টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অ্যাপ নিষিদ্ধ হলে বাচ্চাদের কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এর সুবিধা নেবে ফেসবুক।
সোমবার (১১ মার্চ) সিএনবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ফেসবুকের আকার বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাক তা আমি চাই না। আপনারা যদি টিকটক নিষিদ্ধ করেন, তবে ফেসবুক এবং অন্যরা বিশেষ করে ফেসবুকের অনেক ফায়দা হবে। আর আমি মনে করি, ফেসবুক খুব অসৎ।’
চীনা মালিককানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানা ছেড়ে দেয়ার জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দিতে একটি বিল এখন মার্কিন কংগ্রেস খতিয়ে দেখছে। বুধবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা ফাস্ট ট্র্যাক বিধির আওতায় ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন। এটি পাসে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যকে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে হবে।
এদিকে কংগ্রেসকে টিকটক কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এত বলা হয়েছে- টিকটক কোম্পানির মালিক চীন সরকার নয় এবং তারা এটি নিয়ন্ত্রণও করে না। কোম্পানিটি বিক্রি হয়ে গেলে নতুন ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রের ডেটাগুলো সংরক্ষণের জন্য টিকটকের নেয়া উদ্যোগগুলো আর চালাবে না। এ কাজটি করতে টিকটক ১৫০ কোটি ডলার খরচ করেছে।
মার্কিন কংগ্রেসে বিলটি পাস হলে বাইটড্যান্সকে টিকটকের মালিকানা ছেড়ে দেয়ার জন্য ১৬৫ দিন সময় দেয়া হবে। এতে তারা ব্যর্থ হলে অ্যাপল, অ্যালফাবেটের গুগল এবং অন্যদের পরিচালিত অ্যাপ স্টোরগুলো আইনগতভাবে টিকটককে কিংবা বাইটড্যান্স পরিচালিত অ্যাপগুলোকে ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস দিতে পারবে না।
২০২০ সালে ট্রাম্প টিকটক এবং চীনা মালিকানাধীন আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাট নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে আদালতের বাধায় তিনি আর সফল হননি।
টিকটক অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়। নির্বাচনের বছরে দেশটির কংগ্রেসের দুই কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে টিকটকসংক্রান্ত বিলটি পাস হওয়া কঠিন হতে পারে।