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছিল।

চাঁদাবাজি করার সময় র‍্যাবের হাতে আটক ব্যক্তিরা হলেন - ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৪১), বাঁশপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. ছলিম (৩৪), আবুল কালামের ছেলে মো. আরাফাত, মাখু মিয়ার ছেলে আলম (৪৫), দক্ষিণ মটুয়া গ্রামের মো. মিয়ার ছেলে মো. আরাফাত (২৩), পশ্চিম ছাগলনাইয়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আজিম উদ্দিন (২৬), বাঁশপাড়া গ্রামের জাফর আহমেদের ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪২), ইব্রাহিম দিপ্তির ছেলে মো. আবুল হাশেম খোকন (৪২), আধাঁর মানিক গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে মো. শফিক (৪৫) ও আবুল হাশেমের ছেলে মো. আনোয়ার (৪২)।

র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে কতিপয় ব্যক্তি ফেনীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে। এরপর র‍্যাবের একটি দল শুক্রবার বিকেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সময় ৯জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করে বিভিন্ন গাড়ি থেকে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ২২ হাজার ৬০০ টাকা এবং চাঁদা আদায়ের বিপুল পরিমাণ ভুয়া রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার বিভিন্ন পরিবহন চালকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করে আসছিল।

ফেনীস্থ র‍্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



বাড্ডায় বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন বেরাইদে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাড্ডা থানা পুলিশ বেরাইদের জেনে পাড়ার মুবাক্কারের বাসার নিচতলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ছেলে ও শায়িত অবস্থায় বৃদ্ধ বাবার মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, আর বাবার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

গুলশান বিভাগের বাড্ডার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, রাতে মোবাইলে কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের মুদি দোকানদার হারুন বাসায় এসে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তবে কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।

ভেতরে ছেলে রাকিব হোসেনকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান, বিছানায় বাবা গিয়াসউদ্দিনের মৃত অবস্থায় দেখতে পান তারা। নিহত রাকিব হোসেন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। আর বাবা গিয়াসউদ্দিন পেশায় স্কুল শিক্ষক।

উপস্থিত জনতা দ্রুত বিষয়টি থানায় জানালে বাড্ডা থানার এসআই সাহাবুদ্দিন মুন্সী দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে এসআই সাহাবুদ্দিন লাশের সুরতহাল প্রস্তুত ও ময়নাতদন্তের যথাযথ কার্যক্রম শুরু করেন।

রাজেন কুমার সাহা বলেন, তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে যে, ছেলে রাকিব হোসেন গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সেটি দেখার পর বাবা গিয়াস উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। বিষয়টি তদন্তাধীন, ময়নাতদন্তে রিপোর্ট মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। শুক্রবার (২২ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। এতে ১১টি দেশ সমর্থন দেয়। একটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। আর ভেটো দেয় চীন ও রাশিয়া।

ভেটো দেওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভণ্ডামি। যেখানে গাজায় প্রথমদিকে ইসরায়েলকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। সেখানে তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যখন গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখেছি।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক কারণে রাশিয়া-চীন তাদের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কারণ তারা যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় চায়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা-থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, রাশিয়া ও চীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি কারণ তারা চায় যুক্তরাষ্ট্র যে কোনোভাবে হারুক। আরেকবার রাশিয়া প্রগতির সামনে রাজনীতিকে নিয়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, তারা গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চায়। যেটির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে গাজায় জীবন বাঁচানো বিপুল ত্রাণ পৌঁছানো হবে।

এই প্রস্তাবের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সবগুলো প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবগুলোতেও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় মার্কিনিরা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে এতে ভেটো দিয়েছিল। ওই সময় তাদের বক্তব্য ছিল, যদি গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয় তাহলে এতে হামাস উপকৃত হবে এবং জিম্মিরা মুক্তি পাবে না।


আরও খবর



রাবির ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ ।

বুধবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার থেকে ফলাফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বি ইউনিটের বাণিজ্য শাখায় আবেদনকারীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৬২৫ জন। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ৩৬১ জন। পাস করেছে সাত হাজার ৭৭ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছে আট হাজার ৩৫৯ জন। ত্রুটিযুক্ত ওএমআর ১৮ জনের। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীর নম্বর ৮৬.৫০।

বি ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ১১ হাজার ৩৯২ জন আবেদনকারীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ৫২০ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে এক হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছে আট হাজার ১৮৯ জন। ত্রুটিযুক্ত ওএমআর ২৮ জনের। পাসের হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীর নম্বর ৭২।

এই ইউনিটের মানবিক শাখায় ৭ হাজার ৫২৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন সাত হাজার ১৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে এক হাজার ২৫৭ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছে পাঁচ হাজার ৭৪৩ জন। ত্রুটিযুক্ত ওএমআর ১৭ জনের। পাসের হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীর নম্বর।

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ তিন শিফটে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৫১৫টি সিটের বিপরীতে তিন শিফটে ৩৪ হাজার ৫৪১জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছিলেন। আসনপ্রতি লড়াই হয়েছে ৬৭ জনের। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (admission.ru.ac.bd) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।


আরও খবর