করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭ কোটি ৯৫ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ জন। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১৮ জন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে মোট ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯১ জনকে টিকা
দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪২২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন
১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৩ জন। ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৩৮৬ জন।
যে টিকাগুলো
দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না
এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ব্র্যান্ডের টিকা।
গত বছরের ১
নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদপ্তর
জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ
পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৯ জন।
এদিকে, মঙ্গলবার
একদিনে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৯ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা
নিয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ৩১০ জন।
দেশে এখন পর্যন্ত
২৮ হাজার ১৯০ জন ভাসমান মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদের কারোরই দ্বিতীয়
বা বুস্টার ডোজ দিতে হবে না। এদের জন্য এক ডোজ টিকাই যথেষ্ঠ বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, দেশে
করোনা টিকার জন্য সর্বসাধারণের নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে। আর টিকাদান
কার্যক্রম শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে।