আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টিকছে না নুসরাতের দ্বিতীয় মামলাটিও

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর 20২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর 20২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুনিয়ার মৃত্যু নিয়ে তার বড়বোন নুসরাতের করা দ্বিতীয় মামলাটিও টিকছে না। এই মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তারা এই মামলা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিবেন। এই ব্যাপারে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছুই বলতে এখন পর্যন্ত রাজি হননি।

শুধু এটুকুই বলেছে, মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে, নুসরাতের প্রথম মামলার ভাগ্যই দ্বিতীয় মামলাটিও বরণ করতে যাচ্ছে। এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রমাণ সেটি অনুপস্থিত থাকায় এই মামলাটিও টিকছে না।

যেদিন মুনিয়া মারা গেছে, সেদিন মুনিয়ার ফ্ল্যাটে যাদেরকে নুসরাত তার মামলায় অভিযুক্ত করেছেন তাদের কেউই যাননি। শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া কোনো হত্যাকান্ড সম্ভব নয়। আর একারণেই মুনিয়ার মৃত্যুকে হত্যাকান্ড বলে যে মামলা নুসরাত তানিয়া করেছেন সেই মামলাটিতে এই অভিযুক্তদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানা গেছে।

উল্লেখ, গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মুনিয়া একা থাকতেন। এপ্রিলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পরপরই তার বড় বোন নুসরাত তানিয়া একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন গুলশান থানায়। গুলশান থানা দীর্ঘ তিন মাস এই মামলাটি তদন্ত করে।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় নি বলে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।

কিন্তু আদালতে এই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নুসরাত তানিয়া না রাজি দরখাস্ত দেন। নারাজি দরখাস্তটি যখন আদালত নাকচ করে দেন তার দুই সপ্তাহের মধ্যেই নুসরাত তানিয়া ৮ নাম্বার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তখন আদালত এই মামলার তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন পিবিআইকে। পিবিআই এখন এই মামলার তদন্ত করছে।

যেকোনো হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে গেলে অভিযুক্তদের শারীরিকভাবে সেখানে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে যে, যাদেরকে অভিযুক্ত হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তাদের একজনও ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকে কিভাবে হত্যাকান্ড করা সম্ভব সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তাছাড়া মুনিয়ার মৃত্যুর সময় ধর্ষণের কোনো আলামতও পাওয়া যায় নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চত করেছে। কাজেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ ধারা অনুযায়ী হত্যা ও ধর্ষণ একই সাথে বা ধর্ষণের কারণে হত্যা কোনোটাই সংঘটিত হয়নি। আর এটি সংঘটিত না হওয়ার কারণে এই মামলায় যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব হবে না বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে পিবিআই এই বিষয়ে আরো কিছু জিনিস তদন্ত করছে বলে একাধিক দ্বায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

বিশেষ করে, মুনিয়ার হাতে যে আঘাতের চিহ্ন আছে সেটি কেন এবং মুনিয়ার বাসায় সর্বশেষ তিনজন কারা গিয়েছিল তাদের সনাক্ত করা এবং মুনিয়ার সাথে অন্য কার কি ধরনের সম্পর্ক ছিল সেই সম্পর্কের কারণে মুনিয়া মৃত্যুবরণ করেছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা, এসমস্ত তদন্তগুলো শেষ হলেই আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মুনিয়ার মৃত্যু

আরও খবর



ঢাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ঢাকায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার রাতে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর থেকে কল পেয়ে পুলিশ রাজধানীর তুরাগ থানায় প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। তাকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

পুলিশের ভাষ্য, বড় মনির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন। তুরাগ থানার ওসি মোস্তফা আনোয়ার বলেন, টাঙ্গাইলের গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।

বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই।

এর আগে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সে মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বড় মনির।

নিউজ ট্যাগ: টাঙ্গাইল

আরও খবর



ঢাক-ঢোলে আর জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বরাবরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে প্রথমে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে যাত্রা করে। শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শাহবাগ, ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হওয়ার কথা আছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুতে ছিল র‌্যাবসহ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এরপর ঢাক ঢোল বাজিয়ে যাচ্ছিল আরো একটি দল। তারপরে উৎসব প্রেমীরা সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সহযাত্রা অংশ নেওয়ার জন্য হাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রতিকৃতি তৈরি করেছিল বিভিন্ন চিত্রশিল্পীরা। এসবের প্রদর্শনী দেখা গেছে শোভাযাত্রায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর আগে সকাল থেকে শাহবাগ এবং চারুকলা ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার জন্য বাঙালিয়ানা সাজে হাজারো উৎসব প্রেমী মানুষ শাহবাগ থেকে চারুকলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরের কিছু উৎসব প্রেমীরাও অংশগ্রহণ করতে চারুকলায় এসেছেন।

উৎসব প্রেমী ছেলেদের পরনে রয়েছে সাদা পাঞ্জাবি এবং পায়জামা। সঙ্গে রয়েছে কালো সানগ্লাস। অন্যদিকে মেয়েদের পরনে রয়েছে সাদা রঙের শাড়ি ও লাল রঙের ব্লাউজ। তাদের সঙ্গে যে শিশুরা এসেছে তাদের বেশিরভাগের পরনেও দেখা গেছে পায়জামা পাঞ্জাবি।

এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এবারের শোভাযাত্রার উপজীব্য হলো অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদযাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া করেছে। শোভাযাত্রা এটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এছাড়া বিকাল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

পহেলা বৈশাখ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তবে নিরাপত্তার কারণে শোভাযাত্রার ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেই বিষয়টিও দেখা হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। এছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এই শোভাযাত্রায় কোনও বাণিজ্যিক প্রচারণা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটটি বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও রকম ভুভুজেলা বাঁশী বাজানো ও বিক্রয় করা যাবে না।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষ। তবে স্বস্তিতে ফেরার যাত্রায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয়েছে যমুনা এক্সপ্রেস।

যে কারণে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার সকালে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল কারওয়ান বাজার। সেখানে ডাবল লাইন। একটি লাইন বন্ধ রয়েছে। আরেকটি সচল। লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



লোকচক্ষুর আড়ালে আন্তদেশীয় তৎপরতায় কুকি চিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। মাত্র দুই বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেয়া এই পাহাড়ি সংগঠন এখন যেন এক ত্রাসের নাম।নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিতই আপলোড করে থাকে চোরাগোপ্তা হামলার ছবি-ভিডিও।

শুধু বাংলাদেশের পাহাড়ই নয়; কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও তারা জড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে, স্থানীয় কুকি-চিন জনগোষ্ঠী।

দুর্গম সীমান্ত আর তিন দেশের জটিল একটি ভৌগলিক সীমায় অবস্থানের সুযোগে, এক দেশে অভিযানের মুখে পড়লে সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে অন্য দেশে। যাতে আঞ্চলিক ঝুঁকির মুখে পড়ছে গোটা অঞ্চল। বিশ্লেষকদের আশংকা অদূর ভবিষ্যতে আন্ত:দেশীয় সংগঠনে পরিণত হতে পারে, কেএনএফ। দেশে দেশে খুলতে পারে সশস্ত্র শাখা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ত্রিদেশীয় একটি সম্মেলন এখানে আছে। চীনের একটি স্টেটের অংশ এসে মিশছে ওইদিকের মিজোরাম এবং বান্দরবান দিয়ে। ওখানে নোম্যানস ল্যান্ডের মত একটি এলাকা আছে, যেখানে তারা চাইলেই যোগাযোগ করতে পারে। এটা যদি এখন থেকেই দমন করা না হয় তবে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেএনএফের পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়টি নিয়েও। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত কুকি-চিনরা খ্রিস্ট ধর্ম মেনে চলায়; এ সব অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কোন দাবার চাল চালছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার কথাও বলছেন তারা।

এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বেশ কিছু এনজিও যারা সবসময় এদেরকে মদদ দেয়, উৎসাহ দেয়। এ বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখা অবশ্য উচিত।

কেএনএফের তৎপরতা রুখতে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর