মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আপনারা জেনে তাজ্জব হবেন, আমেরিকা থেকে কিছু মানুষ বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসছেন। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনারা আমেরিকা থেকে দেশে আসছেন কেন? তখন তারা বলেন, আমেরিকায় কত দিন পরে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তার ঠিক নেই। তাই এই সময় আমরা দেশে এলাম এবং ভ্যাকসিনও নিলাম। তারা প্রবাসী, এক মাসের জন্য ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে বিদেশি কূটনীতিকদের করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখনো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। প্রতিটা লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিতে চাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, একটা লোকও যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে এই রোগ নির্মূল হবে না। আমরা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস নির্মূল করবো।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব আল জাজিরার প্রতিবেদন এবং করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চ্যানেলটির সতর্ক হওয়া উচিৎ, নইলে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, আমেরিকা থেকে লোকজন এসে বাংলাদেশে করোনার টিকা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, করোনায় বাংলাদেশে লাখ লাখ লোক মারা যাবে বলে অনেকেই অপপ্রচার চালিয়েছিল যা মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।
এরআগে, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে করোনার টিকা দেয়া হয় বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী মিশনের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, ব্রাজিলের হাইকমিশনার তাবাজেরো অলিভিয়েরা, মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীরসহ ৪৫ জন রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক টিকা নেন। বিদেশীদের জন্য সরকারী ব্যবস্থাপনায় করোনার টিকার ব্যবস্থা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি. ডিকসনসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত।